বৃহস্পতিবার ● ৭ জানুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » কৃষি » পাবনায় কৃষক কৃষাণীর মাঠ দিবস পালন
পাবনায় কৃষক কৃষাণীর মাঠ দিবস পালন
মো. নূরুল ইসলাম, পাবনা জেলা প্রতিনিধি :: পাবনায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বারি-৫ ও বারি-৬ উৎপাদনে সাফল্য পেয়েছেন গবেষকরা। বাংলাদেশ মসলা গবেষণা কেন্দ্র ( বিএআরআই) এর তত্ত্বাবধানে ঈশ্বরদী আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে এ পেঁয়াজের সফল আবাদও হয়েছে। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বারি-৫ জাতের এ পেঁয়াজ সারা বছর রোপণ করা যাবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এ জাতের পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন ও চাষাবাদের বিষয়ে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ও অগ্রগামী পেঁয়াজ চাষীসহ ১৪০ জন কৃষককে এ পেঁয়াজ চাষে ধারণা দেয়া হয়েছে।
৭ জানুয়ারী বৃহষ্পতিবার কৃষক কৃষাণীর মাঠ দিবসে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আব্দুল লতিফ, জাতীয় কৃষিপদকপ্রাপ্ত কৃষক আলহাজ্ব মো. শাহজাহান আলী, ড. মো. মাসুদ আলম ও ড. মো. নুরআলম চৌধুরী, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, মসলা গবেষণা কেন্দ্র, বিএআরআই, শিবগঞ্জ, বগুড়া।
কৃষিকরা জানান, বর্ষার শেষে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে প্রতিবছর পেঁয়াজের সংকট হয়। ফলে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে প্রতিবছর পেঁয়াজের দাম বাড়ে। বারি-৫ ও বারি-৬ জাতের উচ্চফলনশীল এ পেঁয়াজ আবাদে বিঘা প্রতি ৪০ থেকে ৪৫ মণ পর্যন্ত ফলন পাওয়া যাবে। তাতে পেঁয়াজের স্বয়ংসম্পূর্ণতার পাশাপাশি আমদানি নির্ভরতা নেমে আসবে শূন্যের কোঠায়। নতুন জাতের এ পেঁয়াজ আবাদের খরচ অপেক্ষাকৃত কম এবং ফলনও ভালো। কৃষক পর্যায়ে পরীক্ষামূলক উৎপাদনে সফলতা এলে আগামী বছর থেকে নতুন জাতের এ পেঁয়াজ বাণিজ্যিকভাবে সারাদেশে আবাদের উদ্যোগ নেওয়া হবে ।
এই উপলক্ষে পাবনা ঈশ্বরদী ডাল গবেষণা কেন্দ্র ও আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রর কৃষক কৃষানীদের নিয়ে বারি-৫ ও বারি-৫ পেয়াজ’র বগুড়া বিএআরআই, শিবগঞ্জ মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, মসলা গবেষণা কেন্দ্র’র ড. মো.হামিম রেজা’র সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডাল গবেষণা কেন্দ্র ও আঞ্চলিক কৃষিগবেষণা কেন্দ্র, বিএআরআই ঈশ্বরদী’র পরিচালক ড. দেবা র্শীষ সরকার।