বৃহস্পতিবার ● ১৭ ডিসেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর করা মানে জাতীয় পতাকা ও সংবিধানকে অবমাননা : অংসুই প্রু চৌধূরী
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর করা মানে জাতীয় পতাকা ও সংবিধানকে অবমাননা : অংসুই প্রু চৌধূরী
কাউখালী :: রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কাউখালী উপজেলা আওয়ামলীগের সভাপতি অংসুই প্রু চৌধূরী বলেছেন,স্বাধীনতা বিরোধী পরাজিত শক্ররা আবারো গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এসব ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করতে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেছেন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যর উপর আঘাত করলে, ভাস্কর্যর বিরোধিতা করে জাতির পিতাকে অসম্মানিত করলে, পুরো জাতির বুকের রক্তক্ষরণ হয়। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর করা মানে জাতীয় পতাকার সাথে বেঈমানী করেছে, তারা সংবিধানকে অবমাননা করেছে। যারা ধর্মীয় উগ্রবাদের নাম করে বাংলাদেশকে নিশ্চিহৃ করতে চায় তাদেরকে বাংলাদেশ থেকে নিমূল করতে হবে। এধরণের কার্যক্রম দেশের মাটিতে আর করতে দেয়া হবে না। এসব রাজাকারদের সংবিধান অমান্য করার অপরাধে দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন তিনি।
তিনি গতকাল(বুধবার) বিকেলে কাউখালী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কাউখালী উপজেলা আওয়ামলীলীগ আয়োজিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য উপরোক্ত কথা বলেন।
কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ক্যসিমং মারমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, কাউখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সামশুদোহা চৌধুরী,কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ক্যাজাই মারমা, সাধারন সম্পাদক এরশাদ সরকার, যুগ্ন সম্পাদক বেলাল উদ্দিন, যুবলীগের সভাপতি অংক্যজ চৌধুরী,সাধারন সম্পাদক নাজিম উদ্দিন,কাউখালী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অংপ্রু মারমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিংবাইউ মারমা, সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মাইনুউদ্দীন,শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ খন্দকার, কাউখালী উপজেলা মহিলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক শাহনাজ আক্তার, ঘাগড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী সিরাজউদ্দীন কাউসার, কলমপতি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমাম উদ্দীন, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সালাউদ্দীন হামিদ মঞ্জু কাউখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি থুইশি প্রু মারমা সাধারন সম্পাদক শাহীন আলম সহ আওয়ামীলীগের, যুবলীগ, ছাত্রলীগ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অংসুই প্রু চৌধূরী বলেছেন,বর্তমান সরকারের আমলে সর্বত্র উন্নয়নের যে জোয়ার শুরু হয়েছে তাতে একটি মহল সরকারের এসব অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তিনি বলেছেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত হিসেবে গড়ে তুলবো। প্রতিটি ঘরে ঘরে আলো জ্বালছে। শতভাগ মানুষ যেন ঘর পায় তার ব্যবস্থা করছে সরকার। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোন মানুষ যে খাদ্যের সংকটে না থাকে সে জন্য সরকার ১০ টাকা হারে চাউল বিক্রি করছে। তিনি সরকারের এসব উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে জনগনের দৌড় গৌড়ায় পৌছে দেয়ার জন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।