মঙ্গলবার ● ১০ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » অপ-সাংবাদিকতা রোধে খাগড়াছড়িতে আলোচনা সভা
অপ-সাংবাদিকতা রোধে খাগড়াছড়িতে আলোচনা সভা
আব্দুল্লাহ আল মামুন, খাগড়াছড়ি :: খাগড়াছড়িতে অপ-সাংবাদিকতা রোধে সাংবাদিকদের অন্যতম সংগঠন পার্বত্য প্রেসক্লাব ও রিপোর্টার্স ইউনিটির যৌথ-আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবা ১০নভেম্বর দুপুরে পার্বত্য প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় গত ৬নভেম্বর’২০ খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন ও টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের অপসাংবাদিকতা রোধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহনের লক্ষ্যে আলোচনা সভার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
আলোচনা সভায় খাগড়াছড়ি রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি চাইথোয়াই মারমা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, জেলায় অনেকে স্কুল কলেজে শিক্ষকতাসহ সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করলেও সাংবাদিকতা পেশাকে আঁকড়ে ধরে আছেন। যথাশীঘ্রই তাদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ই্উনিয়নের সহযোগীতা নেয়া হবে।
পার্বত্য প্রেসক্লাবের সভাপতি দেব প্রসাদ ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য প্রেসক্লাব ও রিপোর্টার্স ইউনিটি ব্যাতীত জেলার অনেক প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক সংগঠনে সরকারী কর্মজীবিরা সদস্য হিসেবে কাজ করছেন।
সরকারী লাভজনক পদে থেকে কিভাবে তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এটি খতিয়ে দেখার জন্য সাংবাদিক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠাগুলোর দৃষ্টি আকর্ষন করা যাচ্ছ।
পার্বত্য প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জুলহাস উদ্দিন বলেন, সরকারী চাকুরীজীবিরা শুধু সাংবাদিক সংগঠনের সদস্য হিসেবে কাজ করছেন এমনটি নয়। তারা বিভিন্ন সময়ে প্রেস কাউন্সিল ও টিআইবিসহ সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণসহ নানান সুযোগ সুবিধা গ্রহন করছেন। এতে করে প্রকৃত পেশাজীবি সাংবাদিকরা বঞ্চিত হচ্ছেন। সাংবাদিকদের একটি মহল এদের আশ্রয় প্রশ্রয়দাতা, এমনকি এটি কারো অজানা নয় কারা এসব সাংবাদিক লেবাসধারী সরকারী কর্মচারী।
সিনিয়র সাংবাদিক এস চাঙমা সত্যজিৎ বলেন, যারা সরকারী চাকুরী করেও সাংবাদিক পরিচয় দেয় তারা অপ, হলুদ নাকি লাল সাংবাদিক। বিষয়টি আগে নিশ্চিত হওয়া জরুরী।
পার্বত্য প্রেসক্লাবের অর্থ-সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের মতে, অপ-সাংবাদিকতা রোধ ও চিহ্নিতকরণে জেলার সিনিয়র সাংবাদিক তরুন কুমার ভট্টাচার্য, আজিম-উল হক, জহুরুল আলমসহ অন্যান্য সিনিয়র সাংবাদিকদের পরামর্শ নিয়ে এগুনো যায়।
পার্বত্য প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটির অন্যতম সদস্য সুজন বড়ুয়া তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, জেলায় অপ-সাংবাদিকে ভরে গেছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে না পারলে পরবর্তী প্রজন্ম সাংবাদিকতায় পিছিয়ে পড়বে। তাই তরুনদের এগিয়ে নিতে সিনিয়রদের নেতিবাচক মনোভাব পরিহার করে ইতিবাচক মনোভাবের উদয় হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আলোচনায় বক্তারা খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন ও টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের অপ-সাংবাদিকতা রোধের উদ্যোগকে একটি মহৎ ও যুগোপযোগী বলে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি তাদের এ উদ্যোগে সহযোগী হিসেবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
যৌথ-আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য প্রেসক্লাব ও রিপোর্টার্স ইউনিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।