সোমবার ● ১৪ ডিসেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » কুষ্টিয়া » কুষ্টিয়ার আশ্রয়হীনদের ৫৬টি ঘর তৈরীতে নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
কুষ্টিয়ার আশ্রয়হীনদের ৫৬টি ঘর তৈরীতে নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
কুষ্টিয়া অফিস :: ১২ ডিসেম্বর -২০২০ : মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে কুষ্টিয়ার মিরপুরে আশ্রয়হীনদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার ৫৬টি ঘর তৈরীতে অতি নিন্মমাণের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। সচেতন মহল মনে করছেন বরাদ্দ প্রাপ্ত হতদরিদ্রদের জন্য এ ঘর মৃত্যু ফাঁদে পরিনত হতে পারে। খোজঁ নিয়ে জানাগেছে প্রতিটি ঘরের জন্য সরকার ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এ হিসেব মতে মিরপুর উপজেলায় ৫৬টি ঘরের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ ৯৬ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা । ৫৬টি ঘরের মধ্যে মিরপুর পৌরসভায় ৩৪টি, পোড়াদহ ইউনিয়নে ১৫টি, চিথলিয়া ইউনিয়নে ৫টি এবং ধুবইল ইউনিয়নে ২টি ঘর নির্মাণা করা হয়েছে ।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানাগেছে ঘর গুলো সিডিউল বর্হিভুত ভাবে ১নং ইটের পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে ২নং ইট । নিম্ন মানের ফিলিং বালি ব্যবহার করা হচ্ছে । সিডিউল মোতাবেক যার এফএম হওয়ার কথা ১.২ । সেখানে ফিলিং বালি দিয়ে গঁথুনি ও প্লাষ্টার করা হয়েছে । প্রত্যেকটা জানালা-দরজায় কাটা আরসিসি লিংটেলের পরিবর্তে দেয়া হয়েছে কাঠ । প্রত্যেকটা ঘরে গ্রাউন্ড লেবেল থেকে মাটি কেটে এক ফুট গভীরে গিয়ে ৬ ইঞ্চি কম্প্যাকশনে ফিলিং বালি ব্যবহারের কথা কিন্তু তা করা হয়নি। একফুট মাটির নীচ থেকে ১৫ ইঞ্চি ও এক ফুট উপরে ১০ ইঞ্চি গাঁথনির পরিবর্তে শুধু মাত্র ৫ ইঞ্চি ওয়াল গাঁথা হয়েছে ।
আরো জানা গেছে মিরপুর পৌরসভার নওপাড়া গ্রামের ময়েন নামে এক ব্যক্তি ঐ কাজের অলিখিত ঠিকাদার। সে নওপাড়া জামে মসজিদের ইপিল ইপিল গাছ কেটে নিজ বাড়িতে স-মিল বসিয়ে ঐসব নিম্নমানের কাঠ বাটাম দিয়ে ভূমিহীনদের জন্য ঘর তৈরি করছেন । যেখানে মান সম্মত শতভাগ সারি কাঠের বাটাম দেয়ার চুক্তি রয়েছে। মিরপুর পৌরসভার খন্দক বাড়িয়া গ্রামের তহশীল অফিসের সামনে নির্মিত ঘর গুলো সব চেয়ে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরী করা হয়েছে যা দৃশ্যমান এবং ল্যাব টেষ্ট করলে প্রমাণিত হবে বলে সংশ্লিষ্ট দাবি করেছেন। তারা আরো দাবি করেন নিন্মমানের কাজ করে সর্ংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এলাকাবাসী আরো বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহারকে পুঁজি করে অসাধু কর্মকর্তরা তাদের পকেট ভরেছেন । এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গহনের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে মিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিংকন বিশ্বাসকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন এমন অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।