শিরোনাম:
●   প্রফেসর কামাল উদ্দিন চৌধুরী কলেজের রজতজয়ন্তী উৎসব ●   শাহরাস্তিতে আন্তর্জাতিক ক্বেরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত ●   পানছড়ি ৩ বিজিবি’র পক্ষ থেকে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সাথে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় ●   ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তরুণের আত্মহত্যা ●   দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণের ডাক দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ ●   ভোটকেন্দ্রে শূন্যভোটের মাধ্যমে পার্বত্যবাসী ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে ●   ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা নানা সুরতে আবির্ভুত হওয়ার পাঁয়তারা করছে ●   কাউখালীতে উইভ এনজিওর অবহিতকরণ সভা ●   খাগড়াছড়িতে ইত্তেফাকের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   বেগম রোকেয়া এ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক সাব্বির ●   বারইয়ারহাট ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফারুক,সম্পাদক ইউসুফ ●   দীঘিনালায় গলায় ফাঁস দেয়া যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ●   ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মা নিহত, ছেলে আহত ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা বোর্ড ২য় সভা অনুষ্ঠিত ●   রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ●   মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন ●   মানিকছড়িতে ট্রাকের নীচে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু ●   আল ফালাহ ইসলামি একাডেমীর সবক প্রদান অনুষ্ঠান ●   ১১ দফা অবহিতকরণে আত্রাইয়ে আলোচনা সভা ●   পার্বতীপুর রেলওয়ে ইর্য়াডের আম গাছে যুবকের আত্মহত্যা ●   রংধনু ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ গঠিত ●   কাউখালী তাহেরিয়া রশিদা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভা ●   পাকুন্দিয়ায় ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত ●   বৈরী আবহাওয়ায় ও শীতের তীব্রতায় বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা ●   কোন হটকারিতায় গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবেনা ●   তরফভাইখাঁ সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   মিরসরাইয়ে শীতার্তের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ●   লংগদু এস এস সি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরন ●   ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৫ এর মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন সম্ভব
রাঙামাটি, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
রবিবার ● ২৫ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » মানবীয় সম্পদের ভান্ডার গড়ে তোলার উপায়
