বুধবার ● ৪ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » টিসিবি’র মাল ওজনে কম দেয়ায় এলাকা জুড়ে তোলপাড়
টিসিবি’র মাল ওজনে কম দেয়ায় এলাকা জুড়ে তোলপাড়
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: নানা অভিযোগ, অনুযোগ ও অনিয়মের মধ্য দিয়ে ঝিনাইদহে চলছে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি। পণ্যের স্বল্পতা, ওজনে কম দেওয়া, দেরি করে স্পটে পণ্য নিয়ে আসা, জোর করে অপ্রয়োজনীয় পণ্য খরিদ করতে বাধ্য করা, দীর্ঘসময় ধরে লাইনে দাঁড় করানোর পর ‘পণ্য নাই’ বলে ক্রেতা বিদায় করে দেওয়ার অহরহ ঘটনা ঘটছে। এতে ক্ষুব্ধ হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। অভিযোগ রয়েছে, টিসিবির এক শ্রেণির কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কিছু অসৎ ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগসাজশ করে সরকারের এ উদ্যোগ ব্যর্থ করার পাঁয়তারায় লিপ্ত। তবে এসব অভিযোগ মানতে নারাজ টিসিবি। এদিকে ০৪ই নভেম্বর বুধবার ঝিনাইদহের বাইপাশ সড়কের আলহেরার সামনে অসহায় গরীবদের সরকারি টিসিবি’র মাল জে,কে এন্টারপ্রাইজ নামক ডিলার ওজনে কম দেয়ায় এলাকা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে! টিসিবি’র মাল খরিদ করতে আসা বাইপাশ ও আলহেরা এলাকার মিন্টু, রিমন, মিলন, বিপ্লবও মর্জিনা খাতুন ভিডিও ফুটেজে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, তাদের নিকটে চিনি, ডাল ১০০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত ১ কেজি ও কেজির প্যাকেটে ওজনে কম দেয়া হয়েছে। মর্জিনা বলেন, তার ২লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ে ৪০ টাকা বেশি নিয়েছে। সেসময় মালামাল বিক্রয়ে কর্মরতরা এবিষয়ে জে,কে এন্টারপ্রাইজের মালিক কুমারেশ চন্দ্র বিশ্বাসের মোবাইল নাম্বার না দেয়ায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এসব অনিয়মের বিষয়ে ঝিনাইদহের টিসিবির সহকারী পরিচালক ও অফিস প্রধান সোহেল রানা সাংবাদিকদের জানান, ঝিনাইদহ জেলায় মোট ৫৯টি ডিলার রয়েছে। সদরে রয়েছে ৩০টি ডিলার। ঝিনাইদহ শহর এলাকায় প্রতিদিন ৩টি স্থানে টিসিবি’র মালামাল বিক্রয় করা হয়। এসব মালামাল ওজনে কম দেয়া চরম অন্যায়। আর টিসিবি’রর মালামাল গেটের বাইরে চলে গেলে সেটা ডিসি সাহেবের দায়িত্বে চলে যায়। সুতরাং ডিসির সাথে কথা বললে ভাল হবে। মহামারি করোনাকালীন নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল ও সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকার টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে চিনি, ছোলা, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল ও আলু বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় পণ্যের সরবরাহ কম থাকায় সাধারণ ক্রেতা লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য পায় না। মানুষ মসুর ডাল বা পিয়াজের জন্য লাইনে দাঁড়ালেও প্রায়ই পাওয়া যায় না, আবার পেলে তার সঙ্গে চিনি নিতে বাধ্য করে। মসুর সয়াবিন তেল নিতে চাইলে ক্রেতার কাছে মসুর ডাল বিক্রি করে না। ‘খুচরা নাই’ এমন অজুহাতে রাখা হচ্ছে বাড়তি মূল্য। বাড়তি মূল্য দিতে না চাইলে ক্রেতাকে লাইন থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। ক্রেতা যখন খুচরা নিয়ে আসছেন, তখন