বৃহস্পতিবার ● ১৯ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » ঢাকা » আগামীতে বাড়ী বাড়ী পুলিশ পাঠিয়েও ভোট কেন্দ্রে ভোটার আনা যাবে কিনা সন্দেহ : সাইফুল হক
আগামীতে বাড়ী বাড়ী পুলিশ পাঠিয়েও ভোট কেন্দ্রে ভোটার আনা যাবে কিনা সন্দেহ : সাইফুল হক
ঢাকা :: বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন বিরোধী রাজনীতি ও মতকে দমন করতে যেয়ে ও সকল ক্ষেত্রে নিরঙ্কুশ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে যেয়ে ন্যূনতম গণতান্ত্রিক পরিসরকে ধ্বংস করে দিয়েছে; প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দিয়েছে, সরকারি দলের প্রার্থীদেরকে বিজয়ী ঘোষণা করার জন্য নির্বাচনী তামাশার আয়োজন করা হচ্ছে। এই তামাশায় সরকারি দলের সমর্থক আর ভোটারেরাও ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ ও উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে। একতরফা এই তৎপরতায় সময় ও রাষ্ট্রীয় অর্থেরও বিপুল অপচয় করা হচ্ছে। এই ধরনের অপচয় নিয়ে জনগণের মধ্যেও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এভাবে চলতে দিলে আগামীতে বাড়ী বাড়ী পুলিশ পাঠিয়েও ভোটারদেরকে ভোটকেন্দ্রে আনা যাবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। তিনি বলেন, এই ব্যবস্থার খোল-নলচে পাল্টানো ছাড়া বাংলাদেশের কোন গণতান্ত্রিক ভবিষ্যত নেই। তিনি ভোটাধিকারসহ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিশ্চিত, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, ভোটের আনুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্ব নির্বাচনসহ জনগণের জীবন-জীবিকার আশু গণতান্ত্রিক দাবির ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম জোরদার করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিদ্যমান ব্যবস্থার পরিবর্তন ছাড়া স্থানীয় সরকারের নির্বাচনও পর্যবসিত হবে।
আজ ১৯ নভেম্বর পার্টির সাংগঠনিক প্লেনাম প্রস্তুতি কমিটির সভায় তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। বৃহস্পাতিবার দুপুরে সেগুনবাগিচায় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সভা শুরু হয়েছে।
প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আকবর খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব আবু হাসান টিপু, কমিটির সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আনছার আলী দুলাল, রাশিদা বেগম, সজীব সরকার রতন ও মাহমুদ হোসেন প্রমুখ।
সভায় সাংগঠনিক প্লেনামের বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সভায় আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পার্টি সদস্যদের যাচাই-বাছাই ও নবায়নের কাজ সমাপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভার শুরুতে মার্কসবাদী সাহিত্যের বিশিষ্ট অনুবাদক ও লেখক সেরাজুল আনোয়ারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয় এবং তাঁর স্মৃতির প্রতি সম্মান জানাতে ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।