মঙ্গলবার ● ২৯ ডিসেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » মৌলভীবাজার » কমলগঞ্জে সিএনজি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চালক নিহত, আহত- ৪
কমলগঞ্জে সিএনজি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চালক নিহত, আহত- ৪
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: ঘন কুয়াশার কারণে দেখতে না পেয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের ধারে থাকা খুটির সাথে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই সিএনজি অটোরিক্সা চালকের মৃত্যু হয়। সিএনজি অটোরিক্সার শিশুসহ ৪ যাত্রী আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার ২৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের মাগুরছড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
কমলগঞ্জ থানা ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ১২টায় একটি যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিক্সা ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক দেখতে না পেয়ে সড়কের ধারে একটি খুটির সাথে সজোরে ধাক্কা লাগে। ফলে সিএনজি অটোর সম্মুখ দিক দুমড়ে মুছড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই চালক সন্তোষ বৈদ্য (৪৮)-এর মৃত্যু হয়। তার বাড়ি কুলাউড়া উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে। দূর্ঘটনায় আহত যাত্রীরা হলেন- কুলাউড়া উপজেলার দিলদারপুর চা বাগানের শিশু বিউটি (৯), নিখিল শুক্ল বৈদ্য (৬৫), নারায়ন (৪০) ও বিক্রম (৩০)। ঘটনার খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানার পুলিশের একটি দল নিহত চালকসহ আহত ৪ যাত্রীকে উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. অভিজিৎ সিনহা বলেন, পুলিশ দূর্ঘটনায় আক্রান্ত ৫ জনকে রাতে এনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এর মাঝে সিএনজি অটোরিক্সা চালক সন্তোষ বৈদ্যকে মৃত পাওয়া যায়। বাকি আহত ৪ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আরিফুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তীব্র শীতের মাঝে সোমবার রাতে জাতীয় উদ্যানের পাহাড়ি এলাকায় ঘণ কুয়াশা থাকায় এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।
কমলগঞ্জে ৫ দফা দাবীতে
তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ
কমলগঞ্জ :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা। ২৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা চৌমুহনী চত্ত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে ৫ দফা দাবী স্থায়ীভাবে সমাধানের দাবীতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
৫ দফা দাবিগুলো হলো- ১১ গ্রেডে বেতন প্রদান, পদবী পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা নির্ধারণ, চাকরিবিধি অনুযায়ী-২০১২ দ্রুত বাস্তবায়ন ও প্রজ্ঞাপনণ অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটিতে সদস্য রাখার ব্যবস্থা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে উচ্চতর পদে পদোন্নতির ব্যবস্থা, সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মচারী পরিষদ কমলগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আলমগীর কবির, সহ-সভাপতি কামিনী সিংহ, সাধারণ সম্পাদক মো. জহির মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলী হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের অবহেলা ও অবজ্ঞা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কোনোভাবে সম্ভব নয়। তারা অবিলম্বে ৫ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
কমলগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আপিলে বৈধতা পেলেন দুই কাউন্সিলর প্রার্থী
কমলগঞ্জ :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধতা ঘোষনা করা হয়েছে। মঙ্গলবার ২৯ ডিসেম্বর দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন মীর নাহিদ আহসান মঙ্গলবার তাদের মনোনয়ন বৈধতা ঘোষনা করেন। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধতার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
বৈধতা পাওয়া প্রার্থীরা হলেন- কমলগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর দেওয়ান আব্দুর রহিম মুহিন ও ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সৈয়দ কামরুল ইসলাম ।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার বলেন, ‘২ জন প্রার্থীর আপিল বৈধ হয়েছে। তবে আমরা লিখিত কোন নির্দেশনা পাইনি, মৌখিকভাবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে। তারা আসন্ন পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।’
উল্লেখ্য, আগামী ১৬ জানুয়ারি কমলগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। গত ২০ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে মেয়র পদে ৪ জন, কাউন্সিলর পদে ৩১ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন। এর মধ্যে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ পরিশোধে খেলাপি হওয়ার কারণে ২ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গত ২২ ডিসেম্বর যাছাই বাছাইকালে মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বাতিল করেন। এরই প্রেক্ষিতে বাতিলকৃত প্রার্থীরা জেলা প্রশাসক বরাবর আপিল করেন।