বুধবার ● ২৫ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা’র মনগড়া মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়ে তিন সংগঠনের নিন্দা
চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা’র মনগড়া মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়ে তিন সংগঠনের নিন্দা
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিপুল চাকমা,গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি অংগ্য মারমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নিরুপা চাকমা তিন সভাপতি সংগঠনের পক্ষে থেকে আজ মঙ্গলবার ২৫ নভেম্বর গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান,
বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ে ম্রো জনগোষ্ঠীদের ভোগদখলীয় আনুমানিক এক হাজার একর জমি জোরপূর্বক দখল করে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সিকদার গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান আর আর হোল্ডিংস কর্তৃক পাঁচতারকা হোটেল ও বিনোদন পার্ক নির্মাণ উদ্যেগের বিরুদ্ধে সারাদেশে অব্যহত নিন্দা ও প্রতিবাদের মূখে উক্ত বিতর্কিত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পক্ষে সাফাই গেয়ে গত ২২ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করেছেন বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি চিম্বুকের নাইতং পাহাড়ে বর্তমানে ও পূর্বে কোনো ম্রো বসতি ছিল না বলে উল্লেখ করেছেন। অপরদিকে তিনি আরও বলেন, “উক্ত জমিতে পরিষদের তত্ত্বাবধানে কৃষি প্রযুক্তি ও উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতি প্রদর্শনীর মাধ্যমে সেখানকার স্থানীয় জনগণের কৃষিভিত্তিক জীবিকা নির্বাহের পথ সুগম করার লক্ষ্যে ২০১১ সালে স্থানীয় ম্রো নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ২০ একর ৩য় শ্রেণীর ভূমি পরিষদের নামে বন্দোবস্তি নেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়।”
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পরষ্পর বিপরীতমূখী এই দ্বিচারি বক্তব্যে স্পষ্ট যে শাসকগোষ্ঠীকে লাভবান করতে এবং পরিষদে নিজের চেয়ার আরও পাকাপোক্ত করতে তিনি যেনতেনভাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
তার এই বক্তব্যে আমরা বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং একই সাথে শাসকগোষ্ঠীকে লাভবান করতে তার এই উদ্দেশ্যপ্রনোদিত বক্তব্য প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি উক্ত জমিটি জেলা পরিষদের নামে এখনো বন্দোবস্তি হয়নি বলে উল্লেখ করলেও, কোন অধিকারে জেলা পরিষদ সেনাবাহিনীর সাথে চুক্তি করে উক্ত জমি ৪০ বছরের জন্য তাদের কাছে লীজ দিয়েছে তা জানাতে পারেননি। এবং সেনাবাহিনীর সাথে চুক্তিতে ১৮ টি শর্তের কথা বলা হলেও, মাত্র ৬টি শর্ত প্রকাশ করেছেন। বাকী শর্তগুলো কী ছিল তা যথেষ্ট সন্দেহ ও আতঙ্ক উদ্রেক করে।
ইতিমধ্যে চিম্বুক পাহাড়ে ম্রোদের দৈনন্দিন কাজে বাঁধা প্রদান করা হচ্ছে এবং সীমানা পিলার ও খুঁটি গেড়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ আরম্ভ করা হয়েছে বলে আমরা স্থানীয় সূত্রে জানতে পেরেছি।
এমতাবস্থায়, বান্দরবান জেলা পরিষদ ও সেনাবাহিনীর মধ্যেকার সম্পাদিত চুক্তি বাতিল পূর্বক আমরা বান্দরবানের নাইতং পাহাড়ে ম্রোদের উচ্ছেদ করে পাঁচতারকা হোটেল নিমার্ণ ও বিনোদন পার্ক নিমার্ণ প্রকল্প বন্ধ করার এবং স্থানীয় ম্রো জাতিসত্তাদের নিজ ভূমিতে শান্তিপূর্ণ বসবাসের নিশ্চয়তা প্রদানের আহ্বান জানায়।