আর আগের লাইনে দাঁড়ানো সুযোগ পাচ্ছেন না। দাঁড়াতে হচ্ছে নতুন লাইনে। আর নতুন লাইনে দাঁড়ালে আবার ঘণ্টা পার। আর পণ্যের ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ তো বহু পুরনো। সরকার নি¤œআয়ের মানুষের কাছে ন্যায্যমূল্যে মহামারি করোনাকালীন নিত্যপণ্য সরবরাহের লক্ষ্যে ঝিানইদহের বেশ কয়েকটি পয়েন্টসহ জেলার উপজেলা গুলোতে খোলা ট্রাকে করে এবং নির্ধারিত ডিলারদের মাধ্যমে গত ১৭ মার্চ থেকে এ কার্যক্রম শুরু করেছে। কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই অভিযোগ উঠেছে টিসিবির এই পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উপর। আর ডিলারদের খাম খেয়ালি তো রয়েছেই। সকাল ১০ টা থেকে সরকার নির্ধারিত স্পটে ট্রাক নিয়ে এসে পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরুর কথা থাকলেও বেলা ১২টার আগে স্পটগুলোয় ট্রাক আসে না। ১২টার পর এসে নানা ধরনের আনুষঙ্গিক কাজ সারতে পার করে দেয় ঘণ্টার বেশি সময়। এই দীর্ঘ সময় প্রচ- রোদে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে ক্রেতারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ বিষয়টির প্রতি ডিলার বা ট্রাক সেলের সঙ্গে সম্পৃক্তদের ভ্রূক্ষেপ নেই। এদিকে আলু চাইলে বলে বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। পিয়াজ কে কিনলো, কার কাছে বিক্রি করলো, তা আর খুঁজে পাওয়া যায় না। এ সব বিষয় জানতে চাইলে ঝিনাইদহ ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অফিস প্রধান সুচন্দন মন্ডল জানান, লিখিত অভিযোগ করলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া আমার সামনে ঘটলে অবশ্যই আমি ব্যাবস্থা নিব। উল্লেখ্য, গত ১৭ মার্চ থেকে খোলা ট্রাকে করে সয়াবিন তেল, চিনি, মসুর ডাল, ছোলা ও আলু বিক্রি করছে টিসিবি। প্রতিকেজি চিনি ৫০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ৫০ টাকা, লিটার প্রতি সয়াবিন তেলের ৮০ টাকা ও পিয়াজ ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ ২ কেজি চিনি, মসুর ডাল ২ কেজি, সয়াবিন তেল ৫ লিটার, পিয়াজ ২ কেজি খরিদ করতে পারবে।
সরকারী ঘর করে দিয়ে সমালোচনার মুখে শৈলকুপার চেয়ারম্যান
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন তার নিজের ভাই ভাতিজাদের সরকারী ঘর করে দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ঘর প্রাপ্তরা দুঃস্থ বা হতদরিদ্র নন। রীতিমত প্রভাবশালী এবং বংশ মর্যাদা সম্পন্ন হিসেবে এলাকায় পরিচিত। খোদ চেয়ারম্যানের পৈত্রিক ভিটাই বাহারী রঙের সরকারী ঘর সবার নজর কেড়েছে। এ ধরণের তিনটি সরকারী ঘর তিনি তার নিজের পরিবারের মধ্যে তৈরী করে দিয়েছেন। পথচারিরা এই সরকারী ঘর দেখছেন ও নানা মন্তব্য করছেন। সরেজমিন দেখা গেছে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে টিআর-কাবিটা কর্মসূচির আওতায় দূর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পের ২টি ও আগের বছরে জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পের একটিসহ মোট ৩টি পাকা সরকারি ঘর নির্মিত হয়েছে শৈলকুপার হুদামাইলমারী গ্রামে। