রবিবার ● ১০ জানুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » কক্সবাজার » উখিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শংকর বড়ুয়া মৃত্যুশয্যায়
উখিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শংকর বড়ুয়া মৃত্যুশয্যায়
উখিয়া প্রতিনিধি :: কক্সবাজারের উখিয়ায় মধ্যযুগীয় কায়দায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার শংকর বড়ুয়ার জীবন সংকটে। পরিবারের একমাত্র অবলম্বন গুরুতর আহত শংকর বড়ুয়া বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন বলে আহাজারি করে জানিয়েছে জখমী শংকরের মা চিনু বড়ুয়া। এ ঘটনায় তার চাচাত ভাই জুয়েল বড়ুয়া বাদী হয়ে উখিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। আহতের পরিবার বলছে উল্টো সাম্প্রদায়িক উস্কানীমূলক হুমকি-ধমকি দিচ্ছে হামলাকারীরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে রাজাপালং ইউনিয়নের জাদিমুরা মোজাহের মেম্বারের মোটর ঘরের দক্ষিণে রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে একই ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকার টমটম চালক আব্দুল মন্নান বেপরোয়া গতিতে যাওয়া সময় ধাক্কা দেয়। এনিয়ে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। পরবর্তীতে আব্দুল মন্নান মুঠোফোনের মাধ্যমে ১০/১১জনকে সংঘবদ্ধ করে একযোগে শংকর বড়ুয়াকে কিল, ঘুষি লাথি মেরে মারাত্মক ভাবে জখম করে। এক পর্যায়ে তাদের মারধর সহ্য করতে না পেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ধানের বীজতলায় পড়ে যায়। ওই সময় সংঘবদ্ধ দল তাকে জানে মেরে ফেলার জন্য ঝাপিয়ে পড়ে। তার শৌর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশংকাজনক দেখা দিলে সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ আলম (৫৫) বলেন, রাতে চিৎকার শুনে বের হয়ে দেখি গ্রীল ওয়ার্কসপ মিস্ত্রী শংকর বড়ুয়াকে হরিণমারা এলাকার কিছু বখাটে যুবক লাঠি-সোঠা নিয়ে বেদড়ক মারধর করছিল। তারা তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমি বাঁধা দিই এবং হামলাকারীদের কবল থেকে তাকে উদ্ধার করি। একই কথা বলেন তার ভাতিজা এহসান।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য সালাহ উদ্দিন বলেন, শংকর বড়ুয়া নামে ছেলেটি একজন শান্তশিষ্ট যুবক। হামলাকারীর সাথে বাকবিতন্ডা হয় অন্য মুসলিম যুবকের সাথে। তাদের না পেয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে শংকরকে বেদড়ক পিটিয়ে গুরতর জখম করেছে। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকাজনক। ইতোমধ্যে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় ২৩ হাজার টাকা চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা করা হয়। এ নিয়ে আমি একাধিকবার বৈঠকের চেষ্টা করলেও হামলাকারীরা সাড়া দেয়নি।
সংশ্লিষ্ট অভিযোগে তদন্ত কর্মকর্তা ও উখিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মনিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ সংক্রান্ত তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহাম্মদ মঞ্জুর মোর্শেদ, চিকিৎসকের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন হামলার শিকার ওই যুবক একজন কিডনি রোগী। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে মধ্যস্থতার চেষ্টা চলছে। মীমাংসা না হলে পরে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে।