বুধবার ● ২০ জানুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় কোটচাঁদপুরে আ’লীগ থেকে দুই মেয়র প্রার্থী বহিস্কার
বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় কোটচাঁদপুরে আ’লীগ থেকে দুই মেয়র প্রার্থী বহিস্কার
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: দলীয় নির্দেশনার বাইরে যেয়ে কোটচাঁদপুর পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহ্বায়ক শহিদুজ্জামান সেলিম ও বর্তমান মেয়র জাহিদুল ইসলামকে দল থেকে বহিস্কার করেছেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগ। ১৮জানুয়ারী ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ আছাদুজ্জামান আছাদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড কর্তৃক মনোনীত কোটচাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচন-২০২১ নৌকা মার্কার মেয়র পদপ্রার্থী মোঃ শাহাজান আলীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৪৭(ঠ) ধারা অনুযায়ী কোটচাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহ্বায়ক পৌর নির্বাচনে মোবাইল ফোন মার্কার মেয়র প্রার্থী (বিদ্রোহী প্রার্থী) মোঃ সহিদুজ্জামান সেলিম ও নারকেল গাছ মার্কার মেয়র পদপ্রার্থী (বিদ্রোহী প্রার্থী) জাহিদুল ইসলামকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কার হয়েছেন। এখন থেকে এদের সাথে আওয়ামী লীগের কোন সম্পর্ক নেই। এদিকে, মেয়র প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম আওয়ামী লীগের কেউ না। দলের কোন পদ পদবি নাই, এমনকি সদস্য পদও নাই অথচ তাকেও বহিস্কার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ আছাদুজ্জামান আছাদ বলেন- দলে তার কোন পদ পদবি বা সদস্য পদ না থাকলেও জাহিদুল ইসলামের আবেদনের প্রেক্ষিতে নৌকা প্রতিকের জন্য কেদ্রে নাম পাঠানো হয়েছিল। সে নৌকা প্রতিক না পেয়ে নির্বাচন করছেন। সে কারণে দল থেকে নির্বাচনে যাতে কোন সুযোগ সুবিধা না নিতে পারে সে কারণে এ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তার নাম আনা হয়েছে।
ট্রাক চাপা দিয়ে প্রথম স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ চুয়াডাঙ্গা সড়কের আনসার ক্যাম্পের সামনে ট্রাকচাপায় নিহত হয়েছেন দিপালী রানা নামে এক হোটেল কর্মচারী। সোমবার রাত দশটার দিকে পিছন দিক থেকে একটি ট্রাক তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। কার শরীর থেতলে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। ঝিনাইদহ শহরের চুয়াডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ডে ঐশী হোটেলের কর্মচারী নিহত দিপালী রানী কালীগঞ্জ উপজেলার সাদিপুর গ্রামের ট্রাকচালক স্বপন কুমার দাসের প্রথম স্ত্রী। ঐশী হোটেলের মালিক শ্রী নিতাই কুমার ঘোষ জানান, হোটেলের কাজ শেষ করে রাত দশটার দিকে দিপালী রানী খড়ি ব্যবসায়ী জামাল হোসেন এর সাথে কোর্ট পাড়ায় ফিরছিলেন। তারা আনসার ক্যাম্পের সামনে রাস্তায় পৌঁছালে একটি দ্রুতগামী ট্রাক চাপা দিলে দিপালী রানী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। অভিযোগ পাওয়া গেছে দ্বিতীয় বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে দিপালী রানী সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ট্রাকচালক স্বামী বেশ কয়েকদিন ধরেই দিপালী রানী কে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। হোটেল মালিক নিতাই কুমার ঘোষের ভাষ্যমতে ৬ দিন আগে দিপালী রানী কে তার স্বামীর পাঠানো লোকজন হত্যার ছক আটে। অনেকের ধারণা ট্রাকচালক স্বামী পরিকল্পিতভাবে দিপালী রানী কে ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যা করতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করলেই এই রহস্য বেরিয়ে আসতে পারে। এদিকে দিপালী রানী নিজের নাম গোপন করে ঐশী হোটেলে ফাতেমা আক্তার নামে চাকরি নেওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক হয়ে উঠেছে। হিন্দু হয়ে তিনি কেন মুসলিম নাম ধারণ করলেন তা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গভীর রাত হাওয়াই পুলিশের কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এই দুর্ঘটনায় ঐশী হোটেলের খড়ি ব্যবসায়ী লক্ষীকোল গ্রামের ইলাহি ম-লের ছেলে জামাল মন্ডল গুরুতর আহত হয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
২ বছর পর আলিম হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করল ঝিনাইদহ পিবিআই
