বৃহস্পতিবার ● ১৭ ডিসেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস পালিত
ঝিনাইদহে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস পালিত
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে বুধবার সকাল সাড়ে ৮ টায় প্রেরনা একাত্তর চত্তরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীতের সাথে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করা হয়। এরপর স্মৃতি সৌধে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের পক্ষ থেকে শহীদদের স্মরণে পুষ্প মাল্য অর্পণ করা হয়। এছাড়াও দিন ব্যাপী বিজয় দিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিল সহ নানা কর্মসুচি পালিত হচ্ছে।
৭ দিন পর কৃষকের লাশ মিলল ডোবায়
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার চররূপদাহ গ্রামে রিপন হোসেন (৩৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশটি বাড়ির পাশের একটি ডোবায় মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় বুধবার সকালে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিপনের মেজ ভাবি ফরিদা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। পলাতক রয়েছে মেজ ভাই নাননুু। নিহত রিপন হোসেন নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের চররূপদাহ গ্রামের মৃত বারিক বিশ্বাসের ছেলে। গ্রামবাসি জানায়, বুধবার সকালে বাড়ির পাশের একটি ডোবায় লাশের হাত দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় অর্ধ-গলিত রিপনের লাশ উদ্ধার করে। হত্যার কারণ সম্পর্কে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ধারনা করছে, রিপনের মেজ ভাবি ফরিদার সঙ্গে তার পরোকিয়া থাকতে পারে। এ কারণে মেজ ভাই নাননু তাকে হত্যা করতে পারে। ঝিনাইদহের শৈলকুপা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম জানান, গত ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মাঠের ধান পাহারা দিতে গিয়ে নিখোঁজ হয় রিপন। মাঠেই পড়ে ছিল মোবাইল ও গায়ের চাদর। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের দুলাভাই পদ্মনগর গ্রামের নজরুল ইসলাম শৈলকুপা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। রিপন নিখোঁজ হওয়ার পর দিন থেকেই মেজ ভাই নাননু গাঢাকা দেয়। দুলাভাই নজরুল ইসলাম জানান, তার শ্যালক রিপন দীর্ঘদিন মালেশিয়ায় ছিল। দুই বছর আগে দেশে ফিরে চাষাবাদ শুরু করেন। গত বুধবার জমির ধান পাহারা দিতে গিয়ে নিখোঁজ হন। তার জমিতে মোবাইল ফোন ও চাদর পড়ে থাকতে দেখে আমরা থানায় জিডি করি। সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম জানান, হত্যার ক্লু-উদঘাটন ও এর সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে কাজ চলছে। আশাকরি দ্রুতই দোষিরা গ্রেফতার হবে।
২০৮ টাকার উৎপাদিত চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, সমাধান করবে কে?
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের অন্যতম ভারি চিনি শিল্প প্রতিষ্ঠান মোবারকগঞ্জ চিনিকল। ২০১৯-২০২০ মাড়াই মৌসুমে লোকসান হয়েছে ৯৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এ মৌসুমে ৯৪ কর্ম দিবসে এক লাখ ৩৮ হাজার ৮০৩েে মট্রিক টন আখ মাড়াই করে চিনি উৎপাদন করে ৭ হাজার ৬৮ মেট্রিক টন। বছর শেষে চিনির প্রতি কেজিতে উৎপাদন খরচ পড়ে ২০৮.