মঙ্গলবার ● ১ ডিসেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » ভাস্কর্য ভাঙার হুমকির প্রতিবাদে গাইবান্ধা থিয়েটারের মানববন্ধন
ভাস্কর্য ভাঙার হুমকির প্রতিবাদে গাইবান্ধা থিয়েটারের মানববন্ধন
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর হুমকির প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোডে এক মানববন্ধনের কর্মসূচি পালিত হয়। গাইবান্ধা থিয়েটার এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
এতে সাংস্কৃতিক কর্মী, রাজনীতিক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, সমাজকর্মী বিভিন্ন নাট্য সংগঠনের নিজস্ব ব্যানারসহ অংশ গ্রহণ করেন।
গাইবান্ধা থিয়েটারের সভাপতি আলমগীর কবির বাদলের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার কার্যকরী সভাপতি আমিনুল ইসলাম গোলাপ, সুরবানী সংসদের সভাপতি আবু জাফর সাবু, নাট্যজন ফারুক শিয়র চিনু, গণফোরাম জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ময়নুল ইসলাম রাজা, ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর জামান রিংকু, নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দাস দিপু, সমাজকর্মী জাহাঙ্গীর কবির তনু, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জনি, বাসদের মঞ্জুরুল ইসলাম মিঠু, নাট্যকর্মী খন্দকার শামীম আহমেদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জাতির পিতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর অপতৎপরতা যে কোন মূল্যে প্রতিহত করা হবে। ভাস্কর্য স্থাপনে এই অপশক্তির কোন বাধা এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ মেনে নেবে না।
বক্তারা মানববন্ধন থেকে প্রতি জেলায় বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য নির্মাণের দাবি জানান। জেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও থিয়েটার গ্রুপ নিজস্ব ব্যানারসহ এই মানববন্ধনে অংশ নেয়।
পানি ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে সরকার- ডেপুটি স্পীকার
গাইবান্ধা :: স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের নীলকুটি ভাঙ্গামোড় এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রন অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। মঙ্গলবার এ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার মো: ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান কবির, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, সিনিয়র সহকারি প্রকৌশলী সাবিউল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল আজাদ শীতলসহ জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ। এই বন্যা নিয়ন্ত্রন অবকাঠামোটি নির্মাণে ১ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
ডেপুটি স্পীকার বলেন, সরকার পানি ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে তখন জনগন কিছু পায়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খাদ্যের চাহিদা নিশ্চিত করতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রনোদনার মাধ্যমে পূর্নবাসন করায় খাদ্য উৎপাদান বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে কৃষকরা নতুন ফসল চাষের মধ্যে দিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে। এতে করে কৃষকরা স্বাবলম্বী হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় একনেকের বৈঠকে গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার যমুনা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা করার জন্য ৮শ’ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শেষ হলে গাইবান্ধা জেলার ৪টি উপজেলার ৩২টি ইউনিয়ন বন্যা মুক্ত হবে।