সোমবার ● ১৯ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » দেশব্যাপী ভোট ডাকাতি ও কারচুপির প্রতিবাদে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির মানববন্ধন
দেশব্যাপী ভোট ডাকাতি ও কারচুপির প্রতিবাদে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির মানববন্ধন
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: দেশব্যাপী সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচন ঢাকা-৫ ও নওগা আসনে সরকার কর্তৃক নিলর্জ্জ ভোট ডাকাতি, কারচুপি ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে আজ সোমবার গাইবান্ধা জেলা বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। মানববন্ধনে জেলা বিএনপি, থানা বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুন্নবী টুটুলের সভাপতিত্বে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান সরকার, সদর থানা বিএনপির আহবায়ক খন্দকার ওমর ফারুক সেলু, সাঘাটা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আলী, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস হোসেন, ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সাদেকুল ইসলাম নান্নু, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. হানিফ বেলাল, জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আব্দুল হাই, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক হুনান হক্কানী, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক ভুটটু, সহ-সাধারণ সম্পাদক আল আমিন, মাহমুদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম শাওন, মাধুবী সরকার প্রমুখ। মানববন্ধনটি সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান নাদিম।
গাইবান্ধার সাতটি উপজেলায় ৫৮২টি মন্ডপ ও মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধা জেলার সাতটি উপজেলার ৫৮২টি মন্দির ও পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ৮৩টি, সাদুল্যাপুরে ১শ’ ৩টি, সুন্দরগঞ্জে ১শ’ ৩০টি, পলাশবাড়িতে ৫৯টি, গোবিন্দগঞ্জে ১শ’ ১৬টি, সাঘাটায় ৫৬টি এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ১৫টি।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ কোভিড-১৯ এর পরিপ্রেক্ষিতে এবার সীমিত আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। অষ্টমী পূজার দিন দুপুর ১২টা ১ মিনিটে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের আত্মার শান্তি এবং অসুস্থদের রোগ মুক্তি কামনা করে জেলার সকল পূজা মন্ডপে একযোগে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া কোভিড-১৯ দুর্যোগের কারণে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ জেলার সকল পূজা মন্ডপে বিশেষ আলোকসজ্জা, মাইক সাউন্ড সিস্টেমে গান-বাজনা বন্ধ এবং আরতি প্রতিযোগিতা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার পূজার দর্শনার্থীদের অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং প্রতিটি পূজা মন্ডপে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। উল্লেখ্য, দশমীর দিন সন্ধ্যা ৬টার আগেই অবশ্যই কোন শোভাযাত্রা ছাড়াই প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে। এছাড়াও পূজা সংক্রান্ত মেলা অনুষ্ঠান, জুয়া খেলা, মাদকের অপব্যবহার প্রতিরোধে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহীত হয়।
জেলা প্রশাসক সুত্রে জানানো হয়, শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে র্যাব, ফায়ার বিগ্রেড, পুলিশ, আনসার, জেলা উপজেলা প্রশাসনের বিশেষ টিম, পুজা মন্ডপ সমূহের আইন শৃংখলা রক্ষায় সার্বক্ষনিক নজরদারি, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, পূজা মন্ডপ সংলগ্ন যানজট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, পূজা মন্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, নিজস্ব জেনারেটরের ব্যবস্থা, প্রতিটি মন্ডপ ও মন্দিরে স্বেচ্ছাসেবক দল থাকবে।