মঙ্গলবার ● ৩ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » গাজিপুর » গাজীপুরে পাসপোর্ট সেবায় গ্রাহকরা খুশি
গাজীপুরে পাসপোর্ট সেবায় গ্রাহকরা খুশি
মুহাম্মদ আতিকুর রহমান (আতিক),স্টাফ রির্পোটার :: গাজীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ষ্টাফদের সেবায় গ্রাহকরা খুশি। অফিসের কার্যক্রম ও সেবা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন পাসপোর্ট নিতে আসা জনসাধারণ।
গত ১ ও ২ নভেম্বর (রবিবার ও সোমবার) গাজীপুর টাউনের উত্তর রাজবাড়ি টাংকিরপাড় অবস্থিত গাজীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সরেজমিনে দেখা যায়, নিচতলার তথ্যসেবাকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য ও পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করছেন দুজন। তথ্য প্রদানের সেবার মান বাড়ানোর লক্ষ্যে নিয়মিত একজন কর্মকর্তার সঙ্গে রাখা হয়েছে তিনজন আনসার সদস্য। আছে নোটিশ বোর্ডে বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা। পাসপোর্ট ফরম কোথায় পাওয়া যায়, কিভাবে পূরণ করতে হয়, কোন ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া যায় এবং আরও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়। নূন্যতম শিক্ষিত যে কেউ কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই করতে পারবেন সেসব কাজ।
স্থাস্থ্যবিধি মেনে সময়মতো এবং যথাযথ সেবা দেওয়ায় ফরম জমা, ছবি তোলা ও আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া, পাসপোর্ট প্রদান সব শাখাতেই কাজ হচ্ছে ভালোভাবে। বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে কোনো ভিড় নাই। অতিরিক্ত লম্বা লাইনও নাই। ফলে ভোগান্তি ছাড়াই পাসপোর্ট করতে পারছেন গ্রাহকরা। দালালদের কোনো সুযোগই নেই এখানে।
মহিলাদের ছবি তোলা এবং আঙ্গুলের ছাপ দেওয়ার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শাহানাজ আক্তার (৩৩) বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো ঝামেলায় পড়ি নাই। ফরম পূরণ, ব্যাংকে টাকা জমা, সত্যায়িত করানো সব নিজেই করেছি।’ এই শাখায় বেশি সময় লাগছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বেশি না। একটু সময় লাগছেই। তবে অস্বাভাবিক নয়।’ তাই ভোগান্তি নেই বলেই জানালেন সেবা নিতে আসা অনেকেই।
পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্টের ফরম জমা দিতে এসেছেন গাজীপুর টাউনের কে ৬৫/১ পশ্চিম বিলাসপুরের বীর মু্িক্তযোদ্ধা মোঃ চান মিয়া (৭০)। অফিসের সেবার মান নিয়ে তিনি বলেন, ‘শুনেছিলাম দালাল ছাড়া পাসপোর্ট করা যায় না। কিন্তু এখানে এসে দেখলাম সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। পরিবেশ অনেক ভালো।’
গাজীপুর সদরের চান্দনা এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মতিন (২৮) জানান, তিনি পূর্বে একটি পাসপোর্ট থাকা সত্বেও পুন:রায় পাসপোর্টের আবেদন জমা দিতে আসলে জমা কাউন্টারে জিজ্ঞাসা করলে আমি বলি, আমার পূর্বের একটি পাসপোর্ট রয়েছে। অফিসের সকলের সহযোগিতায় আমার পূর্বের পাসপোর্টের নম্বর বের করে সমস্যা সমাধান করে আবেদন জমা নেন। ‘আমি পাসপোর্ট অফিসের সকলের সহযোগিতায় ও সেবায় মুগ্ধ ও সšুÍষ্ট।’
গাজীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক (এডি) মোরাদ চৌধুরী বলেন, পাসপোর্ট সংক্রান্ত সচেতনতার জন্য গ্রাহকদের সাথে নিয়মিত গনশুনানী ও প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছি। গাজীপুরের সকল নাগরিককে সঠিক পরিচয়, ঠিকানা অনুযায়ী এবং কোন কারণে বিদেশ গমন করার প্রয়োজন হলে সর্বপ্রথম শুধুমাত্র ই-পাসপোর্ট করার জন্য পরামর্শ প্রদান করি। কারণ বর্তমানে ই-পাসপোর্টে কোন সত্যায়ন না থাকায় পাসপোর্ট গ্রাহকরা নিজের ফরম নিজেই অনলাইনে পূরণ করতে অভ্যস্ত হচ্ছেন। যা ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক। মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা যাতে বাংলাদেশী পাসপোর্ট না পায় সে বিষয়ে আঙ্গুলের ছাপ এবং সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।