৪২ টাকা। আর ২০৮ টাকা উৎপাদন খরচের এ চিনি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৬০ টাকা কেজি। যদিও মিল কর্তৃপক্ষ বলছে ব্যাংক ঋণের সুদ বাদ দিয়ে ২০১৯-২০২০ মৌসুমে চিনির উৎপাদন খরচ হয়েছিল ১২৪ টাকা। এর আগের ২০১৮-১৯ মৌসুমে সুদ বাদে উৎপাদন খরচ হয়েছিল ১৩৪ টাকা এবং সুদসহ খরচ হয়েছিল ১৯৪ টাকা। এর আগে ২০১৮-২০১৯ মৌসুমে মিলটির লোকসান গুনতে হয় ৭৭ কোটি ৬৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। ওই মৌসুমে মিলটি ১ লাখ ৮ হাজার ৪২৩ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে চিনি উৎপাদন করে ৫ হাজার ৭৮৫ মেট্রিক টন। ওই বছর প্রতি কুইন্টাল চিনি উৎপাদনে খরচ হয়েছিল ১৯৪১৯.৬৫ টাকা। সে হিসাবে প্রতি কেজি উৎপাদন খরচ পড়ে ১৯৪.১৯ টাকা। সে বছর ১৯৪ টাকায় উৎপাদিত চিনি বিক্রি করেছিল ৫৫ টাকায়। এদিকে মিলের রেকর্ড বই বলছে, ২০১৭-২০১৮ মাড়াই মৌসুমে এসে এই উৎপাদন খরচ ছিল ১৮৯.১২ টাকা। ২০০১৬-২০১৭ মৌসুমে তা বেড়ে হয় ১৯৯.৮ টাকা। তার আগের মৌসুম ২০১৫-২০১৬ তে প্রতি কেজি চিনির উৎপাদন ব্যয় হয়েছিল ১৭৬.৪০ টাকা।উল্লেখিত বছর গুলোতে চিনির কেজি প্রতি বিক্রয় মূল্য ছিল ৫০, ৪৭ ও ৪৫ টাকা। এর আগে ২০১৭-২০১৮ ম্ড়াাই মৌসুমে ৭০ কোটি ২৮ লাখ ২২ হাজার টাকা এবং ২০১৬-২০১৭ মৌসুমে লোকসান হয় ৩৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত ৩৭ মাড়াই মৌসুমে মিলটির লোকশান হয় প্রায় ৪শ কোটি টাকা। সর্বশেষ ২০০৫-২০০৬ মাড়াই মৌসুমে লাভ হয় ৫ কোটি ৮৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। এ নিয়ে মিলের ৫৩ মাড়াই মৌসুমে ১৬ মৌসুমে লাভ হয়েছে ৩৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। সর্বশেষ লাভের মুখ দেখা ২০০৫-২০০৬ মৌসুমে মিলটি ১৩৮ মাড়াই দিবসে এক লাখ ৮১ হাজার ৫৮২ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ১৩ হাজার ৪৩০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করে। চিনি আহরণের হার ছিল ৭.৪০ ভাগ। ওই বছর মিলের কর্মকর্তা ও কর্মচারী ছিল ৯৮৩ জন। বর্তমানে মিলে কর্মকার্তা ও শ্রমিক কর্মচারী রয়েছে প্রায় ৯শ জন। এছাড়া আখের জাত উন্নয়ন করা গেলে চিনি আহরণের বাড়বে। ফলে লোকসানের ভাগ কিছু কমে আসবে বলেও মত শ্রমিকদের। অন্যদিকে, চিনি উৎপাদনের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের শ্রমিক মজুরী খরচ, আখ ক্রয়, মিলে অপরিস্কার আখ সরবরাহ, রস ধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত দৈনিক আখ মাড়াই, পরিবহন খরচ, কারখানা মেরামত এবং বয়লারের জ্বালানীসহ প্রায় অর্ধশতাধিক খাতের খরচ মিটিয়ে প্রতি বছরই বাড়ছে চিনি উৎপাদন খরচের এই অংক। সে তুলনায় বাড়েনি চিনির বিক্রয় মূল্য। মোবারকগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার কবীর বলছেন, পুরাতন যন্ত্রপাতি, কৃষক পর্যায়ে আখের মূল্য বৃদ্ধি, জনবল সংকট, শ্রমিক মজুরী বৃদ্ধি, দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও উৎপাদন ব্যয়ের সাথে সঙ্গতিহীন মূল্য নির্ধারনের ফলে লোকসান বাড়ছে। সাথে পুঞ্জিভুত মোটা অংকের ব্যাংক ঋণের সুদ উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণ বলছেন এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এদিকে অব্যহত এই লোকসানের জন্য সরকারের নীতি-নির্ধারনকেও দুষছেন মিলের কর্মকর্তা ও শ্রমিক-কর্মচারীরা। তবে, চিনিকলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার কবীর সরকাররের নীতি-নির্ধারনকে ভুল বলতে রাজি নয়। তার ভাষ্য, উৎপাদন খরচ বেশি হলেও বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং নিত্য প্রয়োজনীয় ও পুষ্টিকর এই খাদ্য পণ্যটি জনসাধারনে মধ্যে সহনীয় রাখতেই সরকার নির্ধারিত মূল্যে চিনি বিক্রি করছেন।
কথিত কবিরাজ সিমা খাতুনের ভন্ডামি রুখবে কে?
