বুধবার ● ১৮ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃতদেহ কবরস্থানে দাফন করতে না দেয়ার প্রতিবাদে মাটিরাঙ্গায় মানববন্ধন
বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃতদেহ কবরস্থানে দাফন করতে না দেয়ার প্রতিবাদে মাটিরাঙ্গায় মানববন্ধন
অন্তর মাহমুদ, মাটিরাঙ্গা প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান এর মৃতদেহ তবলছড়ি কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করতে না দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কর্মসুচী পালন করেছেন খাগড়াছড়ি জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানরা।
মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধারা তবলছড়ি কেন্দ্রীয় কবরস্থান পরিচালনা কমিটির স্বেচ্ছাচারিতার শিকার হওয়ার অভিযোগ করে মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান এর মৃতদেহ তার অসিয়তকৃত কবরস্থানে সমাহিত করতে না দেয়ার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান।
আজ বুধবার দুপুরে মাটিরাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে ঘন্টাব্যপী মানববন্ধনে এই দাবী জানান মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানরা। মাটিরাঙ্গা পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম এর সভাপতিত্বে¡ মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মো. রইচ উদ্দিন। মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, খাগড়াছড়ি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হানিফ হাওলাদার, মাটিরাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনছুর আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. খলিলুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কাশমে, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সংসদ কমান্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান ইমরান দ্রোহী ও খাগড়াছড়ি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি মো. হারুন মিয়া প্রমুখ ।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, এমন হীন কর্মকান্ডের দায় এড়াতে পারেন না তবলছড়ি কেন্দ্রীয় কবরস্থান পরিচালনা কমিটি । তারা তবলছড়ি কেন্দদ্রীয় জামে মসজিদ ও কেন্দ্রীয় কবরস্থানের সভাপতি তবলছড়ি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূইয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বসার (প্রকাশ ইটালী বসার) সহ কমিটির সকল সদস্য এই বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর খনন করতে গেলে বাধা প্রদানসহ কবর খননকারীদের উপর লাঠি-সোটা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েন, শুধু ঝাপিয়ে পড়ে ক্ষান্ত হননি, অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কুটুক্তি মূলক কথা বার্তা বলে তাদের হেনস্থা করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্র প্রদত্ত অধিকার নিশ্চিত করণের লক্ষে এই হীন কর্মকান্ডের মূল হোতা সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেমসহ সকলকে নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত পূর্বক আইনের আওতায় নিয়ে এসে সর্বোচ্চ শাস্তিরপ্রদানের দাবী জানান।