সোমবার ● ২৬ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » বিদেশ পাঠানোর কথা বলে ৫২ লাখ টাকা নিয়ে উধাও আদম ব্যবসায়ী
বিদেশ পাঠানোর কথা বলে ৫২ লাখ টাকা নিয়ে উধাও আদম ব্যবসায়ী
গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: বিদেশ পাঠানোর কথা বলে ১৬ জনের কাছ থেকে ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ঝালকাঠির এক আদম ব্যবসায়ী গা ঢাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার দুপুরে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে আদম ব্যবসায়ী জামাল মোল্লা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ মানিক। এ সময় আদম ব্যবসায়ীর প্রতারণার শিকার চাটখিলের ১৬ বাসিন্দা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত অভিযোগে মানিক জানান, ঝালকাঠি সদর উপজেলার হিমানন্দকাঠির মোতালেব মোল্লার ছেলে জামাল মোল্লা ঢাকার গুলশান এলাকার একজন আদম ব্যবসায়ী। গুলশানে জে এস ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি নেপালে শ্রমিক পাঠানোর কথা বলে গত বছর (২০১৯ সালে) বিভিন্ন সময় নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার ১৬ জনের কাছ থেকে ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেয়। কিছুদিনের মধ্যেই তাদের বিদেশে পাঠানো হবে জানিয়ে ১৬ জনের কাছ থেকে পাসপোটও নেয় সে। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও সে নেপাল পাঠাতে পারেনি তাদের। এক পর্যায়ে চলতি বছরের মার্চ মাসের মধ্যে টাকা ও পাসপোর্ট ফেরত দেওয়ার কথা বলে স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার করেন জামাল মোল্লা। মার্চ মাসের পরে সে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গুটিয়ে গা ঢাকা দেয়। প্রতারণার শিকার ব্যক্তিরা জামালের মুঠোফোনে কল করলে, টাকা ফেরত দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয়। টাকা চাইতে ঝালকাঠি আসলে তাদের মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেয় জামাল। আদম ব্যবসায়ীর কাছে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার লোকমান হোসেন দিয়েছেন চার লাখ ৫০ হাজার, আবদুস ছত্তার তিন লাখ, জাহাঙ্গীর আলম তিন লাখ, ইসমাইল হোসেন শান্ত চার লাখ ৫০ হাজার, ফয়েজ আহম্মেদ চার লাখ ৫০ হাজার, মো. আরমান তিন লাখ, মো. জুয়েল তিন লাখ, মোহাম্মদ আলী তিন লাখ, মো. নূর হোসেন তিন লাখ, মো. শাহা আলম তিন লাখ, মো. মহিনউদ্দিন তিন লাখ, নোমান হোসেন তিন লাখ, মো. জসিম উদ্দিন তিন লাখ, আবদুল আল মামুন তিনাখ, ইয়াকুব হোসেন সুমন তিন লাখ ও মাহামুদুল হাসান তিন লাখ। এ অবস্থায় টাকা ফেরত পেতে স্থানীয় সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
এ বিষয়ে জানার জন্য জামাল মোল্লার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
নলছিটিতে কিশোরীকে নিপীড়নের পর গা ঢাকা দিলেন শিক্ষক
ঝালকাঠি :: ঝালকাঠির নলছিটিতে এক কিশোরীকে (১২) নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে মো.রিপন হোসেন হাওলাদার নামে এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকে ওই শিক্ষক গা ঢাকা দিয়েছেন। তাঁর মুঠোফেনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় রবিবার রাতে ওই ছাত্রীর মা নলছিটি থানায় একটি মামলা করেছেন। অভিযুক্ত মো. রিপন হোসেন হাওলাদার উপজেলার মানপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। সে শহরের পুরানবাজার এলাকার মো.তাহের হাওলাদারের ছেলে। পুরানবাজার এলাকায় গত ২১ অক্টোবর (বুধবার) সকালে এ ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রীকে নিপীড়নের পর থেকে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য শিক্ষক রিপন হোসেন ও স্থানীয় একটি মহল চেষ্টা চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
অভিযোগসূত্রে জানাগেছে, শিক্ষক রিপন হাওলাদার ছয় সাত মাস ধরে ওই কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করতেন। মেয়েটি শহরের একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। গত ২১ অক্টোবর (বুধবার) সকাল ১০ টায় রিপন হাওলাদার ওই ছাত্রীকে তাঁর বাসার সামনে একা পেয়ে ঝাপটে ধরেন। সে কিশোরীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে নিপীড়ন করেন। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে রিপন সটকে পড়েন। এ ঘটনার পর থেকে তিনি ও স্থানীয় একটি মহল বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এমনকি কিশোরীর মাকেও মামলা না করার জন্য চাপ দেওয়া হয়। মেয়েটির পরিবার বিচারের দাবিতে পুলিশের স্মরণাপন্ন হলে গা ঢাকা দেয় শিক্ষক রিপন। এ বিষয়ে জানতে ওই শিক্ষকের মুঠোরফানে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
নলছিটি থানার ওসি আবদুল হালিম তালুকদার বলেন, মেয়েটিকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষক রিপন হাওলাদারের বিরুদ্ধে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
কাঁঠালিয়ায় বিষখালী নদীর চর থেকে জেলের লাশ উদ্ধার
ঝালকাঠি :: ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার দক্ষিণ কচুয়া পঞ্চানন্দ এলাকায় বিষখালী নদীর চর থেকে সোমবার সকালে মনির হোসেন (২২) নামের এক জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মনির হোসেন ওই এলাকার দিনমজুর শাহ আলম জোমাদ্দারের ছেলে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে ঝালকাঠি পুলিশ সুপার ফাতিমা ইয়াসমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ ও মৃতের স্বজনরা জানায়, মনির হোসেন পেশায় একজন জেলে। রবিবার রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে সে নিখোঁজ হয়। স্থানীয়রা সকালে কচুয়ার পঞ্চানন্দর বিষখালীর নদীর চরের একটি গাছের নীচে চাপা অবস্থায় দেখতে পায়। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কাঁঠালিয়া থানা ওসি পুলক চন্দ্র রায় জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাার প্রকৃত রহস্য উদঘটনের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।