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » মানবীয় সম্পদের ভান্ডার গড়ে তোলার উপায়
রবিবার ● ২৫ অক্টোবর ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মানবীয় সম্পদের ভান্ডার গড়ে তোলার উপায়

ছবি : সংবাদ সংক্রান্তফজলুর রহমান :: মানুষের অন্তর্নিহিত গুণগুলোকে মানবীয় সম্পদ বলে। এই সম্পদগুলো পরিমাপ করা যায় না। হস্তান্তর করা যায় না। দেখা যায় না। তবে অনেক মূল্যবান। যেমন- জ্ঞান, বুদ্ধি ইত্যাদি।
এখন পৃথিবীর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হলো এই জ্ঞান-বুদ্ধি। জ্ঞান-বুদ্ধিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা সমাজের ভিত্তি শুধু দৃঢ় হয়না বরং তা সকল প্রতিবন্ধকতা সাফল্যের সাথে মোকাবেলা করে অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখে। বর্তমানের তীব্র প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে জ্ঞান-বুদ্ধিই হয়ে যাচ্ছে টিকে থাকারমাধ্যম।
জ্ঞান হলো - পরিচিতি থাকা, কোন কিছু সম্পর্কে বা কারও বিষয়ে জেনে থাকা বা বুঝে থাকা, হতে পারে কোন কিছুর প্রকৃত অবস্থা, তথ্য, বিবরণ, বা গুনাবলী সম্পর্কে জ্ঞান থাকা, যেটি অর্জিত হয়েছে উপলব্ধির মাধ্যমে, অনুসন্ধানের মাধ্যমে বা শিক্ষা গ্রহণের ফলে অভিজ্ঞ হওয়ায় বা পড়াশুনা করে। জ্ঞান বলতে কোন বিষয় সম্পর্কে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক শিক্ষা থাকাকে বুঝায়। এটা বহিঃপ্রকাশ ধরনের হতে পারে (যেমন- ব্যবহারিক গুণাবালী সম্পন্ন বা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন) অথবা বহিঃপ্রকাশ ধরনের নাও হতে পারে (যেমন- কোনো বিষয়ে শুধু তাত্ত্বিক দিকটি বুঝতে পারা)।
বুদ্ধি বা ইন্টেলিজেন্স মাপার অনুপাতই হলো ইন্টেলিজেন্স কোশেন্ট, যাকে আমরা সংক্ষেপে বলি ‘আইকিউ’। আর সেই আইকিউ বা বুদ্ধিমত্তা যে যার মতো কাজে লাগিয়ে সেরা হয়ে উঠতে চান। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন বুদ্ধির জোর বাড়ানো বা শান দিয়ে নেওয়া।

কিন্তু কিভাবে বাড়বে এই জ্ঞান-বুদ্ধি? জ্ঞান-বুদ্ধির হেড কোয়ার্টার মস্তিষ্কের ভূমিকাই তো বেশি এতে। সম্প্রতি বিবিসি’র একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটটি উপায়ে আপনি বাড়ানো যায় মস্তিষ্কের শক্তি। এরমধ্যে রয়েছে-

১. ব্যায়াম
শরীরচর্চা করলে দেহের পেশির সাথে সাথে মস্তিষ্কের আকারও বৃদ্ধি পায়। ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের সিন্যাপসের সংখ্যা বাড়ে। এর ফলে মগজে নতুন নতুন কোষ তৈরি হয়। আর কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়ামের ফলে মগজে বেশি হারে অক্সিজেন এবং গ্লুকোজ সরবরাহ হয়। আর আপনি যদি খোলা জায়গায় ব্যায়াম করেন, তাহলে বাড়তি পাওনা হলো ভিটামিন ডি। শুধু খেয়াল রাখবেন পুরো ব্যাপারটি যেন আপনি উপভোগ করতে পারেন। এতে মস্তিষ্কের ওপর ব্যায়ামের উপকারিতা বাড়ে।
২. হাঁটাচলা
