মঙ্গলবার ● ১২ জানুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথে পঞ্চায়েতের কবরস্থানে স্থাপনা নির্মাণ
বিশ্বনাথে পঞ্চায়েতের কবরস্থানে স্থাপনা নির্মাণ
স্টাফ রিপোর্টার :: বিশ্বনাথে পঞ্চায়েতের কবরস্থান দখল করে স্থাপনা (দোকানকোঠা) নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে নিজামউদ্দিন সরদার (৭০) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের ভোলাগঞ্জ গ্রামের মৃত সুরুজ আলী সরদারের ছেলে।
এ নিয়ে ভোলাগঞ্জ গ্রামের পঞ্চায়েত ও নিজাম সরদারের পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। যেকোনো সময় তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
ভোলাগঞ্জ গ্রামের পঞ্চায়েত সূত্র জানায়, বছরখানেক পূর্বে পঞ্চায়েতের কবরস্থানের জায়গা দখল করে নিজামউদ্দিন সরদার পাকা স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু করলে তারা তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ তালুকদারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় তহশিলদারের মাধ্যমে তদন্ত করে ওই জায়গায় স্থাপনা নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি নিজাম সরদার আবারও স্থাপনার কাজ শুরু করলে দু’দফায় বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বর্ণালী পালের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়।
তার নির্দেশে একদল পুলিশসহ সার্ভেয়ার ভোলাগঞ্জ গ্রামে গিয়ে ফের কবরস্থানের জায়গা নির্ধারণ করে দিলে নিজাম সরদার পক্ষ কবরস্থানের জায়গায় নির্মিতব্য স্থাপনাটি তিনদিনের মধ্যে ভেঙ্গে ফেলবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী স্থাপনা না ভেঙ্গে গত বৃহষ্পতিবার (৭ জানুয়ারী) সকালে নিজাম সরদার ফের স্থাপনার কাজ শুরু করলে সরকারি নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি উল্লেখ করে মৌখিভাবে বাঁধা দেন ভোলাগঞ্জ গ্রামের পঞ্চায়েতের লোকজন।
এ সময় তাদের সাথে বাকবিতন্ডা ও এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে নিজাম সরদার পক্ষ। ভোলাগঞ্জ গ্রামের পঞ্চায়েতের লোকজন অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার সকালে কবরস্থানের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ কাজে বাঁধা দিতে গেলে নিজামউদ্দিন সরদার পক্ষ তাদের উপর চড়াও হয়।
এসময় তারা ইটপাটকেল ছুঁড়ে তাদের কয়েকজনকে আহত করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে নিবৃত্ত করে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নিজামউদ্দিন সরদার সাংবাদিকদের বলেন, ক্রয়সূত্রে আমি ওই জায়গার মালিক। তাদের সব অভিযোগ মিথ্যা।
ঘটনাস্থলে যাওয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় লাল বলেন, পঞ্চায়েতের পক্ষের অভিযোগ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার পরও নিবৃত্ত হচ্ছিল না নিজামউদ্দিন সরদার পক্ষ। পরে অবশ্য তারা আমাদের কথায় শান্ত হয় এবং স্থাপনার জায়গা থেকে চলে যায়।
তবে এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ আমরা পাইনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বর্ণালী পাল সাংবাদিকদের বলেন, ওই জায়গায় যখন সার্ভেয়ার ও পুলিশ পাঠাই, তখন নিজামউদ্দিন সরকার পক্ষ বলেছিল, তারা তিনদিনের মধ্যে স্থাপনাটি ভেঙ্গে ফেলবে। যেহেতু এখনও ভেঙ্গে ফেলা হয়নি তাই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। এটাকে কেন্দ্র করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে তৎপর রয়েছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবারের ঘটনার বিষয়ে কেউ আমাকে জানায়নি।