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মকবুল হোসেন তার বড় ভাই মৃত আজিবর মন্ডলের ছেলে নজরুল ইসলাম ও শামছুল ইসলাম এবং মেজো ভাই মোকাদ্দেস মন্ডলের ছেলে আমিরুল ইসলামের একটি পাকা ঘর করে দিয়েছেন। আপন ভাই ভাতিজার ভিটেয় সরকারি পাকা ঘর তুলে দেওয়ায় এলাকাজুড়ে চাপা ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার মাসুদ রানা নামে এক ব্যক্তি জানান, চেয়ারম্যানের ভাই ভাতিজাদের নামে সরকারি ঘর করে দিলেও ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করেনা। গ্রামবাসি ভাষ্য আমিরুলের ছেলে ফিরোজুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলায় কর্মরত কৃষিব্যাংকের কর্মকর্তা। তাছাড়া চেয়ারম্যান পরিবারে যথেষ্ট সম্পদ এবং প্রভাব প্রতিপত্তি রয়েছে। শেরপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে নুর ইসলাম চুন্টু অভিযোগ করেন, তিনি প্রকৃত গৃহহীন হলেও একাধিকবার চেষ্টা করেও তিনি ঘর পান নাই। জরাজীর্ণ খুপরিঘরে দীর্ঘদিন বসবাস করছেন। শৈলকুপার ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিউটন বাইন জানান, আমি সবে মাত্র অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়েছি। এ ধারণের অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতার কথা আমার জানা নেই। তবে ২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২টি পাকা ঘর যদি কোন চেয়ারম্যান অবস্থাশালীদের দিয়ে থাকেন তবে সেটা হবে নিন্দনীয় কাজ। তিনি বলেন, ঘরের সুবিধাভোগীর নাম নির্বাচনের এখতিয়ার চেয়ারম্যানদের। এই সুযোগে এমনটি হতে পারে। হরিণাকুন্ডুর ইউএনও সাইফুল ইসলাম জানান, আমি শৈলকুপা থেকে বদলী হয়ে চলে যাচ্ছি। বিদায় বেলায় আমি কোন মন্তব্য করতে চাই না। তবে চেয়ারম্যানের আত্মীয় স্বজনরা যদি অসচ্ছল হয় তবে দিতে পারেন। এ ব্যাপারে মির্জাপুর ইউনিয়ন সচিব রকিব উদ্দীন আল-ফারুক জানান, যতুটুকু জানি চেয়ারম্যানের ভাই-ভাতিজাগনও খুব স্বচ্ছল নন। তবে ব্যাংক কর্মকর্তার ভিটে বাড়িতে ঘর তোলার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেনের বক্তব্য জানতে তার কাছে একাধিক ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শৈলকুপায় বীর মুক্তিযোদ্ধা’র মৃত্যু
ঝিনাইদহ :: ঝিানইদহের শৈলকুপা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শিকদার মোশাররফ হোসেন সোনা মৃত্যুবরণ করেছেন। বুধবার সকালে তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। জানা যায়, বুধবার সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিকদার মোশাররফ হোসেন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন। দুপুরের মধ্যেই ঝিনাইদহ হাসপাতাল থেকে তার মৃতদেহ শৈলকুপা পৌর এলাকার খালকুলা গ্রামের নিজ বাড়িতে পৌছাবে বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। বাদ আছর তার নামাজে যানাজা অনুষ্ঠিত হবে। মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিলো ৭২ বছর। তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে দেশ স্বাধীনে অংশ নেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি শৈলকুপা উপজেলার পরিষদের পরপর দুবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ও এর আগে দীর্ঘদিন যাবৎ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার : নিউজ না করার জন্য সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা
ঝিনাইদহ :: স্বাধীনতা পরবর্তী ভারত সরকারের দেওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় নাম নেই। স্বাধীন বাংলাদেশের মুক্তিবার্তায় প্রকাশিত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায়ও তার নাম নেই। ১৯৮৭ সালের জাতীয় তালিকায় তার নাম ছিল না। ২০০৯ সালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছায় কমিটি কর্তৃক প্রকাশিত তালিকায় তার নাম ছিল না। তারপর ভূয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ২০১১ সালের ডিসেম্বরে সংশোধিত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় নাম উঠিয়ে মাসিক ভাতাসহ যাবতীয় সুবিধা ভোগ করছেন। গত পাঁচ বছর হলো এভাবে তিনি সরকারের কোষাগার থেকে লাখ লাখ টাকা উত্তোলন করছেন। কথিত ওই মুক্তিযোদ্ধার নাম মোঃ হাফিজুর রহমান। সে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ১০ নং কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নের তেতুলবাড়িয়া গ্রামের মোঃ মল্লিক শেখের ছেল। খুলনা বিভাগীয় মুক্তযোদ্ধা নম্বর ১৯৮ এবং গ্যাজেট নম্বর ২১০৬। অভিযুক্ত এই মুক্তিযোদ্ধা ইতোমধ্যে তার এক ছেলে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশে চাকরী করছেন। এনিয়ে সম্প্রতি তার প্রতিবেশি তেতুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত গোলাম কুদ্দুস শেখের ছেলে আশরাফ আলী একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, মুক্তিযোদ্ধা চলাকালিন সময়ে তার হাফিজুর রহমানের বয়স ছিল ১১ থেকে ১২ বছর। ওই বয়সে সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। এমনকি ভারতে গিয়ে কোন প্রশিক্ষণেও অংশ নেয়নি। স্বাধীনতার এত বছর পর ২০০৮ সালে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক শেখ মজিবরের কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বৃদ্ধি কর্মসংস্থান বৃদ্ধির ঘোষনা দেন। এরপর নড়েচড়ে বসে এই চতুর হাফিজুর রহমান। এরপর আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় না উঠিয়ে নেয়। এরপর থেকে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সরকার ঘোষিত সমস্ত সুযোগ সুবিধা গ্রহন করে আসছেন। এব্যপারে অভিযুক্ত মোঃ হাফিজুর রহমান অভিযোগ সম্পর্কে জানান, একটি মহল আমার বিরদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। অনেক তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা স্বাক্ষি দিয়েছে আমিও মুক্তিযোদ্ধা। পরে নিউজ না করার জন্য এ প্রতিবেদককে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। তবে, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হেলাল উদ্দীন সরদার জানান, তার মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার বিষয়ে আমার জানা নেই। আমাদের সাথে এই নামে উপজেলায় কোন মুক্তিযোদ্ধা ছিল না। তাহলে কিভাবে মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত হলো এবং ভাতা উত্তোলন করেন এমন প্রশ্নে এই কমান্ডার বলেন, আইনের ফাক-ফোকর দিয়ে সে হয়তো তালিকাভুক্ত হয়ে থাকতে পারে। আর তালিকাভুক্ত হলে ভাতা তুলবে এটা স্বাভাবিক।
৮ বছর ধরে স্ত্রীর সন্ধানে পথে পথে ঘুরছেন স্বামী মন্টু মিয়া
