বৃহস্পতিবার ● ৭ জানুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » দীঘিনালায় ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত-৩
দীঘিনালায় ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত-৩
আব্দুল্লাহ আল মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ ৩ জন আহত হয়েছে। বুধবার ৬জানুয়ারী দুপুর ২টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসের পাশেই বঙ্গবন্ধু স্কোয়ারের ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে এতে সাংবাদিকসহ ছাত্রলীগের ৩জন আহত হন। আহতরা হলেন, আরোফিন রাহাত মানিক(২৪), ইমন শিকদার(২৩) ও সাংবাদিক নুর হোসেন (৩৫)। ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধলে দেশ রুপান্তর এর দীঘিনালা উপজেলা সংবাদকর্মী নুর হোসেন ছবি তুলতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। দীঘিনালা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পরে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
এসময় বর্তমান কমিটির সভাপতি মেহদি আলম অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের উস্কানিতে পরিকল্পতি ভাবে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করে। হামলায় ৩জন আহত হন।
অপরপক্ষে থাকা কমিটির সহ-সভাপতি অপু চৌধুরী বলেন, দীঘিনালা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির সভাপতি মেহদি আলম এর নেতৃত্বে তার দলবল নিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করার পরিকল্পনা করেন, আমরা প্রতিহত করতে গেলে আমাদের চার,পাঁচজন নেতাকর্মী আহত হন।
দীঘিনালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সফিক জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধলে আমরা বাঁধা দিই পরবর্তীতে আহত অবস্থায় ৩জন পরে থাকতে দেখে সাথে সাথেই দীঘিনালা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছি।
উল্লেখ্য, গত ১৪ নভেম্বর দীঘিনালা উপজেলা ছাত্রলীগ এবং দীঘিনালা সরকারী ডিগ্রী কলেজ কমিটি ঘোষণার পর থেকেই কমিটি বাতিলের দাবীতে গাড়ি ভাংচুরসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেন পদ বঞ্চিতরা।
৪জানুয়ারি ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করতে উদ্যোগ নিলে অপর পক্ষ আলাদা প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করার প্রস্তুতি নেয়। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে, পুলিশ দু’পক্ষকে শান্ত করে। বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে, দীঘিনালা থানা পুলিশ|
দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উত্তম চন্দ্র দেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৩জন আহত হয়। তবে কোন পক্ষেই পুলিশ কে অভিযোগ করে নি। বর্তমান পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত।