বুধবার ● ২৫ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » চট্টগ্রামে বলৎকারের শিকার মাদরাসা ছাত্র ৫ বছরেও পায়নি ন্যায় বিচার
চট্টগ্রামে বলৎকারের শিকার মাদরাসা ছাত্র ৫ বছরেও পায়নি ন্যায় বিচার
রাউজান প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের রাউজানের এক শিশু চট্টগ্রাম নগরীর নাছিরাবাদ আল মাদরাসাতুল ইসলমিয়া মিছতাহুল উলুম মাদরাসায় গত ২০১৫ সালে মাদরাসা মুহতামিম আবদুল জব্বার কর্তৃক বলৎকারের শিকার হলেও দীর্ঘ ৫ বছরেও পায়নি ন্যায় বিচার। এ নিয়ে শিশুটির পরিবার হতাশা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। দীর্ঘ ৫ বছর আগে বলৎকারের শিকার শিশুটি রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের উনসত্তরপাড়া গ্রামের মো. ফেশকারের ছেলে মো. রহমত উল্লাহ। ছুটিতে গেলে শিশুটি মুখ খুললে শিশুটির বাবা ২০১৫ সালের ২৮ আগস্ট চট্টগ্রাম আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দম ট্রাইব্যুনাল -০২ অভিযোগ দিলে বিজ্ঞ আদালত এহাজার হিসেবে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় এন্ট্রি করার জন্য আদেশ দেন। পরে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় একটি মামলা (মামলা নং-০৩ (০৮) ১৫ইং রেকর্ড করা হয়। এর প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত মাদরাসা পরিচালক, বাঁশখালি উপজেলার উত্তর জলদি গ্রামের মৃত রশিদ আহমেদের ছেলে আবদুল জব্বারকে আটক করা হলেও তৎকালীন বায়েজিদ বোস্তামী থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অভিযুক্তকে ছেড়ে দেন। পরে এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-০৪, চট্টগ্রাম আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জমিউল হায়দারের আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা (মামলান নং ১৩৬/২০১৯ ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত-২০০৩) এর ৯(১) /১০ করা হয়। এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ স্বাক্ষী ২২ ধারা জবানবন্দী রেকর্ডকারী বিজ্ঞ বিচারক ঝলক রায় সাক্ষ্য গ্রহণ ব্যতিরেখে মামলার স্বাক্ষগ্রহণ কার্যক্রম বন্ধ করে মামলটি আজ বুধবার ২৫ নভেম্বর আসামীকে পরিক্ষার জন্য তারিখ ধার্য করেন। তাতে মামলার অসহায় বাদী ফেশকার ও ভিকটিম চরম হতাশ হন। তারা ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়েও সংকিত। এই প্রসঙ্গে মামলার বাদি বলৎকারের শিকার শিশুর বাবা ফেশকার বলেন, আমার ছেলে গত ৫ বছর আগে বলৎকারের শিকার হলেও আমরা ন্যায় বিচার পাচ্ছি না। আমার ছেলেকে যে হুজুর বলৎকার করছিল তাকে আটক করা হলেও তৎকালীন বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি প্রদীপ কুমার মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন।উল্লেখ্য, গত ২০১৫ সালের ০১ মে ৩টায় এবং পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ২৩ মে ১০টায় বলৎকার করা হয়। ছুটিতে গেলে শিশুটি মুখ খুললে শিশুটির বাবা ২০১৫ সালের ২৮ আগস্ট চট্টগ্রাম আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দম ট্রাইব্যুনাল -০২ অভিযোগ দিলে বিজ্ঞ আদালত এহাজার হিসেবে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় এন্ট্রি করার জন্য আদেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এজাহার অর্ন্তভুক্ত করে আসামীকে আটক করে থানা হাজতে নিয়ে গিয়ে অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেন। বর্তমানে মামলটি বিচারাধীন।