শিরোনাম:
●   রাবিপ্রবিতে শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৫ শুরু ●   ৬ ফেব্রুয়ারী কবি শাওনের ৫৮ তম জন্মদিন ●   জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক কোম্পানির কূটকৌশল উন্মোচন জরুরি ●   রাউজানে বসতঘর ও মন্দিরে দুর্ধর্ষ চুরি ●   পাঁচখাইন শীলপাড়া একতা সংঘের ১০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ●   কাউখালীতে তৃতীয় লিঙ্গের শীলার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার ●   বাংলাদেশ সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী জেলা শাখার নিবার্চনে নির্বাচিতদের শুভেচ্ছা ●   ফটিকছড়িতে জনপ্রতিধিকে গ্রেফতার ●   হযরত মতিউর রহমান শাহ (রহঃ) এর বার্ষিক ওরশ শরীফ ●   ঝাউদিয়া থানা বাস্তবায়নের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ ●   কোথায় গেলো সেই দিনগুলি : মুহাম্মদ মাসুদ রানা ●   উল্টাছড়ি বাজার চালু করার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা ●   চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ঈশ্বরগঞ্জে বিক্ষোভ ●   নবীগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি সালামের বিরোদ্ধে সাটিফিকেট জালিয়াতির অভিযোগ ●   রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ●   উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নিরাপদ খাদ্য অপরিহার্য ●   পার্বতীপুর জামায়াত যুব বিভাগের উদ্যোগে ফুটবল টুর্নামেন্ট ●   ফটিকছড়িতে ডাকাতি যুবককে কুঁপিয়ে জখম ●   রাজস্থলীতে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত ●   সাব্বির সেন্টু’র উপন্যাস গ্রন্থ ‘স্বপ্নভরা দুটি চোখ’র মোড়ক উম্মোচন ●   মহালছড়িতে ভাইয়ের বিরুদ্ধে সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগ ●   কুষ্টিয়ার আলাউদ্দিন নগরে পিঠা উৎসব ও কৃষি মেলা ●   ঈশ্বরগঞ্জে ভেকু দিয়ে ঘর ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ সাবেক সচিবের বিরুদ্ধে ●   এপিবিএন স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ●   রংধনু ক্লাবের সম্মাননা পেলো সাংবাদিক জনি ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান অনুপ কুমার চাকমা’র যোগদান ●   ফটিকছড়িতে যুবককে পিটিয়ে হত্যা ●   গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনাকে দেশে এনে ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে : জামাল ●   নতুন বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের ঠাঁই নাই : হুম্মাম কাদের চৌধুরী ●   রাউজানে বিএনপির নেতার পিতার মৃত্যু
রাঙামাটি, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
মঙ্গলবার ● ৮ ডিসেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » জাতীয় » বেগম রোকেয়া-এখনও নারী শক্তি ও নারী জাগরণের আলোকবর্তিকা : বহ্নিশিখা জামালী
প্রথম পাতা » জাতীয় » বেগম রোকেয়া-এখনও নারী শক্তি ও নারী জাগরণের আলোকবর্তিকা : বহ্নিশিখা জামালী
মঙ্গলবার ● ৮ ডিসেম্বর ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বেগম রোকেয়া-এখনও নারী শক্তি ও নারী জাগরণের আলোকবর্তিকা : বহ্নিশিখা জামালী

ছবি : সংবাদ সংক্রান্ত৯ ডিসেম্বর আমাদের এ অঞ্চলে নারী শিক্ষা ও নারী জাগারণের অগ্রদূত মহিয়সী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্মদিন। তিনি বাংলা ভাষাভাষী আমাদের এই অঞ্চলে নারী আন্দোলনেরও পথিকৃৎ। আমাদের এ অঞ্চলের পশ্চাৎপদ আর্থসামাজিক প্রেক্ষিতে বেগম রোকেয়ার জন্ম, চিন্তা ও কাজ রিতিমত বিষ্ময়কর। রোকেয়া তার সময়কালে পারিবারিক, সামাজিক ও সংস্কৃতিক নানা বাধা ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে যেভাবে নারী শিক্ষার আলো জালিয়েছেন, যাবতীয় পশ্চাৎপদতা ও কুপমন্ডকতাকে পায়ে দলে নারীর অধিকার ও মর্যাদার কথা বলেছেন, সমগ্র নারী জাতিকে তাদের অধিকার ও মুক্তির লক্ষ্যে জাগিয়ে তুলতে প্রণোদনা যুগিয়েছেন বাংলায় তার কোন দ্বিতীয় নজির নেই। নারী সংক্রান্ত প্রচলিত ধ্যান-ধারণার বিরুদ্ধে তিনি যেমন চাবুক হেনেছেন তেমনি নারীদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় তাদের চোখে স্বপ্ন জাগিয়ে তুলেনে।

