বুধবার ● ২১ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বিষ্ণপুর বারুইপাড়া ইউপি ভুমি অফিসে দূর্নীতির অভিযোগ
বিষ্ণপুর বারুইপাড়া ইউপি ভুমি অফিসে দূর্নীতির অভিযোগ
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণপুর ও বারুইপাড়া ইউনিয়নের চিত্রা ইউনিয়ন ভ’মি অফিসে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিজের প্রভাব খাটিয়ে চার বছরের বেশি সময় ধরে চিত্রা ইউনিয়ন ভ’মি অফিসের নায়েবের দায়িত্ব পালন করছেন প্রতাব চন্দ্র দাস। ভূমি অফিসে কর্মরত এই নায়েবের পর্যাপ্ত চাহিদা মেটাতে না পারলে তাকে পড়তে হয় চরম হয়রানিতে। সরকারী অফিসে নিজের প্রভাব ও ইচ্ছা অনুযায়ী কখনও উত্তলন করেন না পতাকা। অফিসে জাতির জনকের ও প্রধান মন্ত্রীর ছবি টানান না। এছাড়াও একাধিক ভুক্তভোগীর বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে অভিযোগ রয়েছে এই সহকারী কর্মকর্তা প্রতাব চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়দের অভিযোগের পেক্ষিতে গত ২১ অক্টোবর দুপুর দেড়টার দিকে চিত্রা ইউনিয়ন ভ’মি অফিসে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। ভুমি অফিসের সামনে একাধিক দোকানদার জনান,নিদৃষ্ট দিন ছাড়া এ অফিসের কখনোই জাতীয় পতাকা উত্তলন করা হয়না। অত্র অফিসের অফিস সহায়ক খান মকবুল হোসেনের কাছে পতাকা দেখতে চাইলে তিনি সহ ভ’মি সহকারী কর্মকর্তা প্রতাব চন্দ্র দাস অফিসের বিভিন্ন জায়গায় ও আলমারিতে খোজাখুজির একপর্যায়ে সামনের দোকান থেকে জাতীয় পতাকা এনে তা বেলা দুই ঘটিকায় জাতীয় পতাকা উত্তলন করে। ভ’মি সহকারী কর্মকর্তা প্রতাব চন্দ্র দাসের অফিস রুমে জাতির জনকের ও প্রধান মন্ত্রীর শেখ হাসিনার ছবি টানানো না দেখে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি তার আলমারির উপরে কয়েকটি কাগজের নিচ থেকে ছবি দুইটি বের করে দেখায়। উল্লেখ্য ২০১৮-১৯ সালের অর্থবছরে ভবনটি নির্মান করা হলেও এখনো পর্যন্ত এই ছবি টানানো হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, টাকা ছাড়া এ অফিসে কোন কাজই করেন না ভ’মি সহকারী কর্মকর্তা প্রতাব চন্দ্র দাস। ৫‘শত টাকার খাজনা এখানে ১০ হাজার টাকা দিয়েও করতে হয়। ভুমি সংক্রান্ত যে কোন তথ্য,মিস কেসের প্রতিবেদন,নাম জারি প্রতিবেদন,রেকর্ড হাল নাগাদ করন,সরকারের অনুকুলে দখল নিশ্চিত করনসহ বিভিন্ন দেওয়ানি মামলায় সরকার পক্ষের সাক্ষী ও প্রতিবেদন প্রত্যেক ক্ষেত্রেই এখানে টাকা দিয়ে করতে হয়। টাকা ছাড়া নিস্পত্তি হয়না কোন কাজ। তাদের অসৎ কাজে জিম্মি হয়ে বাধ্য হয়েই হয়রানি থেকে বাচতে ঘুষ দিতে হচ্ছে সাধারন মানষকে।
এ বিষয়ে ভ’মি সহকারী কর্মকর্তা প্রতাব চন্দ্র দাস বলেন, এ অফিসে সবসময় জাতীয় পতাকা টানানো লাগে না। ড্রিল ম্যাশিনের ব্যবস্থা করতে না পারায় জাতির জনকের ও প্রধান মন্ত্রীর শেখ হাসিনার ছবি টানানো হয়নি। এ অফিসে কোন দূর্নিতী হয়না বলে জানান।
এ বিষয়ে বাগেরহাট সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ’মি) প্রকৌঃ মোঃ শহীদুল্লাহ বলেন, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দোষী প্রমানিত করে দ্রæত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রদত্ত উপহার পানির ট্যংকি বিতরণ
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে খাবার পনির সংরক্ষনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রদত্ত উপহার জলাধার পানির ট্যংকি বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ১১টায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে সমগ্র দেশের নিরাপদ পানি সরবারাহ প্রকল্পের মাধ্যমে এজলাধার বিতরণের আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য দপ্তরের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম, প্রেসক্লাব সভাপতি মেহেদী হাসান লিপন, সহ-সভাপতি গনেশ পাল, সাবেক সভাপতি এইচএম মইনুল ইসলাম, অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক এম.পলাশ শরীফ প্রমুখ।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানাগেছে, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে সমগ্র দেশে নিরাপদ পানি সরবারাহ প্রকল্পের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ উপজেলায় ১৬টি ইউনিয়নে ২৬টি করে ৪১৬টি পরিবারের মাঝে এ জলাধার বিতরণ করা হয়। এ ছাড়াও ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে পল্লী অঞ্চলের পানি সরবারাহ প্রকল্পের মাধ্যমে ১০০টি জলাধার বিতরণ করা হয়েছে।
এ সর্ম্পকে উপ সহকারি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিসার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ২০১৫ সাল থেকে রেইন ওয়ার্টার হারভেস্টিং প্রকল্পের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়। উপকূলীয় এ অঞ্চলের মানুষের সুপেয় পানির ব্যবহারে বৃষ্টির পানি সংরক্ষনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র প্রদত্ত উপহার ১৭শ’টি ট্যাংকি বিভিন্ন ধাপে ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র প্রদত্ত উপহার স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাড. আমিরুল আলম মিলন এমপির মাধ্যমে এ জলাধার ইতোমধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। এ অঞ্চলের মানুষের জন্য ট্যাংকি আরো বরাদ্ধ হবে বলে আশ্বাস্ত করেছেন এমপি মহোদয়।