সোমবার ● ৯ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » জনদুর্ভোগ » আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স আছে, চালক নেই : জনদুর্ভোগ
আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স আছে, চালক নেই : জনদুর্ভোগ
নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন থেকে এ্যাম্বুলেন্স চালক না থাকায় রোগিরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। উপজেলার আড়াই লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার এক মাত্র ভরসাস্থল এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে গড়ে প্রতিদিন ২০০-২৫০ জন রোগী চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করে। চালক না থাকায় সরকারী এ্যাম্বুলেন্সের ভাড়ার তুলনায় অনেক বেশি ভাড়া দিয়ে প্রাইভেট গাড়িতে করে রোগি পরিবহন করতে হচ্ছে। এ কারণে একদিকে রোগির স্বজনা লোকসানের শিকার হচ্ছেন অপরদিকে চরম দুর্ভোগও পোহাতে হচ্ছে। কর্মকর্তাদের এমন উদাসীনতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রোগী ও উপজেলাবাসী।
আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স চালক মো. আসলাম পাভেজ টিপু গত সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখে বদলী হয়ে চলে যান মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তিনি বদলী হওয়ার পর দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাস অতিবাহিত হলেও এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন কোন এ্যাম্বুলেন্স চালক নিয়োগ দেয়া হয়নি। ফলে ওই সময় থেকে পদটি শূন্য রয়েছে। এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ দ্রুত চালক নিয়োগের ব্যাপারে জোড়ালো কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এখানে চালক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। দীর্ঘদিন থেকে এ্যাম্বুলেন্সের চালক না থাকায় সরকারী এ্যাম্বুলেন্স পড়ে থেকে অকেজো হয়ে যাবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল হিসেবে জটিল ও গুরুতর রোগিদের প্রতিনিয়ত এখান থেকে স্থানান্তর করা হয় নওগাঁ সদর হাসপাতাল অথবা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। স্থানান্তরিত রোগিদের পরিবহনের জন্য স্বজনদের ছুটতে হয় প্রাইভেট গাড়ির নিকট। সুযোগ বুঝে তারা সরকারী ভাড়ার তুলনায় অনেক বেশি অর্থ হাতিয়ে নেয় রোগিদের কাছ থেকে। এতে করে রোগিদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এ বিষয়ে উপজেলার বিশা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মোল্লা বলেন, গত কয়েক দিন আগে আমি সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে আহতাবস্থায় আত্রাই হাসপাতালে যাই। সেখান থেকে আমাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রাজশাহী যাবার জন্য সরকারী এ্যাম্বুলেন্সের চালক না থাকায় প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে প্রাইভেট একটি মাইক্রোবাসে আমাকে যেতে হয়। এতে আমার দুর্ভোগও পোহাতে হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. রোখসানা হ্যাপি বলেন, এ্যাম্বুলেন্সের চালকের পদ শূন্য হওয়ার সাথে সাথে আমি এখানে একজন চালক নিয়োগের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত ভাবে জানিয়েছে। এ ছাড়াও একাধিকবার মৌখিকভাবে আমি তাঁদেরকে জানিয়েছি। তাঁরা নিয়োগ না দিলে আমার করার কিছু নেই।
করোনা সংক্রামন রোধে নো মাক্স নো এন্ট্রি বিলবোর্ড স্থাপন
আত্রাই :: করোনার ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে নওগাঁর আত্রাইয়ে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘নো মাস্ক, নো এন্ট্রি নিশ্চিত করতে বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।
সোমবার সকালে উপজেলায় প্রবেশের প্রধান ফটোকের সামনে মাস্ক পরিধান ব্যতীত প্রবেশ নিষেধ, পরিষদ প্রাঙ্গনে মাস্ক পরিধান না করলে সেবা বন্ধ এবং উপজেলা পরিষদের ফটোকে মাস্ক পরিধান করুন সেবা নিন অনুরোধক্রমে উপজেলা প্রশাসন আত্রাই। এভাবেই উপজেলা বাসীকে দ্বিতীয় ধাপে শুরু হওয়া করোনা সংক্রামনের হাত থেকে রক্ষার্থে বিলবোর্ডগুলো স্থাপন করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছানাউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সকলকে মাস্ক পরিধান করে নিজেকে, পরিবারের সদস্যদের এবং দেশবাসীকে বৈশ্বিক করোনা ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষার্থে এ বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। এর পরেও মাস্ক পরিধান ব্যতীত কাউকে বাজারে ঘোরা-ঘুরি করতে দেখলে তার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।