শুক্রবার ● ২৩ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » হয় বিয়ে, না হয় আত্মহত্যা
হয় বিয়ে, না হয় আত্মহত্যা
তারেক জাহিদ, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক রাশেদ মন্ডল (৩০) এর বাড়িতে অনশনে বসেছে প্রেমিকা (১৮)। রাশেদ ঐ গ্রামের মৃত হিজাবদি মন্ডলের ছেলে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্ট্র বিজ্ঞানে মাস্টার্স পাস করা রাসেল একটি এনজিওতে চাকুরী করতো বর্তমানে বেকার। এ ঘটনার পর থেকেই প্রেমিক রাশেদ পলাতক রয়েছে। উপজেলার গোলকনগর গ্রামের বাসিন্দা ওই মেয়েটি জানায়, প্রেমিকের বাড়ীর নিকট নানা বাড়ী হওয়ার সুবাদে আসা যাওয়ার পথে তার সাথে পরিচয়। ৩ বছর আগে রাসেলের সঙ্গে পরিচয় হয় মেয়েটির। এরপর ধীরে ধীরে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হলেও রাসেল পরে বিয়েতে রাজী না হওয়ায় রবিবার প্রেমিক রাশেদের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বিয়ের দাবী করলে পরিবারের সদস্যরা তাকে মারপিট করে। রাসেল এখন বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় অনশনে বসেছি। বিয়ে না করলে সে আত্মহত্যা করবে বলেও জানায়। এ ব্যাপারে প্রেমিক রাশেদকে বাড়িতে পাওয়া না গেলেও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তার মা বেদানা বেগম বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু মেয়েটি পূর্বে বিবাহিত জানতে পেরে আমার ছেলে মেয়েটিকে ছেড়ে দিলেও মেয়েটি তাকে ছাড়ছে না। তিনি বলেন, বিয়ের দাবিতে রবিবার থেকে মেয়েটি আমার বাড়িতে অনশন করছে।
৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগে ঝিনাইদহে নারীর সংবাদ সম্মেলন
ঝিনাইদহ :: জেনিয়া সোহানী খান বুলবুলি নামে এক নারীর কাছে মালিবাগ ডিবি হেড কোর্য়াটারের ইন্সপেক্টর সাব্বির ও এস পি মিজান পরিচয়ে ৫ লাখ টাকার চাঁদা দাবী করা হচ্ছে। গত শুক্রবার থেকে ০১৭২০৬৬৮৮৮৭ এবং ০১৯৯৬৭০৫৬১৫ নং মোবাইল ফোন থেকে ডাসবাংলা রকেট হিসাবে টাকা পাঠানোর জন্য হুকমি দেওয়া হচ্ছে। টাকা না দিলে ওই মোবাইল নাম্বার থেকে বুলবুলিকে হত্যার হুমকী দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মহেশপুর উপজেলার পুরনন্দপুর গ্রামের শফি উদ্দীন খানের কন্যা জেনিয়া সোহানী খান বুলবুলি এই অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, দুর্বৃত্তরা মুঠোফোনে দাবী করছে নুর হক, দিলিপ হালদার, বাচ্চু, গোলাম হায়দার নান্টু, সাজ্জাদ ও মুজিবর নামের ব্যাক্তিরা মালিবাগ ডিবি হেড কোর্য়াটারে অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে হলে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে বলে হুমকী দেওয়া হচ্ছে। জেনিয়া সোহানী খান বুলবুলি এ ঘটনায় মহেশপুর থানায় মোবাইল নং উল্লেখ করে একটি জিডি করেছেন। যার নং ৮৮৫। জেনিয়া সোহানী খান বুলবুলি লিখিত বক্তব্যে দাবী করেন, ১৫ বছর আগে ভারত থেকে আসা সেবা হালদার, দিলীপ হালদার ও শীতল হালদারদের ঘরবাড়ি বানানোর কোন থাকার জায়গা না থাকায় মানবিক কারনে তাদেরকে থাকার জন্য মহেশপুরের ১৪৪ নং পুরন্দপুর মৌজার ৩৬৫১ নং দাগে ১৭ শতক জমির মধ্যে উত্তর পাশে ১১.৭৫ শতক জমিতে ঘর বানিয়ে দিয়ে থাকার অনুমতি দেন। পরবর্তীতে সেই জমি হিন্দু সম্প্রদায়ের নামে দলিল করে দেন তার মা ও ভাইয়েরা। ১৭ শতক জমির মধ্যে বাকী ০৫ শতক বুলবুলির নামে থাকে। ১৯৯৮ সালে এই ০৫ শতক জায়গাতে শিশু গাছ রোপন করে বাশের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা হয়। ২০১৮ সালে ০২ মে দিলীপ হালদার এলাকার কিছু ভুমিদস্যু ও সন্ত্রাসীর সহযোগিতায় বুলবুলির শিশু বাগান কেটে ০৫ শতক জমির উপর জোরপুর্বক টিনের ছাউনি দিয়ে ঘর তৈরি করে। খবর পেয়ে বুলবুলি ২০১৮ সালের ০৬ মে মহেশপুর থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ০৮ মে থানা কর্তৃক নালিশী ঐ জমিতে সালিশ করে জমি ছেড়ে দিতে বলে। সে মোতাবেক দখলদার দিলীপ হালদার ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত জমি খালি করার সময় নেন। সময় পার হয়ে গেলেও তিনি জমি খালি না করায় বুলবুলি মহেশপুর নির্বাহী অফিসার বরাবর ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রয়ারি অভিযোগ করলে তিনি ৮ মে নোটিশ প্রদান করেন। নারী হয়ে বুলবুলি পরপর দুই বার ঢাকা থেকে এসে শুনানীতে অংশ নিলেও দখলদার দিলীপ হালদাররা উপস্থিত হননি। উপরন্ত তিনি এলাকার সন্ত্রাসী দিয়ে বুলবুলিকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে যাচ্ছেন। দখলদার নুর হক ও দিলীপ হালদার গত বছর বুলবুলির উপর কোদাল দিয়ে হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় বুলবুলি তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করলে নুর হক পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। ২০২০ সালের ১ সেপ্টম্বর ঝিনাইদহের সাবেক পুলিশ সুপারের মধ্যস্থতায় দীলিপ ও শীতল হালদার ষ্ট্যাম্পে লিখিত দিয়ে ৭ সেপ্টম্বরের মধ্যে বুলবুলিকে জমি বুঝিয়ে দিবে বলে মুচলেকা দিলেও আজো ৫ শতক জমি বুঝে দেয়নি। বরং এলাকার সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করে দাগী সন্ত্রাসী, ভুমিদস্যু ও টাউট বাটপারদের দিয়ে হত্যার হুমকী দিচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার থেকে মালিবাগ ডিবি হেড কোর্য়াটারের ইন্সপেক্টর সাব্বির ও এস পি মিজানের নাম ভাঙ্গিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করা হচ্ছে। এতে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জেনিয়া সোহানী খান বুলবুলি অভিযোগ করেন।