বুধবার ● ৩০ ডিসেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ » কিশোরগঞ্জে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ডিসি’র মামলা
কিশোরগঞ্জে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ডিসি’র মামলা
কিশোরগঞ্জ :: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীর করা মামলায় আকিব হৃদয় (২৬) নামের স্থানীয় এক সাংবাদিককে গতকাল ভোররাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে মামলাটি করেন জেলা প্রশাসক। ওই মামলায় জেলা প্রশাসক, ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে হুমকি ও বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় আকিব হৃদয় ছাড়াও মোস্তাফিজুর রহমান ও মনোয়ার হোসেনকেও আসামি করা হয়েছে। মামলার আসামিদের মধ্যে আকিব হৃদয় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির উপ–আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আর মোস্তাফিজুর রহমান সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক।
কিশোরগঞ্জ সদর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আকিব হৃদয়কে পুলিশ শহরের উকিলপাড়া এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে গতকাল আদালতে পাঠায়। আদালতে সোপর্দ করা হলে জ্যেষ্ঠ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল ইসলাম তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, আকিব আনন্দ টিভি ও একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। জেলা প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই তাঁকে এখানকার সবাই চেনেন। বিভিন্ন সময় জেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতে দেখা যেত তাঁকে। সর্বশেষ পাঁচ দিন আগেও ডিসির বদলি উপলক্ষে তাঁকে ফুল দিয়ে বিদায় জানিয়ে আসেন আকিব।
এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফেসবুকে প্রচার করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার দুপুরে শহরের সার্কিট হাউস এলাকায় চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়েছিল। বেলা আড়াইটার দিকে আকিব হৃদয় ও মোস্তাফিজুর ওই সড়কে ড্রাইভিং লাইসেন্স, হেলমেট ও মাস্কবিহীন মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। এ কারণে তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে তাঁদের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে গেলে পুলিশি হেফাজতে থাকার পরও ম্যাজিস্ট্রেটদের কক্ষে ঢুকে বিনা অনুমতিতে অডিও-ভিডিও করতে থাকেন এবং ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশদের চাকরিচ্যুতিসহ নানা রকম হুমকি দিতে থাকেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একপর্যায়ে জরিমানা দিয়ে ছাড়া পেয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে আকিব হৃদয়, মোস্তাফিজুর রহমান ও মনোয়ার হোসেন এই তিনজন জেলা প্রশাসক ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সম্পর্কে বিভিন্ন কটূক্তি ও অপপ্রচার করতে থাকেন। তাঁদের তিনজনের ফেসবুক আইডি থেকে এসব বক্তব্য লাইভে প্রচার করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এখতিয়ার, প্রশাসন ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা ও জনগণের সঙ্গে সম্প্রীতি বিনষ্টের মতো বক্তব্য দেন এবং ম্যাজিস্ট্রেটদের স্যার না বলার কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করেছেন বলে অপপ্রচার করতে থাকেন।