বৃহস্পতিবার ● ২২ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » ঘাঘট নদীর ভাঙনে ৬টি ইউনিয়নের শতাধিক বসতবাড়ী ও ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন
ঘাঘট নদীর ভাঙনে ৬টি ইউনিয়নের শতাধিক বসতবাড়ী ও ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: বন্যা পরবর্তী ঘাঘট নদীর পানি কমতে শুরু করলেও স্রোতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এ ভাঙন কবলিত এলাকার প্রায় শতাধিক বসতবাড়ি ও ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও হুমকির মুখে পড়েছে আরো অর্ধ শতাধিক বসতবাড়ি ও আবাদি জমি।
জানা গেছে, গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার রসুলপুর, নলডাঙ্গা, জামালপুর, দামোদরপুর, কামারপাড়া ও বনগ্রাম ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙনের তীব্রতা দেখা দিয়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে অসময়ের ৫ম দফা বন্যার পর সম্প্রতি নদীর পানি কমতে থাকায় এই ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে জামালপুর ইউনিয়নের পাতিল্যাকুড়া-চকদাড়িয়া উত্তরপাড়া, নলডাঙ্গা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর, দামোদরপুর ইউনিয়নের জামুডাঙ্গা ও কামারপাড়া ইউনিয়নের পুরান লক্ষ্মীপুর গ্রামে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
এব্যাপারে জামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মন্ডল জানান, সম্প্রতি এ ভাঙনের কবলে ইতোমধ্যে খবির উদ্দিন, জরিপ মিয়া ও দফির উদ্দিনসহ আরও ১৫ জনের বসতবাড়ি আবাদি জমিও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া ভাঙন কবলিত এলাকায় শতাধিক বসতবাড়ি এখন হুমকির মুখে রয়েছে। হুমকির সম্মুখিন এসব পরিবারের মানুষরা ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে অন্যত্র।
ভাঙনের বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে একাধিকবার অবহিত করা হলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, সাদুল্যাপুর উপজেলার ঘাঘট নদীর ভাঙন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই জন্য প্রাথমিক কাজ চলমান রয়েছে। কাজ শেষে প্রকল্প প্রণয়ন করে বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ে শীঘ্রই পাঠানো হবে।