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার দখলপুর গ্রামের গৃহবধু মনোয়ারা খাতুন ৮ বছর ধরে গুম রয়েছেন। এদিকে স্ত্রীর সন্ধানে পথে পথে ঘুরছেন মোঃ মন্টু মিয়া। লাশ উদ্ধারের খবর পেলেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান স্বামী মন্টু মিয়া। এ ভাবে এক যুগ কেটে গেছে, কিন্তু মমতাময়ী স্ত্রীর সন্ধান পাননি। জমির লোভে মনোয়ারাকে হত্যা করা হতে পারে এমন ধারণা করছেন স্বামী মন্টু মিয়া। মোঃ মন্টু মিয়া জানান, ২০১২ সালের ৭ মার্চ থেকে নিখোঁজ রয়েছে তার স্ত্রী। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে তাকে আমি খুঁজে পাচ্ছি না। এ ঘটনায় আমি হরিণাকুন্ডু থানায় ১৫/০৩/২০১২ ইং তারিখে সাধারণ ডায়েরি করি, যার নং ৪৭৫। স্বামীর অভিযোগ স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই পার্বতিপুর মৌজার দখলপুর গ্রামে স্ত্রীর নামে থাকা ০৪ শতক ভিটে তার চাচাতো ভাইয়েরা দখল করার চেষ্টা করতে থাকে। বছরের পর বছর নিখোঁজ থাকার কারণে এক সময় স্ত্রীর চাচাতো ভাই ইবাদ আলী, মঙ্গল মন্ডল ও শহিদ চার শতক জমিসহ বাড়িঘর জোর পুর্বক দখল করে নিয়েছে। এক সময় ওই বাড়িতেই স্বামী স্ত্রী হিসেবে সুখে শান্তিতে বসবাস করতো মন্টু মিয়া। স্ত্রীর অবর্তমানে উক্ত জমি ও বাড়িঘর স্বামী হিসেবে দেখভালের দায়িত্ব বর্তায় মন্টুর উপর। গ্রামবাসি জানান, মন্টুর শ্বাশুড়ি জয়গুন নেছা আমৃত্যু পর্যন্ত ওই বাড়িতে ছিল। বৃদ্ধ বয়সে মন্টু মিয়াই তাকে সেবা করেছে। অথচ স্ত্রীর নামে উক্ত চার শতক জমির যাবতীয় বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্তেও ওই বাড়িতে যেতে দিচ্ছে না। বাড়ি ও জমিতে গেলে মন্টুর চাচাতো শ্যালক ইবাদ আলী, মঙ্গল মন্ডল ও শহিদ আমাকে প্রাণ নাশের হুমকী দিচ্ছে। মন্টু জানান, তিনি পেশায় একজন দিনমজুর। স্যালো ইঞ্জন চালিত যনবাহন তিনি জীবিকা নির্বাহ করেন। এর আগে প্রতিবেশি সাত্তার তার শ্বাশুড়ির ৪৬ শতক মুল্যবান জমি দেড়শ টাকার স্ট্যাম্পে একটি বন্ধকী চুক্তিনামা দেখিয়ে দখলের চেষ্টা করেন।
পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলে হয়রানির শিকার গ্রাহক
ঝিনাইদহ :: সারাদেশে বিভিন্ন সময়ে হয়রানীর শিকার পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকগন তেমনি ভাবে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক মলিয়াট ইউনিয়নের ষাপবাড়িয়া গ্রামের মহাসিন সরকার যারএসএমএস হিসাব নম্বর ১০৪৮০৪১০৮২১৮৫ তিনি একজন প্রবাসী তার স্ত্রী জানালেন তিনটি লাইট একটি ফ্যান এবং একটা ফ্রিজ চলে আমাদের বাড়িতে যার বিল হয় আবাসিক রেটে। জানুয়ারীতে তার বিল ছিল ৫৭৬টাকা ফেব্রয়ারিতে ৩৯৬ টাকা মার্চ মাসে ৪৬৩ টাকা এপ্রিল মাসে ১০১৬ টাকা জুন মাসে ৮০৫টাকা জুলাই মাসে ২০৪টাকা আগস্ট মাসে ৭৫৭ টাকা সেপ্টেম্বর মাসে ৮৯৪টাকা অক্টোবর মাসে হঠাৎ তার বিল আসে ৮৬৭৪টাকা অন্যান্য বিল গুলো নিয়ম অনুয়ায়ি পরিশোধ করার পরও হঠাৎ এক মাসে মোটা অংকের বিদ্যুৎ বিল আসার কারণ সম্পর্কে জানতে মহাসিন আলীর স্ত্রী অফিসে যোগাযোগ করলে অফিস কর্তৃপক্ষ তাকে বলে আমরা আপনার মিটারের রিডিং যেটা পেয়েছি সেটাই লিখেছি। তিনি বলেন এর আগেও ক্রমেই বিদ্যুত বিল বৃদ্ধি পাওয়ার আমি অফিসে যোগাযোগ করলে তারা বলে আমার রিডিং মিটার নষ্ট তাই পরবর্তীতে আরেকটি নতুন মিটার স্থাপন করে দিয়ে যান অফিস কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আমার বাড়িতে হঠাৎ এত পরিমাণে বিদ্যুৎ বিল আশায় আমি অফিসে গেলে তারা আমাকে বলে মিটারের রিডিং এ যে বিল আছে সেটা আপনি পরিশোধ না করলে আপনার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। যদি বিভিন্ন সময়ে এভাবে গ্রাহকদের হয়রানি হতে হয় তাহলে সাধারন মানুষের শেষ কোথায়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কালিগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম আব্দুর রব বলেন আমরা এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা তার রিডিং মিটারটি খুলে নিয়ে এসেছি ওটা পরীক্ষা করার পর যদি ঠিক থাকে তাহলে অবশ্যই তাকে বিল পরিশোধ করতে হবে।
সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য তরিকুল ইসলামের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে শহরের থানা রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব মাহবুবার রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ডা: নুরুল ইসলাম, আয়নাল হাসান, তবিবুর রহমান মিনি, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম তোতা, নজরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম সাইদুল, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, জাবেদ আলী, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপি নেতা লিয়াকত আলী মাস্টার, আলী মোর্তুজা লিটু, প্রভাষক মুসা করিম, বিশারত আলী, আবু বক্কর রাজু, জাহিদ হাসান, পৌর বিএনপি নেতা শওকত হোসেন ফেলু, আবদুর রব, মহিউদ্দিন মহি, ফারুক হোসেন, শাহাজান আলী, উপজেলা যুবদল নেতা সুজাউদ্দিন পিয়াল, মোস্তফা কামাল টিটো, মঞ্জুরুল ইসলামত খোকা, আজিজুল ইসলাম লস্কার, পৌর যুবদল নেতা জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, ফিরোজ কবির, আসাদুল ইসলাম আসাদ, আবদুল লতিফ, ইমরান হোসেন, টিটন হোসেন, জাকির হোসেন, আতিয়ার রহমান মেম্বর, শ্রমিক দলের আব্বাস উদ্দিন, ফরিদ হোসেন, সবুজ হোসেন, মৎস্যজীবি দলের পৌর আহ্বায়ক নাজমুল কবির রিপন, পৌর তাঁতীদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন, কৃষকদলের দলের নেতা আমিন মোল্লা, রুহুল আমিন মেম্বর, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সোহেল রানা, বুলবুল আহমেদ, এসএম মাসুম পারভেজ, জাহাঙ্গীর হোসেন, আলমগীর হোসেন আলম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সহসভাপতি রাশিদুজ্জামান তুফান, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মারুফ বিল্লাহ, সদস্য সচিব মৌসুম উদ্দিন শোভন, যুগ্ম আহ্বায়ক আলাউদ্দিন আলা, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক জুয়েল রানা, সদস্য সচিব তরিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম নিরব, কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব কামরুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আলামিন হোসেন, হারুন অর রশিদ রাজা প্রমুখ। এ সময় বক্তারা বলেন, মরহুম তরিকুল ইসলাম ছিলেন গণমানুষের রাজনীতির সাথে আজীবন যুক্ত। দেশ ও দশের প্রতি সহমর্মী এই মানুষটি সবসময় নিজ আদর্শে ছিলেন অবিচল। জাতীয়তাবাদী রাজনীতির কল্যাণে গণমানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়ে সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক শোষণমুক্ত সমাজ এবং গণতান্ত্রিক, মানবিক ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই ছিল মরহুম তরিকুল ইসলামের রাজনীতির মূল লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে তিনি নিরলসভাবে কাজ করেছেন আজীবন।