

মঙ্গলবার ● ২০ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ » রাঙ্গুনিয়াতে ৫ শিশুকে পালাক্রমে বলাৎকার : মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
রাঙ্গুনিয়াতে ৫ শিশুকে পালাক্রমে বলাৎকার : মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
আমির হামজা, স্টাফ রিপোর্টার :: চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ৫ শিশুকে দুই মাস ধরে পালাক্রমে বলাৎকারের অভিযোগে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
এই মামলার পর গতকাল সোমবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলাৎকারের কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার নাম নাছির উদ্দিন (৩৫)। সে চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড শামসু বাপের বাড়ির নুরুল ইসলামের ছেলে।
আজ মঙ্গলবার ২০ অক্টোবর দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের (রাউজান-রাঙ্গুনিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, গ্রেপ্তার মাদ্রাসা শিক্ষক নাছির উদ্দিন রাঙ্গুনিয়ার একটি মাদ্রাসায় শিক্ষক। গত কয়েক মাস ধরে মাদ্রাসার আবাসিক হোস্টেলে ৫ শিক্ষার্থীকে সে নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে নিয়মিত বলাৎকার করে আসছে। শিশু গুলো কোন এক সসয় কৌশলে ঐ মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে গিয়ে পরিবারের কাছে বলৎকারের বিষয়ে জানালে ঘটনা জানাজানি হয়ে যায়। গ্রেপ্তার এই মাদ্রাসা শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। শিশু গুলোকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এএসপি আরোও জানান আজ মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হলে গ্রেপ্তারকৃত নাছির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে তার বিরুদ্ধে আনীত বলাৎকারের অভিযোগ স্বীকার করে নেন। পাশাপাশি বলাৎকারের শিকার শিশুদের মধ্যে চারজনও আদালতে উপস্থিত হয়ে তাদের উপর চালানো নির্মমতার বর্ণনা দেয়।
এছাড়া এএসপি জানান দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই হবে তার। এএসপি অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ করে বলেন, আপনার শিশু ছেলে বা মেয়ে যাই হোক, তার নিরাপত্তার দিকটি বিবেচনায় রাখুন। শিক্ষক হোক, আত্মীয় হোক কিংবা হোক প্রতিবেশী, আপনার সন্তানকে কারো অরক্ষিত শিকারে পরিণত হবার সুযোগ দিবেন না প্লিজ।