বুধবার ● ৬ জানুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » অপরাধ » সিলেটে অস্ত্রসহ সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের ৩ সদস্য আটক
সিলেটে অস্ত্রসহ সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের ৩ সদস্য আটক
সিলেট প্রতিনিধি :: বি-বাজারে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সংঘবদ্ধ ডাকাতচক্রের তিন সদস্যকে অস্ত্রসহ আটক করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার ৫ জানুয়ারী রাত ৮ ঘটিকার সময় বি:বাজার পৌরশহরের খাসা পল্লীবিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন এলাকা থেকে থানা পুলিশ তাদের আটক করে।
বিয়ানীবাজারে বড় ধরনের ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে সংঘবদ্ধ ডাকাতচক্র। সোর্সের মাধ্যমে এমন খবর পেয়ে নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। সিলেটের পুলিশ সুপার থেকে সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল)-এর সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ, পরামর্শ এবং পুলিশের বিশ্বস্থ সোর্স এর মাধ্যমে ডাকাত চক্রের গতিবিধি লক্ষ্য রাখা হয়। গত তিনদিন থেকে এ ডাকাতচক্রের সাথে ছায়ার মতো কয়েকজন পুলিশ সোর্স লেগে ছিল। একই সাথে পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের সর্বশেষ অবস্থান নজরে রেখেছিল।
আজ রাত ৮ঘটিকার সময় খাসা এলাকায় আসার পর আগে থেকে ওৎপেতে থাকা বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ ডাকাতদের বহনকারী মাইক্রোবাসের গতিরোধ করে। এসময় ডাকাতরা পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তিন ডাকাত সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃতদের বি:বাজার থানায় দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়ে আসে পুলিশ। এ সময় ডাকাতদের কাছে থাকা ব্যাগ থেকে দুইটি বন্দুক, একটি রিবলবার, ১৪টি কার্তুজ, ৩টি রাম দা, অত্যাধনিক কাটারসহ ডাকাতিকাজে ব্যবহৃত হয় এমন সরঞ্জাম উদ্ধার করে। ধৃত ডাকাতদের আটককালে সহকারি পুলিশ সুপার (সার্কেল) সুদীপ্ত রায়, বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিল্লল রায়, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসানসহ থানা পুলিশের এসআই, এএসআইসহ একদল পুলিশ অভিযানে অংশগ্রহন করে।
অস্ত্রসহ ডাকাত আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বি:বাজার থানার ওসি হিল্লোল রায় গনমাধ্যমকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ ডাকাতদের আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা বি:বাজার থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এ চক্রের আরো সদস্যদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
সিলেটে এক ব্যাবসায়ীর কান্ডে জনমনে ক্ষোভ, তাঁতী লীগ নেতার মামলা
সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেট মহানগরীর লালদিঘীর পাড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম ও ছবি দিয়ে দোকানের সাইনবোর্ড টানানো নিয়ে ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষের ক্ষোভ প্রকাশের পর এবার সমালোচিত সেই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করেছেন বাংলাদেশ তাঁতী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কালাম আহমেদ।
জানাযায়, সিলেটের লালদিঘীর পাড়ের নতুন মার্কেটের বি ব্লকে চা-পাতার দোকান দিয়ে ব্যবসা করেন সাইফুর হোসেন সাজ্জাদ বেপারী নামের একজন। কিন্তু মঙ্গলবার ৫ জানুয়ারী হঠাৎ ঐ ব্যবসায়ীর দোকানের উপরে ‘শেখ হাসিনা স্টোর’ নামে সাইনবোর্ড টানানো দেখা যায়। এ সাইনবোর্ডে বড় করে প্রধানমন্ত্রীর ছবিও সাটানো ছিল। এ সাইনবোর্ড নিয়ে সকাল থেকেই লালদিঘীর পাড় এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকে। সময় গড়ালে তা উত্তেজনায় রূপ নেয়। প্রতিবাদি হয়ে উঠেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। একসময় লালদিঘীর পাড় এলাকায় এ নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সাইফুর হোসেন সাজ্জাদ বেপারীর কোনো ট্রেড লাইসেন্সই নেই। সে তার অবৈধ ব্যবসা চালানোর ক্ষেত্রে প্রশাসনের হাত থেকে বাঁচতে এমন চতুরতার পথ বেছে নিয়েছে। তাছাড়া সে আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মী- এমনকি সমথর্কও নয়।
বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনার খবর পেয়ে বিকেল ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে বন্দরবাজার ফাঁড়ির একদল পুলিশ সাইনবোর্ডটি নামিয়ে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। তবে এসময় সাইফুর হোসেন সাজ্জাদ বেপারীকে খোঁজে পায়নি পুলিশ।
এ বিষয়ে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মুহিউদ্দিন বলেন, স্থানীয় ব্যবসায়ীবৃন্দ ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের দেয়া খবরের ভিত্তিতে আমাদের ফাঁড়ির একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং সাইনবোর্ডটি খুলে নিয়ে আসে। তবে যিনি সাইনবোর্ড লাগিয়েছেন তাকে আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি এবং তাঁকে পেলে জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, এ ঘটনায় সাইফুর হোসেন সাজ্জাদ বেপারীর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কোতোয়ালি থানায় জিডি করেছেন বাংলাদেশ তাঁতী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কালাম আহমেদ। জিডি নং-৩৭৮।
এ ব্যাপারে তাঁতী লীগ নেতা কালাম আহমেদ জানান- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম, ছবি ও জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিয়ে দোকানের সাইনবোর্ড টানানো একটি গুরুতর অপরাধ। এ অপরাধের জন্য কথিত ঐ ব্যবসায়ীকে শাস্তি পেতে হবে। তাই তিনি প্রশাসনের কাছে কথিত ওই ব্যবসায়ীর আইনানুগ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।