বৃহস্পতিবার ● ৫ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » জাতীয় » মৌলবাদ-সাম্প্রদায়িতকা-ধর্মান্ধতা রুখে দাঁড়ান : বাম জোট
মৌলবাদ-সাম্প্রদায়িতকা-ধর্মান্ধতা রুখে দাঁড়ান : বাম জোট
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: লালমনিরহাটে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা ও কুমিল্লার মুরাদনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা-অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার ৫ নভেম্বর ২০২০, বাম গণতান্ত্রিক জোট আহুত প্রতিবাদ সমাবেশে জোট নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত হুঁশিয়ারি ব্যক্ত করেন।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সিপিবি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন, ইউসিএল’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশাররফ হোসেন নান্নু, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড ফখরুদ্দিন কবীর আতিক, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকম-লীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহীদুল্লাহ সবুজ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি কমরেড হামিদুল হক। সভা পরিচালনা করেন বাসদ নেতা কমরেড খালেকুজ্জামান লিপন।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ধর্ম অবমাননার কথিত অভিযোগে লালমনিরহাটে একদল মানুষ পৈশাচিক উন্মত্ততায় যেভাবে বর্বর হামলা চালিয়েছে, সেই বিভৎস ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। এ ধরনের বর্বর হামলা সামগ্রিকভাবে গোটা সমাজের জন্য হুমকিস্বরূপ। নেতৃবৃন্দ বলেন, লালমনিরহাটের ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয়, দীর্ঘদিনের উন্মত্ততার ধারাবাহিকতার অংশ। ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে এর আগেও দেশের বিভিন্ন স্থানে বর্বর হামলা চালানো হয়েছে। সরকার আক্রান্ত মানুষকে রক্ষা না করে, মৌলবাদী শক্তিকে ইন্ধন জুগিয়েছে। সরকারের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে পরিকল্পিতভাবে দেশে মৌলবাদের প্রসার ঘটানো হচ্ছে। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বাক্, ব্যক্তি, বিবেক ও ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার লড়াইকে বেগবান করার পাশাপাশি ধর্মান্ধতা, মৌলবাদের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সাম্প্রদায়িক উসকানি, উগ্রতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নেতৃবৃন্দ লালমনিরহাটে সহিদুন্নবী জুয়েল হত্যাকা-ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ও সুবিধাবাদী রাজনীতিকরা তাদের আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সুবিধা নিতে মুসলমানদের নবীর করুচিপূর্ণ কার্টুন প্রকাশের অনুমতি দিয়ে সারা পৃথিবীতে নৈরাজ্য তৈরিতে ভূমিকা রেখেছে তা নিন্দনীয়। আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। কিন্তু ফ্রান্সের ঘটনার রেফারেন্সে বাংলাদেশের কুমিল্লার মুরাদনগরে হিন্দুদের বাড়ি ও মন্দিরে অগ্নিসংযোগ এবং ভাঙচুর কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। নেতৃবৃন্দ মুরাদনগরে হিন্দুদের বাড়িতে আক্রমণকারীদের চিহ্নত করে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ধর্মানাভূতি কোনো একটা সম্প্রদায়ের একচেটিয়া নয়। সব ধর্মের মানুষের ধর্মানুভূতি রক্ষা করা প্রত্যেক সম্প্রদায়ের মানুষের অবশ্য কর্তব্য। কেউ যদি সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস সৃষ্টি করে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায় তবে বামপন্থিরা তা কঠোরভাবে প্রতিহত করবে।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন পথ প্রদক্ষিণ করে।