বহু গবেষণায় এটা প্রমাণিত। অভিনেতারাও এই কাজটা করে থাকেন। কোন শব্দ বা বাক্য যদি আপনি হেঁটে হেঁটে মুখস্থ করার চেষ্টা করেন, তাহলে সেটা বহুদিন ধরে আপনার মনে থাকবে।
৩. সঠিক খাবার
আপনার পাকস্থলী ঠিক মানে আপনার মগজও ঠিক। আপনার খাবারের ২০% শর্করা এবং শক্তি আপনার মস্তিষ্কে যায়। মস্তিষ্কের কাজের পুরোটাই নির্ভর করে তার গ্লুকোজের মাত্রার ওপর। শরীরে গ্লুকোজের মাত্রায় হেরফের হলে আপনার মনেও দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। যেসব খাবার আপনারা খুব পছন্দ সেগুলো খেলে আপনার মস্তিষ্কের ‘রিওয়ার্ড এরিয়ায়’ ডোপামিন রাসায়নিক ছড়িয়ে পড়ে। ফলে আপনার মনে খুশি খুশি ভাব হয়।কিন্তু মস্তিষ্কের শক্তিবৃদ্ধির পাশাপাশি আপনার পেটের দিকেও নজর রাখতে হবে। মানুষের দেহের পরিপাকতন্ত্রে একশো ট্রিলিয়নেরও বেশি অণুজীব বসবাস করে। এরা আপনার মস্তিষ্কের সঙ্গেও সংযোগ রক্ষা করে। মগজের সুস্থতার জন্য এই অণুজীবগুলোর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা খুব জরুরি। আসলে, পাকস্থলীকে অনেক সময় ‘দ্বিতীয় মগজ’ বলে ডাকা হয়। পেটে নানা ধরনের স্বাস্থ্যকর খাবার ঢুকলে এসব অণুজীবের মাধ্যমে তার সুফল মস্তিষ্কে পর্যন্ত পৌঁছায়।
৪. অবসর
পরিশ্রমের ফাঁকে ফাঁকে অবসর নেয়াও জরুরি। স্বল্প মাত্রার মানসিক চাপ আসলে স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এতে বিপদের সময় বা জরুরি প্রয়োজনে পরিস্থিতিকে দ্রুত মোকাবেলার শক্তি পাওয়া যায়। কর্টিসল বলে হরমোনের কারণে দেহ-মন চাঙা হয় এবং মনোযোগের একাগ্রতা বাড়ে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ মস্তিস্কের জন্য খুবই খারাপ। সুতরাং, কাজের ফাঁকে অবসরের সময় বের করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার মস্তিষ্ককে অবসর দিয়ে, এবং নিজেকে মূলত: সুইচ অফ করে, আপনি আপনার মগজের ভিন্ন একটি অংশকে ব্যায়াম করার সুযোগ করে দিচ্ছেন। এরপর যদি কেউ দেখে যে আপনি কাজের মধ্যে বসে দিবাস্বপ্ন দেখছেন তখন আপনি বলতে পারবেন যে আপনি মস্তিষ্কের ভ্ন্নি একটি অংশের ব্যায়াম করছিলেন।
৫. নতুন কিছু করুন
নতুন কিছু শেখার মধ্য দিয়ে মগজকে আরো সক্রিয় করে তুলুন। মগজের শক্তি বৃদ্ধির একটা পথ হলো নতুন কোন কাজ করার জন্য মস্তিষ্ককে চ্যালেঞ্জ করা। ছবি আঁকা কিংবা বিদেশি ভাষা শিক্ষার মধ্য দিয়ে এটা করা সম্ভব।
৬. সুরের মাঝে শক্তি
সুরের মাধ্যমে জেগে ওঠে মস্তিষ্ক। বাড়ে মেধা। সঙ্গীত যে মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করতে পারে, তার প্রমাণ রয়েছে। কেউ গান শোনার সময় যদি তার মস্তিষ্কের ছবি তোলা যায়, তাহলে দেখা যাবে পুরো মস্তিষ্ক সুরের প্রভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। মস্তিষ্ক সঙ্গীতের স্মৃতি দীর্ঘদিন ধরে রাখতে পারে। এটা ডিমেনশিয়ার মত মানসিক অবস্থা ঠেকাতে বেশ কার্যকরী।
৭. বিছানায় শুয়ে পড়া