বেগম রোকেয়া বাল্য বিবাহ, যৌতুক প্রথা, তালাকসহ নারী বিরোধী বিভিন্ন সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে লেখনি ধারন করেছেন। তিনি কথা বলেছেন, লড়াই করেছেন, তাঁর শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করেছেন। ধর্মান্ধতা ও নারীবিদ্বেষী নানা বয়ানের বিরুদ্ধে তিনি সারাজীবন আপোষহীন লড়াই করেছেন। নারীকে দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষ হিসেবে দেখা ও ভোগ্যপণ্য হিসেবে বিবেচনা করা সামাজিক ও ধর্মীয় অপব্যাখ্যার বিরুদ্ধে তিনি অসাধারণ যুক্তিতর্ক, উপমা ও হাস্যরসের মধ্য দিয়ে নারীবিদ্বেষী পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবকে উন্মোচন করেছেন। তিনি পুরুষের মত নারীও যে একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ এবং শিক্ষা ও সুযোগ পেলে নারীরাও যে সমস্ত দিক থেকে পুরুষের সমকক্ষ হয়ে উঠতে পারে অসাধারণ দক্ষতায় তা তিনি তুলে ধরেছেন।

বেগম রোকেয়া তাঁর সমগ্র রচনাশৈলীর মধ্য দিয়ে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে নারী অধিকার ও নারী মুক্তির যে বার্তা দিয়েছেন তা আজও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। পিতৃতন্ত্রের ছাঁচে গড়ে ওঠা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের নিগড় থেকে বেরিয়ে আসার ব্যাপারে তিনি বলিষ্টভাবে লিখেছেন “পুরুষের সমকক্ষতা লাভের জন্যে আমাদের যাহা করিতে হয় তাহাই করিব”, “যে পরিশ্রম আমরা স্বামীর গৃহকার্যে ব্যয় করি সেই পরিশ্রম আমরা অন্যকাজে ব্যয় করিতে পারিনা কেন?”।

১৯০৪ সালে রোকেয়া তার মতিচুর গ্রন্থে লিখেছিলেন, “আমরা সমাজেরই অর্ধ অঙ্গ। আমরা পড়িয়া থাকিলে সমাজ উঠিবে কি করে?” পুরুষতান্ত্রিক সমাজ যে মূলত: একটি বিকলাঙ্গ সমাজ তার এই উপলব্ধির গভীরতা ছিল অনেক। সমাজের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে কোন সমাজ ও রাষ্ট্র যে এগিয়ে যেতে পারেনা তার এ উপলব্ধি ছিল স্পষ্ট। রোকেয়ার এই শিক্ষা ও সামাজিক চৈতন্যের পথ ধরেই গত একশত বছরে আমাদের পথ চলা; তিনি যে আলো জ্বালিয়েছেন সেই আলোই এখন বিস্তৃত হয়ে আমাদের পথের দিশা দিয়ে চলেছে।

আমাদের এ দেশে বিশেষ করে ১৯৪৭ এর পর নারী শিক্ষা ও নারী আন্দোলনে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তাদের প্রেরণাদাত্রী ছিলেন বেগম রোকেয়া। দেশ ভাগের পর পূর্ববঙ্গের মুসলিম নারী জাগরণের মধ্যমনিও ছিলেন বেগম রোকেয়া। পাকিস্তানি জমানার ২৩ বছর এবং বাংলাদেশ উত্তর গত ৫০ বছরেও বেগম রোকেয়া এখনো সবচেয়ে বড় আলোকবর্তিকা হিসেবে ভূমিকা পালন করে আসছেন। বেগম রোকেয়া তাঁর সময়ে যে সাহসী উচ্চারণ করেছেন তা এখনও আমাদের কাছে বিষ্ময়ের উদ্রেক করে। নারীদেরকে উদ্দেশ্যে করে তিনি লিখেছিলেন “আমরা অকর্মন্য পুতুল জীবন বহন করিবার জন্য সৃষ্টি হই নাই। বর দুর্লভ হইয়াছে বলিয়া কন্যাদায়ে কাঁদিয়া মরি কেন? কন্যাগুলোকে সুশিক্ষিত করিয়া কার্যক্ষেত্রে ছাড়িয়া দাও, নিজের অন্ন বস্ত্র উপার্জন করুক” (স্ত্রী জাতির অবনতি)।