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে রুপভান বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধাকে জ্বীন তাড়ানোর নামে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বারপাখিয়া গ্রামে। কথিত কবিরাজ বারপাখিয়া গ্রামের আলম হোসেনের মেয়ে সিমা খাতুন (২৬) এ জ্বীন তাড়ানোর নামে শারিরীক নির্যাতন করেছেন বলে জানান বৃদ্ধা রুপভান বেগম। বৃদ্ধার সারা শরীরে নির্যাতনের ফলে রক্ত জমাট বেঁধে গেছে। বৃদ্ধা রুপভান বেগম জানান, গত ৬ দিন আগে আমি কবিরাজ সিমা খাতুনের বাড়িতে যায়। প্রথমে হাতচালক দিল। এরপর বললো আমার ঘাড়ে জ্বীন আছে। জ্বীন কথা বলেই আমাকে মারধর শুরু করে। এরপর তিনি জ্বীন নেই বললেও আরও বেশি মারধর শুরু করে। আমার শরীরে ২ টা কাঁচি দিয়ে পিটাতে থাকে। এরপর লাঠি দিয়েও মারধর করে। আমার সারা শরীরে মারধরের রক্তজমাট বেঁধে আছে। পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে নিজেই চিকিৎসা নিচ্ছি। আমার কাছ থেকে ওই কবিরাজ ২৫ হাজার টাকা নিয়েছে। কি জন্য আপনি কবিরাজের কাছে গিয়েছিলেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তার মেয়ের ছেলে প্রায় ২ মাস ভাত খেতে চাই না। সে কারণে কবিরাজের কাছে যায়। তখন কবিরাজ বলেন যে নানীর ঘাড়ে জ্বীন আছে এজন্য সে ক্ষতি করছে। কথিত কবিরাজ সিমা খাতুন বলেন, তার ঘাড়ে জ্বীন সবসময় থাকে না। যখন রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয় তখন জ্বীন চলে আসে। রোগী আসার পর আমার ঘাড়ে থাকা জ্বীন বলে দেয় চিকিৎসা বাবদ কত টাকা লাগবে। তিনি বিভিন্ন চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। যখন কেউ কথা শুনে না তাকে মারধরও করা হয়। জ্বীন কিভাবে তাড়িয়ে দেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন তদবির ও মন্থর দিয়ে জ্বীন তাড়িয়ে দেওয়া হয়। কথা বলতে বলতে এ সময় সাংবাদিকদের সামনেই ভন্ড কবিরাজ সিমার ঘাড়ে জ্বীন আগমন ঘটে। মুখ নাড়া দিয়েই সাংবাদিকদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এরপর উচ্চৈঃস্বরে বলেন, আপনাদের কোন কথা থাকলে আমার সাথে বলেন, ওদের সাথে না। আপনাদের কেউ তদন্ত করতে পাঠালেও সেটাও আমাকে বলতে হবে। কোন রোগী অন্যায় কাজ করলে তাকে আমি শাস্তি দিই। এরপর সেই জ্বীন সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন, আপনাদের আমার ঠিকানা কে দিয়েছে? কয়েকদিন আগে বৃদ্ধা রুপভানকে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে ভন্ড কবিরাজ এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। বিষয়টি নিয়ে ৪নং নিয়ামতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ রনি লস্কর জানান, কথিত কবিরাজ সিমা খাতুন পার্শ্ববর্তী ফারাশপুর গ্রামের বৃদ্ধা রুপভান বেগমকে জ্বীন তাড়ানোর নামে মারধর করেছে। বৃদ্ধার শরীরে রক্ত জমাট বেঁধে আছে। তিনি ওই বৃদ্ধাকে দেখেও এসেছেন। অভিযোগ পেলে কথিত ওই কবিরাজ সিমা খাতুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।
