শিরোনাম:
●   রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ●   চুয়েট অফিসার্স এসোসিয়েশনের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত ●   আবুরহাট দুরন্ত সংঘের কমিটি ঘোষণা ●   গণমাধ্যম কমিশন সিলেটের বিভাগীয় কমিটির পরিচিতি সভা ●   বাজার ব্যবস্থা সংস্কার করে জনগণকে রক্ষা করুন : সাইফুল হক ●   রাউজানে ব্যবসায়ী হত্যা ৪৮ ঘণ্টায় হয়নি মামলা ●   মাটিরাঙ্গায় চলাচল রাস্তা বন্ধের অভিযোগ ●   মিরসরাইয়ে ১০ কেজি গাঁজা সহ আটক-১ ●   নবীগঞ্জে অষ্টপ্রহরব্যাপী কীর্তন বিভিন্ন পেশার মানুষের ঢল ●   ঈশ্বরগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ●   ঝালকাঠিতে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি নেতার পদ স্থগিত ●   ঈশ্বরগঞ্জে মুদি দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি ●   কুষ্টিয়া মোহিনী মোহন বিদ্যাপীঠে বার্ষিক ক্রীড়া পুরস্কার বিতরণী ●   বিএনপি নেতার বাড়িতে মিলল ইয়াবাসহ ২০ লাখ টাকা ●   কাউখালীতে কৃষক দলের সমাবেশ অনুষ্ঠিত ●   ঈশ্বরগঞ্জে বোনের বিরুদ্ধে ভাইদের সংবাদ সম্মেলন ●   রাজনৈতিক ভিন্নতার মধ্যেও জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা দরকার ●   পানছড়িতে ওলামা দলের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত ●   রাউজানে ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা ●   গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন হাসপাতালের টেন্ডার যুবলীগ নেতার ফার্মে দেওয়ার পাঁয়তারা ●   রাউজানে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ●   কাউখালিতে দিনব্যাপী সম্প্রীতি ফুটবল টুর্ণামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সোনাইছড়ি একাদশ ●   দাবি না মানলে ২৮ জানুয়ারি থেকে কর্ম বিরতি ●   ঈশ্বরগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ●   আত্রাইয়ে গাঁজাসহ গ্রেপ্তার-২ ●   আত্রাইয়ে হাতুরিতে আহত কৃষি শ্রমীকের মৃত্যু ●   সিলেটে বনভান্তের ১০৬ তম জন্মবার্ষিকী পালন ●   রংপুর বিভাগীয় ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নে নির্বাচনী তফসীল ঘোষণা ●   রাঙামাটি জেলা বিএনপির নেতা সাইফুল ইসলাম ভুট্টোর দলীয় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ●   কাউখালিতে দিনব্যাপী সম্প্রীতি ফুটবল টুর্ণামেন্ট আগামী ২৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে
রাঙামাটি, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
মঙ্গলবার ● ১৭ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » দিনাজপুর » ঘোড়াঘাটে ঘরে ঘরে অনুষ্ঠিত নবান্নের আয়োজন
প্রথম পাতা » দিনাজপুর » ঘোড়াঘাটে ঘরে ঘরে অনুষ্ঠিত নবান্নের আয়োজন
মঙ্গলবার ● ১৭ নভেম্বর ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ঘোড়াঘাটে ঘরে ঘরে অনুষ্ঠিত নবান্নের আয়োজন

ছবি : সংবাদ সংক্রান্তসুলতান কবির, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :: ঘরে নতুন ধান! আত্মীয় স্বজনদেরকে নিয়ে পিঠা পুলির এক মহা উৎসব। অগ্রহায়ণ মাস জুড়েই প্রতিটি বাঙ্গালী ঘরের চিত্র এটি। আর এই আয়োজনকেই বলা হয় হেমন্তের প্রাণ বা নবান্ন উৎসব। কৃষকের সোনালী হাসির এই নবান্নের স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি উপজেলার বাঙ্গালী পরিবার গুলোর মাঝে।