বিছানার ওপর শুয়ে-বসে পড়ার সুফল রয়েছে।, বলছেন বিজ্ঞানীরা। দিনের বেলা যখন আপনি নতুন কিছু শিখছেন, তখন আপনার মস্তিষ্কে এক স্নায়ুকোষের সাথে নতুন একটি স্নায়ুকোষের সংযোগ তৈরি হয়। আপনি যখন ঘুমিয়ে পড়েন তখন সেই সংযোগ আরও জোরদার হয়। এবং যা শিখেছেন তা স্মৃতি হিসেবে জমা হয়। এক পরীক্ষায় জানা যাচ্ছে, আপনি যদি শোবার আগে কাউকে একটা লিস্ট দিয়ে বলেন সেটা মুখস্থ করতে, তাহলে পরদিন সকালে সে সেটা খুব সহজেই মনে করতে পারবে। কিন্তু যদি সেই একই লিস্ট সকাল বেলা দিয়ে বলেন সন্ধ্যের সময় মুখস্থ বলতে তাহলে সেটা মনে করা বেশ কঠিন হবে। তবে কোন দু:খের স্মৃতি নিয়ে শোবার সময় চিন্তাভাবনা না করাই ভাল। এতে মস্তিষ্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। একই কারণে শোবার আগে হরর ছবি দেখাও বারণ। এর বদলে সারা দিনের যেসব ভাল ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো মনে করার চেষ্টা করুন।
৮. ঘুম
দিনের শুরুর সাথে তাল মিলিয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠুন। ঘুমের গুরুত্ব সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। দৈনিক পাঁচ ঘণ্টার কম ঘুম হলে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়ে। আর ১০ ঘণ্টার বেশি ঘুম হলে মস্তিষ্ক সজাগ হওয়ার সময় পায় না। কিন্তু দিনের পুরোটাকে ভালভাবে কাজে লাগানোর চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে কিভাবে আপনি ঘুম থেকে জেগে ওঠেন তার মধ্যে। সবচেয়ে ভাল হয় ঘুমাতে যাওয়ার সময় ঘর অন্ধকার থাকলে, এবং প্রভাতে দিনের আলো বাড়ার সাথে সাথে জেগে উঠতে হয়। সূর্যের কিরণ যখন আপনার বন্ধ চোখের পাতা ভেদ করে ঢুকে পড়ে, তখন সেটা মস্তিষ্ককে কর্টিসল হরমোন ছড়িয়ে দিতে উদ্বুদ্ধ করে। এর ফলে আপনি জেগে ওঠেন। তাই কী পরিমাণ কর্টিসল হরমোন আপনার দেহে ছড়িয়ে পড়ে, তার ওপর নির্ভর করবে দিনটা আপনার কেমন যাবে।
জ্ঞান ধারণ ও বাড়বাড়ন্ত করার টিপস্ পেলাম। এবার আমরা আমরা দেখি আরেকটি মানবীয় গুণ ‘বুদ্ধি’ বাড়ানোর কৌশল। গবেষকদের মতে, বুদ্ধি বৃদ্ধিতে প্রয়োজন লাইফস্টাইলের কিছু পরিবর্তন। জীবনের এই পরিবর্তনগুলোকে ঠিকমতো কাজে লাগাতে কিছু পরামর্শও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
নিচে এসব তুলে ধরা হলোঃ

১। একই কাজ অন্যভাবে
আমরা অনেক কাজ রিফ্লেক্সে করে ফেলি, কিন্তু সেগুলো করতে আমাদের মেধা (ব্রেন) খরচ করতে হয় না। কিন্তু ইন্টেলিজেন্স হতে হলে আপনাকে একই কাজ অন্যভাবে করতে হবে। আপনার ব্রেনকে অচেনা জিনিসের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার অভ্যাস করুন। ব্রেন তখন নতুন নতুন অভিজ্ঞতা মোকাবিলা করতে শিখবে। এতে ব্রেনের শক্তি বাড়বে।
২। মেডিটেশন
মেডিটেশন শুধু স্ট্রেস কমানোর অস্ত্র নয়। মেডিটেশন মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। পাশাপাশি ধৈর্য, মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি সবই বাড়ে। খুব বেশি কিছু নয়। শুধু নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে মন নিবদ্ধ করতে হবে। অন্য কোথাও মনোযোগ না দিয়ে নিজের শ্বাস-প্রশ্বাস গুনতে হবে। আর কিছু নয়। দিনে মাত্র আধা ঘণ্টা সময় দিলেই যথেষ্ট। টানা ১০ মিনিট করে তিন বার বা ১৫ মিনিট করে দুবার করতে পারেন। ঘুম থেকে ওঠার পর হালকা এক্সারসাইজ এবং ঘুমোতে যাওয়ার আগে মেডিটেশন করা ভালো।
