শুক্রবার ● ৩০ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » কৃষি » হালদা নদী পরিদর্শনে মৎস্য মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম
হালদা নদী পরিদর্শনে মৎস্য মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম
আমির হামজা, রাউজান (দক্ষিণ) প্রতিনিধি :: দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী পরিদর্শন করেছেন মৎস্য মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম। আজ ৩০-অক্টোবর শুক্রবার সকালে নগরীর কালুরঘাট থেকে তিনি স্পিড বোড যোগে হালদার প্রায় ত্রিশ কিলোমিটার পানিপথ পরিদর্শন করেন।
জানা যায়, মৎস্য মন্ত্রী সর্তার ঘাট এলাকায় বিরতি দিয়ে স্থানীয় হালদা পাড়ের লোকজন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারজানা লাভলী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য মৎস্য সচিব রওনক মাহামুদ, ডিজি কাজী শামস আফোজ, রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ ও হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহুল আমিন।
এসময় মন্ত্রী হালদার মা মাছ ও জীব বৈচিত্র রক্ষায় সরকারের নেওয়া প্রকল্প বাস্তবায়নে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। এসময় মন্ত্রী হালদার নানা সমস্যাদির কথা শুনেন।
রাউজানে ৯৯৯-এ ফোন : বাল্যবিবাহ বন্ধ করলেও ইউএনও
রাউজান :: চট্টগ্রামের রাউজানে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সহায়তায় রাউজান ছালামত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করে ঐ কিশোরীর পাড়ালেখার দায়িত্ব নিলেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোনায়েদ কবির সোহাগ। গতকাল বৃহস্পতিবার গায়ে হলুদের রাতে বাল্যবিবাহটি বন্ধ করেন তিনি। জানা যায়, রাউজান ছালামত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার বাসিন্দা ও রাউজান পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের আশরাফ কলোনীতে বসবাসরত জনৈকের মেয়ের সাথে নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর থানার উত্তর নাউধারা গ্রামের বাসিন্দা ও রাউজান পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের খোরশেদ কলোনিতে বসবাসকারী মো. আব্দুল জব্বারের ছেলে শফিকুল ইসলামের বিয়ে ঠিক হয়। বৃহস্পতিবার গায়ে হলুদ শেষে শুক্রবার বিবাহ অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন একদল পুলিশ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে জন্ম নিবন্ধন সনদে মেয়ের ১৩ বছর বয়সের প্রমাণ পায়। রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ ও রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন মেয়ের অভিভাবকদের বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে বুঝালে তারা প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান। পরে পুলিশ বর ও বরের আত্মীয়কে থানায় নিয়ে যান। মুচলেখা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোনায়েদ কবির সোহাগ জানান, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে পুলিশ বিষয়টি আমাকে অবহিত করলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়। মেয়ের পরিবার আর্থিকভাবে অস্বচ্চল হওয়ায় মেয়েটির পড়ালেখার দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।