সোমবার ● ১১ জানুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » জাতীয় » ‘নারীরা বিবাহের কাজী হতে পারবে না’- এই মর্মে প্রদত্ত রায়ে শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর বিস্ময় প্রকাশ
‘নারীরা বিবাহের কাজী হতে পারবে না’- এই মর্মে প্রদত্ত রায়ে শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর বিস্ময় প্রকাশ
ঢাকা :: শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর সভাপতি বহ্নিশিখা জামালী ও সাধারণ সম্পাদক রাশিদা বেগম আজ এক বিবৃতিতে নারীরা নিকাহ ও রেজিষ্ট্রার (কাজী) হতে পারবেন না- এই মর্মে হাইকোর্ট প্রদত্ত রায়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন উচ্চ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত এই রায় সংবিধানে প্রদত্ত নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের সাথে সাংঘর্ষিক। তারা উল্লেখ করেন সংবিধানের মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত অধ্যায়ের ২৭ ও ২৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে নারী হওয়ার কারণে রাষ্ট্র নাগরিকদের প্রতি কোন প্রকার বৈষম্য প্রদর্শন করবে না। সংবিধানের ৪০ অনুচ্ছেদেও নারী-পুরুষ নির্বিশেষে পেশা ও বৃত্তির স্বাধীনতাও নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, হাইকোর্ট প্রদত্ত রায়ে নারীদের শারীরিক সীমাবদ্ধতার যে প্রসঙ্গ উত্থাপন করা হয়েছে তাও যুক্তিযুক্ত নয়। রায়ে বেশীরভাগ বিবাহ মসজিদে সম্পন্ন হবার যে কথা বলা হয়েছে তাও মোটেও তথ্যভিত্তিক নয়। তারা বলেন, গত তিন দশক ধরে নারী নেতৃত্বে যদি দেশ ও সরকার চলতে পারে, উচ্চ আদালতের বিচারকার্য থেকে শুরু করে সকল পেশায় নারীরা যদি তাদের দক্ষতা, যোগ্যতা ও মেধার পরিচয় দিতে পারে তাহলে বিবাহ রেজিষ্ট্রার বা কাজীর দায়িত্ব পালনেও নারীদের কোন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, হাইকোর্টের এই রায় নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নেরও পরিপন্থী। তারা আশা করে উচ্চ আদালত নারী অধিকার পরিপন্থী এই রায় পুনঃপর্যালোচনা করবেন এবং কাজী হিসেবে নারীদের দায়িত্ব পালনে সকল বাধা অপসারণে এগিয়ে আসবেন।