৩। বেশি বেশি পড়াশোনা
পড়ার অভ্যাস বাড়ান। যত বেশি পড়বেন তত বেশি বুদ্ধির বিকাশ ঘটবে। খুব ভালো হয় যদি ফিজিক্স বা অঙ্কের দিকে একটু জোর দেন। বিজ্ঞান বিষয়ক বই বেশি পড়তে পারেন। এতে মাথার যুক্তিতর্ক এবং রিজনিং আয়ত্ত করার ক্ষমতা বাড়ে।
৪। নতুন জিনিস শেখা
এটা দারুণ অভ্যাস। নতুন কিছু যেমন- নতুন রেসিপি তৈরি, ড্রাইভিং, সুইমিং ইত্যাদি শিখতে পারেন। নতুন কিছু শেখা এবং তার অভ্যাস করতে পারলে বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটে। সবচেয়ে ভালো হলো নতুন কোনো ভাষা শেখা এবং তা নিয়ে চর্চা করা।
৫। ধাঁধা সমাধান
ধাঁধা চর্চা করতে হবে। লজিক্যাল রিজনিং বা এই জাতীয় প্রশ্নোত্তরগুলো বারবার অভ্যাস করতে হবে। নতুন কাউকে পেলেই তাকে ধাঁধা জিজ্ঞেস করে ধাঁধায় ফেলে দিতে পারেন। অনেকে এই জাতীয় সমস্যা সমাধানগুলোর জন্য সপ্তাহে দুই দিন অন্তত তিন ঘণ্টা বরাদ্দ রাখেন। ভুল প্র্যাকটিস। তার চেয়ে প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে ধাঁধার সমাধান বেশি কার্যকরী।
৬। জ্ঞান বিতরণ করুন
শুনে ভাবছেন, এ আবার কী? যা পড়ছেন, তা যদি কাউকে ফের পড়াতে বা বোঝাতে পারেন, তবে সেই শেখাটা ভালো করে হবে। ট্রাই করে দেখতে পারেন।
৭। কল্পনাশক্তি কাজে লাগান
বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইন এর মতে, ‘Imagination is everything. It is the preview of life’s coming attractions. Imagination is more important than knowledge.’ মূলকথা, ‘জ্ঞানের চেয়ে কল্পনা গুরুত্বপূর্ণ বা শক্তিশালী।’
টিভি, সিনেমা দেখা বা বই পড়া হয়ে গেলে, যা দেখলেন বা যা পড়লেন তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করুন। প্রয়োজনে যা-যা মনে হলো তা লিখে রাখতে পারেন। সেসব জিনিসই চিন্তার খোরাক জোগায়।
কল্পনা হলো জ্ঞানের প্রথম শর্ত; আপনি যদি কিছু ভাবতে যান তাহলে আপনাকে আগে কল্পনা করতে হবে। কল্পনার রয়েছে অসীম ক্ষমতা। এটি জ্ঞানের চাইতেও বেশি পরিধি সম্পন্ন। কারণ যিনি সব দিক থেকে অনেক বেশি জ্ঞান অর্জন করেছেন, যার অভিজ্ঞতা অনেক বেশি সর্বক্ষেত্রে তিনিই অনেক কিছু নিজের ভেতর থেকে কল্পনা করতে পারেন। সেই কল্পনাকেই বাস্তবতায় রূপ দেয়ার চেষ্টা তখন অনেক প্রবল হয়ে ওঠে। এতে করেই মানুষ ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়। অনেক ক্ষেত্রে আপনি যখন কোনো ব্যাপার নিয়ে কল্পনা করবেন তখন এই ব্যাপারটি সম্পর্কে আপনার আরো বেশি জানার আগ্রহ বাড়বে। জ্ঞানকে গুরুত্ব দিতে গেলে আপনাকে আগে কল্পনা করতে হবে এবং একটি কল্পনা যখন আপনি পরিকল্পনা মাফিক এগিয়ে নিবেন তার সাফল্য সময়ের ব্যপারমাত্র।

ফজলুর রহমান, সহকারী রেজিস্টার, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)