শুক্রবার ● ৩০ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » খেলা » রাজস্থলীতে মৈত্রী ফুটবল টুর্ণামেন্ট শেষ হয়েছে : চ্যাম্পিয়ন জুনিয়র তাইতং পাড়া
রাজস্থলীতে মৈত্রী ফুটবল টুর্ণামেন্ট শেষ হয়েছে : চ্যাম্পিয়ন জুনিয়র তাইতং পাড়া
চাইথোয়াইমং মারমা, রাজস্থলী প্রতিনিধি :: টান টান উত্তেজনা ও মৈত্রী বন্ধনের মধ্যে দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার ১ নং ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের খাগড়াছড়ি পাড়া উষা চক্রের আয়োজনে মাস ব্যাপী মৈত্রী ফুটবল টুর্নামেন্টে-২০২০ চ্যাম্পিয়নশীপ আজ ৩০ অক্টোবর শুক্রবার উপজেলার ছাইংখ্যং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
রাজস্থলীর তাইতংপাড়া জুনিয়র টিম একাদশ ১-০ গোলে ব্যবধানে গড়াছড়ি উষা চক্র একাদশ কে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করে।
খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন, রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অংনুচিং মারমা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ২ নং গাইন্দ্যা ইউপি চেয়ারম্যান উথান মারমা, গেষ্ট অপ অনার ছিলেন রাজস্থলী থানা অফিসার ইনচার্জ মফজল আহমদ খান। বিশেষ অথিতি ছিলেন ওসি তদন্ত সৈয়দ ওমর,রনি খিয়াং,উদয় মেম্বার, আনুমং মেম্বার ও রাজস্থলী প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. অজগর আলী খান।
প্রধান অতিথি বলেন, বর্তমান মহামারি কভিট ১৯ রাজস্থলী উপজেলায় স্বাভাবিক থাকায় এবং এ উপজেলায় পাহাড়ী বাঙ্গালীর মধ্যে সেতু বন্ধন হওয়ায় আজ এ দুর্গম পার্বত্য অজ্ঞলে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করে সম্প্রীতি বন্ধনের পরিচয় দিয়েছে। এ ভালবাসা সম্প্রীতি আমাদের রাজস্থলীতে অটুক থাকলে তাহলে আমরা উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আরো একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করবো। খেলাধুলায় মানুষের মনকে আনন্দ দেয় মন মানসিক বিকশিত দূর করতে পারে । খেলার ধুলার বিকল্প নাই। এ খেলায় কোন অপ্রতিকর ঘটনা না ঘটার কারনে তিনি আয়োজকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
মারমা ওয়াগ্যাইপোওয়ে উপলক্ষে শাক-সবজি বিক্রি করছে নৃ-গোষ্ঠী নারীরা
রাজস্থলী :: রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলায় বাংগালহালিয়া ইউনিয়নের একমাত্র ঐতিহ্য চৌ রাস্তা মোর সংযোগস্থল হাট বাজার বাংগালহালিয়া।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আজকে মারমাদের তথা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ওয়াগ্যাই পোওয়ে বা প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে যাক জম ভাবে বিভিন্ন শাক-সবজি খোলা বাজারে বিক্রি করছে পাহাড়ের বসবাসরত নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মারমা নারীরা। পাহাড়ের দূর্গম এলাকায় বিভিন্ন গ্রাম থেকে মারমা নারীরা বেঁতের তৈরি ঝুড়ি বা (থুরুং) তে শাক-সবজি বহন করে পরফ ও ওয়াগ্যাই পোওয়ে উপলক্ষে বেশি দামে বিক্রির আশায় মারমা নারীরা ফল মূল বিক্রি করতে দেখা যায়।
আজ ৩০ অক্টোবর বৌদ্ধ ধর্মের প্রবারণা ৩মাস মারমা সম্প্রদায়ের বর্ষাবাস শেষ হবে।
সকলে নারী ও পুরুষ যুবক যুবতীরা দায়ক-দায়িকারা মিলে সকাল বেলায় বিহারে গিয়ে বুদ্ধ কাছে ছোয়াইং পূঁজা করবে এবং বিহার ভিক্ষু কাছে ছোয়াইং দেয়া হবে। শুক্রবার বিকাল বেলা সন্ধ্যায় সময় নারী ও পুরুষ ছোট শিশুরাসহ সকলে মিলে পঞ্চাশীল, অস্টশীল, মোমবাতি গৌতম বুদ্ধের কাছে প্রার্থণা করা হয়। এই ওয়াগ্যাই মারমাদের ৩মাস বর্ষাবাস পালন করে থাকে বিহারে প্রধান ভিক্ষু সহ অন্যান্য ভান্তে রা কোন জায়গা গিয়ে রাত কাটাতে হতে বিরত থাকেন। সাধারণ দায়ক ও দায়িকারা ৩মাস মাছ মংস সহ বিভিন্ন পান হতে বিরত থাকতে দেখা যায়। মারমা সম্প্রদায় রা বৌদ্ধ ধর্মের নিয়ম নীতি মেনে ও পালন করছে। সকলে গৌতম বুদ্ধের প্রতি ভক্ত বিশ্বাসী। তাই বাজারে শাক-সবজি বিক্রি করতে আসা মারমা নারীরা জানান,আমরা প্রতি বছর মারমা ওয়াগ্যাই পোওয়ে উপলক্ষ্যে পাহাড়ের উৎপাদিত বিভিন্ন কাঁচা শাক-সবজি বিক্রি করে থাকি । সে টাকা পেয়ে আজ পরিবারবর্গ নিয়ে জীবিকা নির্বাহ জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় কিনা কাটা করে নতুন পোষাক পড়ে ছোট বড় সবাইকে নিয়ে বিহারে গিয়ে গৌতম বুদ্ধের ছোয়াইংসহ ভান্তে কাছে কিছুটা হলে দান করিব।