কালিগঞ্জে নরমাল ডেলিভারির পর প্রসূতি সিজারের অভিযোগ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে নরমালে সন্তান ডেলিভারি হওয়ার পর রাণী বেগন নামে এ প্রসূতীকে জোর করে সিজার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কালীগঞ্জ শহরের দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে। রাণী বেগম ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কয়ারগাছি গ্রামের আল আমিনের স্ত্রী। এমন অভিযোগে বুধবার সকালে প্রসূতির স্বামী আল আমিন কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৫ ডিসেম্বর রাতে রাণী বেগমের প্রসব বেদনা শুরু হলে কালীগঞ্জ শহরের দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতাল এ- ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। এ সময় উপস্থিত ডাক্তার রোকসানা পারভিন ইলোরা বলেন দ্রুত অপারেশন করতে হবে, নইলে রোগী ও তার সন্তানকে বাঁচানো যাবে না। এসময় অপারেশনের জন্য ১২ হাজার টাকা চুক্তি হয়। কিছুক্ষণ পরেই রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয় কিন্তু সিজারের আগেই নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে পুত্র সন্তান হয়। তারপরও জোরপূর্বক ডাক্তার ও ম্যানেজার মাসুদ হোসেন সিজার করতে যায়। এ সময় প্রসূতি অপারেশনে বাধা দিলে ম্যনেজার রোগীকে মারধর শুরু করে। এ সময় বলে তুই কি ডাক্তারের থেকে বেশি বুঝিস। বেশি কথা বললে চিরদিনের জন্য ঘুম পাড়িয়ে দেব। এরপর জোরপূর্বক অজ্ঞান করে সিজার করে। প্রসূতির স্বামী আল আমিন অপ্রযোজনে আমার স্ত্রীকে মারধর ও অপারেশন করা হয়েছে। আমার অসুস্থ স্ত্রীকে অমানবিকভাবে মারধর ও হত্যার হুমিকির বিচার দাবি করেন। দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতাল যেয়ে অভিযুক্ত ডাক্তার ও ম্যানেজার মাসুদকে পাওয়া যায়নি। তবে, হাসপাতালের মালিক ফিরোজ হোসেন জানান, বাচ্চা নরমালেই ডেলিভারি হয়েছে। তবে রোগীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। ফলে রক্ত বন্ধ করতেই সিজার করা হয়েছিল। কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে দেখছি। তদন্তে দোষী প্রমানিত হলে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসংগত, ঝিনাইদহ জেলার বেশিরভাগ ক্লিনিক লাইসেন্স নবায়ন ছাড়াই মাসের পর মাস ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা পর্যায়ের ক্লিনিকগুলোতে অহরহ অপচিকিৎসা চলছে। ডাক্তারের অবহেলায় প্রসুতির মৃত্যু ঘটছে। ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসার উন্নত পরিবেশ নেই। সর্বক্ষনিক চিকিৎসক বা প্রশিক্ষিত র্নাস নেই। ১০ বেডের পরিবর্তে শয্যা বাড়িয়ে ৫০/৬০ জন করে রোগী ভর্তি করা হয়। নীতিমালা ভঙ্গ করার পরও এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনেস্টিক সেন্টার নতুন লাইসেন্স পাচ্ছে। পুরানো লাইসেন্স নবায়ন হচ্ছে। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিস থেকে তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় মোট ক্লিনিক ও ডায়াগনেস্টিক সেন্টরের সংখ্যা ১৬৯টি। এর মধ্যে ক্লিনিক রয়েছে ৮১টি। সুত্রমতে জেলার কোটচাঁদপুরের একটি ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন আছে। বাকী ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন নেই। এ ছাড়া ৮৯টি ডায়াগনেস্টিক সেন্টারের ২০১৮ সাল থেকে লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি। সম্প্রতি বেসরকারী চিকিৎসা সেবার বেহাল চিত্র বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাস স্বপ্রণোদিত হয়ে বিষয়টি তদন্ত করতে আদেশ জারি করেন। আগামী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে জেলা সিভিল সার্জন সেলিনা বেগমকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।