বৃহস্পতিবার ● ৩ ডিসেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » কৃষি » রাউজানে শসা গাছে সাদা মাছির আক্রমন
রাউজানে শসা গাছে সাদা মাছির আক্রমন
আমির হামজা, রাউজান :: চট্টগ্রামের রাউজানের শসা গাছের পাতায় সাদা মাছির আক্রমন বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছে শসা জাতিয় ফল উৎপাদনে চাষীরা। উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে এমন খবর মিলেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ঊনসত্তর পাড়া গ্রামের কয়েকটি শসা উৎপাদনের ফসলের মাঠে প্রতিটি শসা গাছের পাতায় পাতায় হঠাৎ করে গাছের পাতা গুলোতে প্রথমে সাদা পরে লাল রং এর আকার ধারণ করছেন। এসব গাছের পাতা গুলো নিছের দিকে উল্টায়ে দেখলে এক ধরনের সাদা সাদা রং এর মাছি সমস্থ পাতা ভরে আছে। এই মাছির আক্রমন আশেপাশের অন্যান্য গাছেও মাছির আক্রমন দেখা দিয়েছে। ‘তবে এই রোগের রক্ষণ অনেক চাষীরা জানতে না পারাতে কি কারণে ফল গাছ গুলোতে এমন রং ধারণ করছেন, পরে দেখাযাই গাছ গুলো দিরে দিরে দুর্বল হয়ে পড়ছে।’ যদিও অনেক চাষীরা এমন রোগ দেখা দিলে প্রথমে নানা রকম বিষ প্রয়োগ করেও এর সূফল পাচ্ছেনা। এই রোগ দেখা দিলে কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, গাছের পাতার নিছের অংশে স্প্রে করতে হবে। মাছি গুলো গাছের পাতার নিছের অংশে বেশির ভাগই বসবাস করেন। এই খবর পেয়ে এসব ফলের মাঠ গুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করেন উপজেরার পাহাড়তলী ইউনিয়নে কর্মরত উপসহকারী কৃষি অফিসার এমদাদুল ইসলাম। কয়েকজন চাষীর সাথে কথা বলে তাঁরা জানান, কি কারণে গাছের এমন অবস্থা হচ্ছে আমার বুঝতে পারছিনা, অনেক কীটনাশক ব্যবহার করেও আমার কোন সমস্যা সমাধান করতে পারছিনা, যতই সময় যাচ্ছে সকল গাছ গুলো দিরে দিরে নষ্ট হয়ে পড়ছে। পরে বিষয়টি একজন কৃষি কর্মকতাকে তাঁরা অবহিত করেন। তিনি গত সোমবার বিকালে এসব ফলের মাঠ গুলো পরিদর্শন করে তিনি কৃষক দের সঠিক পরামর্শ দেন। এবিষয়ে রাউজান উপজেলার উপসহকারী কৃষি অফিসার এমদাদুল ইসলাম বলেন, সাদা মাছির আক্রমন হলে ফলের গাছে এক ধরনের ভাইরাস সৃষ্টি করেন, এসব মাছি গুলো ফলের পাতায় বসে গাছের রস আহরণ করেন। যখন মাছি গুলো আক্রমণ করেন পরে গাছ গুলোতে এক ধরনের ভাইরাস সৃষ্টি হয়। দ্রুত সঠিক কীটনাশক ব্যবহার ও স্পে করলে এই রোগ সম্পুণ হয়। তবে তিনি জানান এখনো এই ভাইরাস তেমন ছড়িয়ে পড়েনি, যাদের এমন রোগ দেখাদিয়েছে তাঁদের দ্রুত কৃষি বিভাগে যোগাযোগ করে সঠিক পরামর্শ নিতে বলেন তিনি। তিনি আরোও জানান শসার গাছ রক্ষা করতে ‘ইমিটাক্লোটাপ’ গ্রুপের ২ ইসি/গ্রাম কীটনাশকের সঙ্গে ছত্রাকনাশক মিশিয়ে গাছের পাতার নিছের অংশে স্প্রে করার জন্য ফল বা শসা চাষীদের তিনি পরামর্শ দেন।