মঙ্গলবার ● ১ ডিসেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » নওগাঁ » আত্রাইয়ে হরিজন সম্প্রদায়ের দুই দিন ব্যাপী কর্মশালার সমাপ্তি
আত্রাইয়ে হরিজন সম্প্রদায়ের দুই দিন ব্যাপী কর্মশালার সমাপ্তি
নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: নওগাঁর আত্রাইয়ে উপজেলা পরিষদের আয়োজনে এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসের বাস্তবায়নে দুই দিন ব্যাপী কর্মশালার সমাপ্তি হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে হরিজন সম্প্রদায়ের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের নিমিত্তে সচেতনতামূলক কর্মসালার সমাপ্তি করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছানাউল ইসলাম।
এসময় উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান শেখ হাফিজুল ইসলাম ও মমতাজ বেগম, ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হক নাদিম, সমাজসেবা অফিসার সাইফুল ইসলাম, যুব উন্নয়ন অফিসার ফজলুল হক, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস ছালাম, মহিলা বিষয়ক অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন,একাডেমিক সুপারভাইজার প্রদীপ কুমার সরকার,আইসিটি অফিসার সানজিদ শিশির, আত্রাই প্রেস ক্লাব সভাপতি রুহুল আমীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় হরিজন সম্প্রদায়গন সমাজে সর্ব ক্ষেত্রে অবাধ বিচরণ এবং তাদের শ্রেণী পেশায় চাকুরীর অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি জানালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছানাউল ইসলাম উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করবেন বলে জানান।
সংবাদ প্রকাশের পর বন কর্মকর্তার বদলি
আত্রাই :: গত ২৩নভেম্বর বিভিন্ন গনমাধ্যমে বন কর্মকর্তার দম্ভ, নিউজ করেন কিছুই করতে পারবেন না শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর সেই আত্রাই বন কর্মকর্তা (ফরেস্টার) এবং তাকে সাহায্যকারী নওগাঁ জেলা বন কর্মকর্তা (রেঞ্জার) কে বদলি করা হয়েছে। নওগাঁ জেলা বন কর্মকর্তা (রেঞ্জার) কে সাপাহার উপজেলায় এবং একই উপজেলার শিরোন্টি নামক বিটে আত্রাই বন কর্মকর্তা (ফরেস্টার) কে বদলি করা হয়েছে বলে সোমবার রাতে নওগাঁ জেলা সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার বিবরনিতে জানা যায়, নিউজ করলেন তদন্ত হলো প্রমানও পেলো বদলির আদেশ হলো সেটা আবার বন্ধ করে এখনও আপনাদের এখানে চাকুরী করছি। যত ইচ্ছা নিউজ করেন কিছুই করতে পারবেন না। আমি নেহায়েত চাকুরী করছি তা-না হলে, কী হতো ? ছড়ি ভাই আমি সে ভাবে বলতে চাইনি। ২২নভেম্বর আত্রাই বন বিভাগের নার্সারীতে বৃষ্টিতে ভিজে উই পোকায় খেয়ে নষ্ট হতে যাওয়া সরকারী গাছের ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের সাথে এমন দাম্ভিকতার সুরে কথা বলছিলেন আত্রাই উপজেলা বন কর্মকর্তা (ফরেস্টার) মোজাম্মেল হক। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন এতো সাধু লোক কোথায় পাবেন ? আমি সততার সাথে চাকুরী করছি। আমার সবকিছু জেলা বন কর্মকর্তা (রেঞ্জার) জানেন।
গত ৬মার্চ ২০১৯তারিখে আত্রাইয়ে বন কর্মকর্তার যোগসাজসে টেন্ডার ছাড়া রাস্তার গাছ কর্তন শিরোনামে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তার (ডিএফও) দৃষ্টিগোচর হলে তৎক্ষনাত নওগাঁ জেলা সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) কে তদন্তের দায়িত্ব দেন। তদন্ত কর্মকর্তা (এসিএফ) গত ৯মার্চ ২০১৯তারিখে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা পান বলে সাংবাদিকদের অবগত করেন। তিনি রিপোর্টের বিষয়ে বলেন ২/৩ দিনের মধ্যে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রাজশাহী বরাবর পাঠিয়ে দিব। সে মোতাবেক রিপোর্ট পেয়ে রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আত্রাই উপজেলা বন কর্মকর্তা (ফরেস্টার) মোজাম্মেল হককে রাজশাহীর বাগমাড়া উপজেলায় বদলির আদেশ দেন। আদেশ দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে অদৃশ্য কারনে সেই আদেশ স্থগিত করেন। তারপর থেকে ধরাকে সরা জ্ঞান করে পুনরায় নাম্বার বিহিন রাস্তার গাছ বিক্রি, মুজিব বর্ষের চারা তৈরীর টাকা নয় ছয়, মুজিব বর্ষের চারা নার্সারীতে রেখে রেজিস্ট্রারে বিতরণ দেখানো ইত্যাদি বিষয়ে একের পর এক অনিয়ম করতেন মোজাম্মেল হক।