রবিবার ● ৮ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » মার্কিন জনগণ ট্রাম্পের উগ্রবর্ণবাদীতা, বিভক্তি-বিভাজন ও দায়িত্বহীন বেপরোয়া পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে
মার্কিন জনগণ ট্রাম্পের উগ্রবর্ণবাদীতা, বিভক্তি-বিভাজন ও দায়িত্বহীন বেপরোয়া পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে
ঢাকা :: বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন ও নির্বাচনী ফলাফল সম্পর্কে আজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারেরা ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুসৃত উগ্র বর্ণবাদীতা, শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্বের আক্রমণাত্মক তৎপরতা, মার্কিন সমাজে ঘৃণা, বিদ্বেষ, বিভক্তি-বিভাজন, চরম দায়িত্বহীনতা ও বেপরোয়া পদক্ষেপসমূহের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে এবং তুলনামূলক উদার মনোভাবাপন্ন ও সহনশীল ডেমোক্রাট প্রার্থী জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসকে বিজয়ী করেছে। নির্বাচনের ফলাফলের মাধ্যমে মার্কিন ভোটারেরা কথিত শে^তাঙ্গ মার্কিন জাত্যাভিমানের পাগলা ঘোড়ার লাগামও খানিকটা টেনে ধরতে পেরেছে, রাজনৈতিক পার্থক্যকে চরম হিংসা আর বৈরীতায় পর্যবসীত করার আক্রমণাত্মক তৎপরতাকে খানিকটা থমকে দিয়েছে। করোনা মহামারী ও বিশাল বেকারত্বের মত জরুরী সংকটসমূহ মার্কিন কর্পোরেট পুঁজির রাজনৈতিক প্রতিনিধি নতুন প্রেসিডেন্ট কিভাবে মোকাবেলা করবেন তার উপর তার সাফল্য নির্ভর করছে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মানবাধিকার, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, জ্বালানী নীতি, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আগ্রাসী মার্কিন সামরিক নীতি- কৌশলে নির্বাচিতরা কি পদক্ষেপ নেবেন বিশ্বাবাসী উদ্বেগের সাথে তা লক্ষ্য করবে। কারণ এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র-মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের যেসব অঙ্গীকার করেছিলেন তার অধিকাংশই তিনি রক্ষা করতে পারেননি।
তিনি উল্লেখ করেন, এবারকার মার্কিন নির্বাচনও বিলিয়ন ডলারের খেলায় পর্যবসিত হয়েছে; যেখানে দুই দলের প্রার্থীর যেকোন একজনকে ভোট দেয়া ছাড়া সাধারণ ভোটারদের আর কোন পথ থাকে না। তিনি বলেন, এই নির্বাচনের মধ্যেও মার্কিন নির্বাচনী ব্যবস্থার গভীর সব দুর্বলতা বেরিয়ে এসেছে।
বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন ডেমোক্রেট দলীয়দের প্রার্থী নির্বাচনকালে তরুণ ও সাধারণ মানুষের কন্ঠস্বর হিসাবে বার্নি স্যান্ডার্সের যেসব গণমুখী কর্মসূচি জো বাইডেন বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছেন মার্কিন জনগণ যৌক্তিক সময়ের মধ্যে এসব কর্মসূচির বাস্তবায়ন দেখতে চাইবে।