আমাদের বিদ্যমান সমাজ ও রাষ্ট্র দাসত্বের শৃংখল থেকে নারীকে কখনো মাথা তুলে দাঁড়াতে দেয়না। রোকেয়া বলেছেন- “যখন কোন ভগিনি মাথা তুলিয়া মস্তক উত্তোলনের চেষ্টা করিয়াছেন তখনই ধর্মের দোহাই বা শাস্ত্রের বচনরূপ অস্ত্রঘাতে তাহার মস্তক চূর্ণ হইয়াছে (স্ত্রী জাতির অবনতি)। এখনো ধর্মীয় এই অপব্যাখ্যা ও অনাচারের উত্তরাধীকার আমাদের নারীদেরকে বহন করে যেতে হচ্ছে। তাঁর শেষ আহবান “জাগো জাগো গো ভগিনি”।

গত এক শতাব্দীতে রোকেয়ার এ আহবান ছড়িয়ে পড়েছে আমাদের রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবারের মধ্যে। এই সাহসী আহবানে উজ্জীবিত হয়ে এদেশের নারী ও নারী আন্দোলন তার অদম্য যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। আমাদের ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং তারপর গত পাঁচ দশকের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অভিযাত্রায় নারীদের যে অগ্রগতি সেক্ষেত্রে রোকেয়া এখনো আদর্শিক আইকন হিসেবে কাজ করছেন। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও আজ নারীর যে ভূমিকা তাও রোকেয়ার নারী শক্তি, নারী স্বাধীনতা ও নারীর জাগরণের পথ ধরেই।

গত এক শতাব্দীতে এদেশের নারীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন ও সাফল্য দেখাতে পারলেও নারী এখনো পুরুষতান্ত্রিকতার নিগড়ে বাঁধা। পাশাপাশি রয়েছে উৎকট শ্রেণী শোষণ। এরমধ্যে ধর্মীয় কুপ মন্ডুকতা আবার সমাজের মধ্যে নানা ভাবে জেঁকে বসেছে। নারী আবার নানা দিক থেকে আক্রমণ, নিগ্রহ, নিপীড়ন ও লাঞ্ছনার শিকার। এই অবস্থায় বেগম রোকেয়ার শিক্ষা, চিন্তা, দর্শন ও সংগ্রাম আবারও নতুন তাৎপর্য নিয়ে হাজির হয়েছে। রোকেয়ার অনুস্মরণীয় পথ ধরে এগোতে পারলেই নারী তার অধিকার ও মুক্তি অর্জনে সাফল্য দেখাতে সক্ষম হবে।
জয়তু বেগম রোকেয়া।

বহ্নিশিখা জামালী
রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটি
সভাপতি
শ্রমজীবী নারী মৈত্রী।





জাতীয় এর আরও খবর

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কাছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের ১১টি নির্বাচন সংস্কার প্রস্তাবনা নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কাছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের ১১টি নির্বাচন সংস্কার প্রস্তাবনা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এর নেতৃত্বে থাকবেন ড. ইউনূস ও আলী রীয়াজ জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এর নেতৃত্বে থাকবেন ড. ইউনূস ও আলী রীয়াজ
রাঙামাটিতে বিজিবি’র পক্ষ থেকে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ এর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধাঞ্জলি রাঙামাটিতে বিজিবি’র পক্ষ থেকে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ এর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধাঞ্জলি
উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য পরিহার করে গণতান্ত্রিক উত্তরণে বাস্তবায়নযোগা উদ্যোগ নিন-সাইফুল হক উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য পরিহার করে গণতান্ত্রিক উত্তরণে বাস্তবায়নযোগা উদ্যোগ নিন-সাইফুল হক
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তিনটি বিষয়ে আলোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তিনটি বিষয়ে আলোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা
চলমান অস্থিরতায় সরকারের দায়দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই : গণতন্ত্র মঞ্চ চলমান অস্থিরতায় সরকারের দায়দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই : গণতন্ত্র মঞ্চ
নতুন নির্বাচন কমিশন নাসির উদ্দীন নতুন নির্বাচন কমিশন নাসির উদ্দীন
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে ‘দ্য হিন্দু’কে ড. ইউনূস নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে ‘দ্য হিন্দু’কে ড. ইউনূস
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে রাজনৈতিক দল ও প্রতিষ্ঠানেরও  সংস্কার জরুরী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে রাজনৈতিক দল ও প্রতিষ্ঠানেরও সংস্কার জরুরী
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা’র সাথে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা’র সাথে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)