শনিবার ● ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » সংস্কৃত ও পালি শিক্ষার অমর্যাদা, মেনে নেয়া হবে না : মিঠুন চৌধুরী
সংস্কৃত ও পালি শিক্ষার অমর্যাদা, মেনে নেয়া হবে না : মিঠুন চৌধুরী
বিশ্বের প্রাচীনতম এবং সমৃদ্ধতম সংস্কৃত ভাষা সভ্যতার এক অনবদ্য সমপদ ৷ বিশেষ করে সনাতন(হিন্দু ধর্মীয়) পুস্তকাদি সংস্কৃত ভাষায় রচিত ৷ হিন্দু সমপ্রদায়ের ছেলে মেয়েদের সংস্কৃত ভাষায় শিক্ষা লাভ করা একান্ত প্রয়োজন ৷ বৃটিশ সরকারের সময় টোল,চতুষপাটী প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয় ৷ আজ সেই ভাষা চর্চার অভাবে বিলুপ্তির পথে ৷ সংস্কৃত ভাষা হিন্দু সমপ্রদায়ের এবং পালি ভাষা বৌদ্ধ সমপ্রদায়ের ৷ সমগ্র বাংলাদেশে এ ধরণের ১২৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে ৷ এসব প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষকের মাসিক সম্মানী সর্ব সাকুল্য ২৮৯ টাকা ও একজন ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীর বেতন মাত্র ৬৫টাকা ৷ ঢাকা শহরে যেখানে একবেলা সাধারণ রেস্টুরেন্টে ভাত খেতে (২০০-৩০০) টাকার প্রয়োজন ৷ সেখানে একজন সংস্কৃত শিক্ষক কিভাবে ২৮৯ টাকা দিয়ে সারা মাস তাঁর পরিবারের ভরণ পোষনের ব্যবস্থা করবে ? আর মাত্র ৬৫টাকা বেতন দিয়ে ঐ প্রতিষ্ঠানের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী কি করবে ? এ ষড়যন্ত্র মেনে নেয়া যায় না ৷ সংস্কৃত শিক্ষা যেহেতু হিন্দু ও পালি শিক্ষা বৌদ্ধ সমপ্রদায়ের আদি ভাষা ৷ তবে কেন সরকার এ সমপ্রদায়ের উপর উদাসীন ৷ বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান আদিবাসী পার্টির কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট মিঠুন চৌধুরী এক বিবৃতিতে সরকারের এ হেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদাসীনতাকে চরম মানবতাহীন বলে দাবী করেন ৷ তিনি আরও বলেন যে,যেখানে বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি লবনের দাম ৩০টাকা,সেখানে একজন সংস্কৃত ও পালি শিক্ষার শিক্ষকের মাসিক বেতন কিভাবে মাত্র ২৮৯ টাকা হয় ? আর কত দৃষ্টিহীনতায় থাকব আমরা ? আমাদের আদি সংস্কৃতি কি এভাবেই হারিয়ে যাবে ? সরকারের এ চরম উদাসীনতাকে তীব্র ভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি ৷ সেই সাথে অনতি বিলম্বে মাদ্রাসা শিক্ষা ও শিক্ষকদের সাথে সমন্বয় রেখে সংস্কৃত ও পালি শিক্ষার শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা পরিবর্তন ও সমন্বয় করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি দাবী জানান ৷ (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)