শুক্রবার ● ৪ ডিসেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » গুনীজন » বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহকে রাষ্ট্রীয় মার্যাদায় শেষ বিদায়
বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহকে রাষ্ট্রীয় মার্যাদায় শেষ বিদায়
আমির হামজা,রাউজান প্রতিনিধি :: করোনাভাাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা শহীদ অধ্যক্ষ নূতন চন্দ্র সিংহের কনিষ্ঠি ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফুল্ল সিংহ (৮১) কে রাষ্ট্রীয় মার্যাদায় সম্মান জানানোর পর শেষকৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। আজ ৪ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ১০টায় রাউজান পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের পূব গহিরা কুণ্ডেশ্বরী এলাকায় রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগের উপস্থিতিতে পুলিশ সদস্যরা গার্ড অব অনার দিয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্মান জানান। পরে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, সাংবাদিক, রাজনৈতিক, মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন, সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহ মারা যান। কিডনি, হার্টের রোগে আক্রান্তের মধ্যে প্রফুল্ল রঞ্জনের কোভিড-১৯ সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। জানা যায়, ১৯৭১ সালে তার পিতাকে হত্যার অভিযোগে যুদ্ধাপরাধীর দায়ে সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন প্রফুল্ল। ১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল সকালে রাউজানের গহিরার কুণ্ডেশ্বরীতে নিজ বাড়ির মন্দিরের সামনে হত্যা করা হয় তার বাবা দানবীর নূতনচন্দ্রকে। পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সালাউদ্দিন কাদের নিজেই নূতন চন্দ্রকে গুলি চালিয়েছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে, দুই কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী দেশ বরণ্য সফল উদ্যোক্তা দানবীর প্রফুল্ল সিংহের মৃত্যুর পর গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ এর একটি টিম তাদের নিজস্ব গাড়ী নিয়ে তাঁর মরদেহ সকাল ৯টায় কুণ্ডেশ্বরী ভবণে নিয়ে আসে। সেখানে মরদেহের স্নান ও শেষযাত্রার নতুন কাপড় পরিধান করান গাউছিয়া কমিটির সেচ্ছাসেবক টিম। গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক আলহাজ¦ মোছাহের উদ্দিন বখতিয়ার ও জেলা কমিটির নেতা আলহাজ¦ আহসান হাবিব চৌধুরীর নেতৃত্বে সৎকার টিম শেষকৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন না হওয়া পষর্ন্ত অপেক্ষা করেন।