বুধবার ● ২১ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » বগুড়া » গাবতলীতে শিশুকে অপহরণকালে ৪ জনকে পুলিশে সোপর্দ
গাবতলীতে শিশুকে অপহরণকালে ৪ জনকে পুলিশে সোপর্দ
বগুড়া প্রতিনিধি :: বগুড়ার গাবতলীতে সাড়ে ৪বছরের শিশুকে প্রাইভেট কারযোগে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় জনতা কর্তৃক কার ভাংচুর করে ৪জন অপহরণকারীকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে থানা পুলিশে সোপর্দ করেছে। আজ বুধবার উপজেলার পাচমাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি মুর্হুতের মধ্যে জানা জানি হলে এলাকার শত শত মানুষ এসে ভিড় জমায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসেও অপহরণকারীদের প্রাণ রক্ষা করতে হিমশিম খেতে হয়। পরে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নুরুজ্জামান আরো সঙ্গীয় ফোর্স এসে এলাকাবাসির সহযোগিতা নিয়ে অপহরণকারীদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। জানা গেছে, উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের ধোড়া গ্রামের সুজন প্রামানিকের সাড়ে ৪বছরের ছেলে পাশ^বর্তী ইটভাটা ছয়মাইল এলাকা এলে ওই সময় বগুড়াগামী একটি প্রাইভেট কার এসে শিশুকে জোর করে প্রাইভেট কার গাড়ীতে তুলে নেয়। ঘটনাটি একজন মহিলা দেখতে পেয়ে একজন মোটর সাইকেল আরোহীকে জানালে তিনি দ্রুত গতি গিয়ে স্থানীয় পাচমাইল এলাকায় কারটি গতিরোধ করে। এ সময় আশেপাশের লোকজন এসে কারের মধ্যে থেকে শিশুকে উদ্ধার করে এবং স্থানীয় জনতা কারটি ভাংচুর করে ওই ৪জন অপহরণকারীকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে তাদেরকে জনগনের হাত থেকে বাচাতে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রেখে থানা পুলিশ সংবাদ দেয়া হয়। পুলিশ আসার পর অপহরণকারীদের সোপর্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত অপহরণকারীরা হলো উপজেলার নাড়–য়ামালা ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে রেজাউল ইসলাম (২৭), ইজার মোল্লা’র ছেলে মিল্লাত মোল্লা (৩০), ঠাকুরগাঁ জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার চান্দহর গ্রামের সামছুল হক এর ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৫) ও সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলা সদরের উত্তরপাড়ার মৃত ময়েন সরকারের ছেলে আল আমিন সরকার (২৩)। এ ঘটনায় অপহৃত শিশুর পিতা সুজন প্রামানিক বাদী হয়ে প্রাইভেট কারের চালকসহ ৫জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে ৪অপহরণকারী গ্রেফতার হলেও কার চালক পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নুরুজ্জামান এর সাথে কথা বললে তিনি উপরোক্ত তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গাবতলীতে মাদক ব্যবসায়ী’কে গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন
বগুড়া :: মাদক ব্যবসায়ী, মাদকসেবী, চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারী জাহিদ হাসান জয় ও তাঁর বাহিনীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের দাবীতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে আজ বুধবার বগুড়ার গাবতলী নেপালতলী জাতহলিদা তিনমাথা মোড় সড়কে বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রতিবাদ সভা এবং মানববন্ধন পালিত হয়েছে। প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা ইউনুছ আলী, জেলা যুবলীগ নেতা নুরেজ্জামান সিদ্দিকী, সমাজসেবক সাজেদুর রহমান সুজন, সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মমিন, আব্দুর রাজ্জাক, মহিদুল ইসলাম, এলাকাবাসীর মধ্যে মোবারক আলী দুলু, খাজা মন্ডল, মিষ্টার মন্ডল, হোসেন আলী, মুন্টু সরকার’সহ এলাকার সর্বশ্রেণী পেশার মানুষ প্রমূখ। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, মাদক ব্যবসায়ী জয় ও তাঁর বাহিনী দূীর্ঘদিন হলেই মাদক ব্যবসা’সহ সমাজে নানা অন্যায়-অত্যাচার ও অপকর্ম চালিয়ে আসছে। সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদেরকে অতিদ্রুত গ্রেফতার করতে থানা প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানানো হয়।
নেপালতলীতে দূর্গাপূজা মন্ডপে আর্থিক অনুদান
বগুড়া :: আজ বুধবার বগুড়ার গাবতলী নেপালতলী ইউনিয়ন এর বিভিন্ন দূর্গাপূজা মন্ডপ পরিদর্শন শেষে নিজস্ব তহবিল থেকে নগদ অর্থ প্রদান করলেন জেলা যুবলীগ এর নেতা বিশিষ্ট ঠিকাদার নুরেজ্জামান সিদ্দিকী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য আজিজুল হক জিন্না, সাখাওয়াত হোসেন, মহিদুল ইসলাম, আ’লীগ নেতা আব্দুল বাঁকী, যুবলীগ নেতা সামিউল ইসলাম, খায়রুল ইসলাম সাগর, রিমন আহম্মেদ, সাব্বির হোসেন , রেজাওয়ান আহম্মেদ, তারাজুল ইসলাম, ধনঞ্জয় মন্দির কমিটি মধ্যে দুলাল চন্দ্র, শ্যামল চন্দ্র, বিদু চন্দ্র এবং নিশ্চিতপুর সার্বজনিন দূর্গামন্দির কমিটি মধ্যে রাজ কুমার, রঘু নাথ ও লিটন সরকার প্রমূখ। এরপূর্বে জেলা যুবলীগ নেতা নূরেজ্জামান সিদ্দিকী নেপালতলী ইউনিয়ন এর বিভিন্ন দূর্গাপূজা মন্ডপ পরিদর্শন শেষে নগদ অর্থ প্রদান ও শারদীয় দূর্গাউৎসব এর শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
গাবতলীতে জমির বিরোধে ভাংচুর ও মারপিট
বগুড়া :: বগুড়ার গাবতলীতে জমিজমার বিরোধে বসতবাড়ী ভাংচুর ও মারপিট করেছে প্রতিপক্ষরা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পৌর সদরের গোড়দহ উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
জানা গেছে, পৌরসভাধীন গোরদহ গ্রামের মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে আব্দুর রহমানের সাথে বসতবাড়ীর জায়গা নিয়ে তারই সহদোর ভাই আবু তালেব রাঙ্গার দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে গত ২০অক্টোবর সন্ধ্যায় ওই প্রতিপক্ষরা বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঠায় সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়ে বাড়ীঘর ভাংচুর ও ৪২ফুট ইটের সিমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে। এতে প্রায় ২লাখ টাকা ক্ষতি সাধিত হয়। এ সময় ছেলে আঃ রউফ, ভাতিজা সিহাব ও সাহাদত, বড়ভাবি নার্গিস ও মরিয়ম, স্ত্রী বেবী বেগম ও নাতী আব্দুল্লাহ আল লাবিব এগিয়ে এলে তাদেরকেও এলোপাতারীভাবে মারপিট করে স্ত্রী বেবী বেগমের গলায় থাকা ৬৫হাজার টাকা মুল্যের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। এদের মধ্যে আঃ রউফকে লোহার শাবল দিয়ে মেরে হাতের কবজি ভেঙ্গে ফেলে। আঃ রউফকে আশংকাজনক অবস্থায় প্রথমে গাবতলী হাসপতাল পরে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আব্দুর রহমান বাদী হয়ে ৪জনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এ ব্যাপারে থানার ওসি নুরুজ্জামান বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।