আজ থেকে শুরু হলো অগ্রহায়ণ মাস। আর পয়লা অগ্রহায়ণ মানেই বাঙ্গালী গেরস্থ বাড়িতে উৎসবের আমেজ। মাঠ থেকে সোনালী ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা। নতুন ধানের গন্ধে ম ম উঠান বাড়ি। পাশাপাশি নতুন ধানের পিঠা, পুলি, পায়েশ রান্নাতে ব্যস্ত বাঙ্গালী পরিবার গুলো। ঘোড়াঘাট সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, বাড়িতে মেয়ে-জামাই, আত্মীয়-স্বজনদেরকে নিয়ে আনন্দে মেতে উঠেছে বাঙ্গালী পরিবার গুলো। নেচে গেয়ে মনের আনন্দে কাঠের ঢেঁকিতে আটা কোটা ও পিঠা পুলি তৈরিতে ব্যস্ত মেয়েরা। নবান্নকে ঘিরে বেশ কয়েকটি গ্রামে জবাই করা হয়েছে গরু ও মহিষ। ভোর থেকে মাংস কিনতে ভীড় জমাচ্ছে বাড়ির জামাই সহ পরিবারের পুরুষ সদস্যরা। অনেক জায়গায় নবান্নকে ঘিরে চলছে পিকনিক। সবচেয়ে বেশি আনন্দে মেতে উঠেছে বাঙ্গালী আদিবাসী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিবার গুলো। পিঠা-পুলির পাশাপাশি বিভিন্ন আদিবাসী নৃত্য ও সঙ্গীতে আত্মহারা হয়ে উঠেছে তারা।

তবে আগেকার সেই নবান্ন উৎসব এখন আর চোখে পড়ে না। দিন পরিবর্তনের সাথে সাথে হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙ্গালী জাতির সেই চির চেনা নবান্ন উৎসব। আগে প্রতিটি বাঙ্গালী পরিবারেই হতো নবান্নের মহা আয়োজন। তবে এখন কিছু কিছু বাঙ্গালী গেরস্থ বাড়িতে স্বল্প পরিসরে এই আয়োজন হয়। সেটাও আগেকার মত জমকালো নয়। গ্রামে তাও দেখা মেলে নবান্ন আয়োজনের। কিন্তু শহরে এর কোন ছাপ নেই। শহরের নবান্ন মানে পিঠা-পুলির দোকান। আর সেই সব দোকান থেকে পিঠা-পুলি কিনে খাওয়া। আগেকার দিনের সেই নবান্নের আংশিক স্বাদ পাওয়া যায় গ্রামের পরিবার গুলোতে। বাড়ির একদিকে মা-দাদিরা কাঠের ঢেঁকিতে নতুন ধানের আটা কুটতে ব্যস্ত। অপর দিকে বাড়ির উঠোনে বোন, ভাবী, চাচীরা ব্যস্ত নানান রং বেরং এর পিঠা-পুলি ও পায়েশ-খীড় তৈরিতে।

কানাগাড়ী গ্রামের কৃষক আব্দুল জব্বার বলেন, নবান্নের প্রকৃত স্বাদ কেবল কৃষকরাই পায়। মাসের পর মাস পরিশ্রম করার পর ফসল ঘরে তোলার মাঝে কি যে আনন্দ, তা বলে বোঝানো যাবে না। আবার নতুন ধানের পিঠা-রুটিতেও থাকে অন্য রকম স্বাদ।

জালালপুর গ্রামের আদিবাসী কৃষক পাল্টন হেমরম বলেন, ‘হামরা সারা বছর কৃষানী করে খাই। বছরের এই একটা সময় বেটি-জামাই নিয়ে আনন্দ করি। হামার হেরে বাপ দাদার আমলে আরো বড় বড় আয়োজন হচ্ছিল। এখন তো আর ওগলা হয় না।’

ঘোড়াঘাট পৌর নাগরিক কমিটির সভাপতি আনিসুর রহমান বলেন, আমরা আগে যে নবান্ন দেখতাম আর এখন যে নবান্ন উৎসব পালিত হয়, তার মাঝে অনেক পার্থক্য। নবান্ন উৎসবের সেই প্রফুল্লতা এখন আর আমাদের মাঝে নেই। বর্তমান প্রজন্ম নবান্ন সম্পর্কে জানেই না। বাঙ্গালী জাতির এই মহা উৎসবকে টিকিয়ে রাখতে গেলে আগেকার দিনেই সেই সাংস্কৃতি চর্চা চালিয়ে যেতে হবে। নতুন প্রজন্মকে বাঙ্গালী জাতির সেই ইতিহাস জানাতে হবে। আমাদের আন্তরিকতার অভাব এবং অধিক ডিজিটালাইজেশনের কারণে এই উৎসব গুলি আর তেমন চোখে পরে না।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)