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ পিবিআই দীর্ঘ দুই বছর পর আলিম হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করলো। এ ঘটনায় মুল আসামী আব্দুস সালাম শুক্রবার মাগুরা বিজ্ঞ আদালতে ফোজদারী কার্যবিধির ১৬৪ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। রবিবার দুপুরে ঝিনাইদহ পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই পুলিশ সুপার মাহাববুর আলম জানান, ২০১৮ সালের ২৬সেপ্টেম্বর মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার চর চাকদা গ্রামের গড়াই নদীতে অজ্ঞাত একটি লাশ গ্রামবাসী দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধারের পর আলিমের বাবা নবুয়ৎ মন্ডল জব্দকৃত আলামত দেখে তার ছেলে আলিমের লাশ বলে শনাক্ত করে। ছেলে নিখোজের ঘটনায় আলিমের বাবা নবুয়ৎ মন্ডলের শ্রীপুর থানায় করা সাধারণ ডায়েরি পরবর্তী মামলা হিসাবে গ্রহণ করা হয়। মামলাটির তদন্ত ভার পাই শ্রীপুর থানার এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন। দায়িত্ব নেয়ার পর এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৭জনকে গ্রেফতার করেলেও , কোন তথ্য উদঘাটন করতে না পারায় ১বছর পর ২০১৯সালের ২৬সেপ্টেম্বর আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া। বিজ্ঞ আদালত নথি পর্যালোচনা করে মামলাটি পুনঃতদন্ত করার জন্য পিবিআই ঝিনাইদহকে দায়িত্ব দেয়। পিবিআই ১বছরের বেশি সময় তদন্ত করে এ ঘটনার মূল বিষয় উদঘাটন করতে সক্ষম হয়। সেই সাথে জড়িত মূল আসামী আব্দুস সালামকে গত ১৫জানুয়ারি গ্রেফতার করে। পিবিআই পুলিশ সুপার আরো জানান, স্ত্রীর সাথে আব্দুল সালামের ছোট ভাই লিটনের পরকিয়ার বিষয়টি জানতে পারে আলিম। পরে গ্রাম্য সালিশে সালামের ভাইকে নাকে খত দিতে হয়েছিলো। এর প্রতিশোধ নিতেই আলিমকে হত্যা করে সালাম।
নলডাঙ্গা রাজবাড়ি রির্সোট এন্ড পিকনিক স্পট
ঝিনাইদহ :: রাজবংশ ও রাজার স্মৃতি বহণ করছে ঝিনাইদহের প্রত্যন্ত গ্রাম তৈলকুপীতে অবস্থিত নলডাঙ্গা রাজবাড়ি রির্সোট এন্ড পিকনিক স্পট, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় আসতে শুরু করেছে দর্শনার্থীরা। জেলা শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত তৈলকুপী গ্রাম। এই গ্রামেই নলডাঙ্গার রাজা ‘প্রমথ ভূষন’র স্মৃতি ধরে রাখতে ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত করা হয় ‘নলডাঙ্গা রাজবাড়ী রিসোর্ট এন্ড পিকনিক স্পট নামে এই বিনোদন কেন্দ্রটি। গ্রামে প্রবেশ করলেই দেখা যাবে পার্কটির প্রধান ফটক। যেখানে স্মৃতি বহন করছে রাজার রাজ মহলের। ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা মিলবে নান্দনিক, নৈসর্গিক অপরূপ সোন্দর্য। ২০ একর জমির উপর নির্মিত এই পার্কে রয়েছে মায়াবী স্পট, কৃত্রিম অভয়ারন্য, ডু-প্লেক্স কটেজ, পার্কে শিশু কিশোরদের জন্য একাধিক রাইডস, সুবিশাল লেক, হংসরাজ প্যাডেল বোট, ওয়াটার পার্ক, পাহাড়, বিভিন্ন প্রোগ্রামের জন্য স্টেজসহ বিভিন্ন রকমের মুর্তি। মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশ বেষ্টিত নয়নাভিরাম, রকিং হর্স, ব্যক্তি প্রদত্ত নিরাপত্তা কর্মীর তত্বাবধানে সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশ। যা দেখতে গত বছরও ভীড় করতো হাজার হাজার দর্শক। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি কিছিুটা স্বাভাবিক হওয়ায় দুর দুরান্ত থেকে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন বয়সী দর্শনার্থীরা। ফলে কিছুটা হলেও বিগত দিনের আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে মনে করছেন বলে মনে করছেন পার্কের স্বত্তাধীকারি আব্দুল মতিন পাতা মিয়া। তিনি সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পার্কটিতে সুস্থ্য বিনোদনের জন্য আসার আহবান জানান। স্থানীয় সাগর মিয়া জানান, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলা এই পার্কটিতে শিশু ও কিশোরদের পাশাপাশি বিনোদন পিয়াসী সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের আনন্দের খোরাক যোগাতে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি। আসানুর শেখ নামের এক দর্শনার্থী বলেন, আমি পরিবার নিয়ে এই পার্কে ঘুরতে এসেছি। আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আমি এবং আমার সকল বন্ধুসহ শুভাকাঙ্খিদের নিয়ে আবারও আসবো। এখানে না আসলে বোঝা যাবে না এখানকার মনোরম প্রকৃতি সম্পর্কে। চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানা থেকে আগত সুমাইয়া খাতুন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন করোনার মাঝে দীর্ঘদিন ঘর বন্ধি ছিলাম। আজ স্বপরিবারে এখানে এসে পার্কের সুন্দর পরিবেশ দেখে খুব ভালো লাগছে। আগামীতেও এখানে ঘুরতে আসবো। যশোর থেকে আসা বসির আহমেদ নামের এক স্কুল শিক্ষক বলেন, নলডাঙ্গা পার্কের নাম শুনেছিলাম। কিন্তু সময়ের কারণে আসার সুযোগ হয়নি। আজ এখানে ঘুরতে এসে মনের কাছে খুব ভালো লাগছে। এর আগে অনেক বিনোদন কেন্দ্রে আমি ঘুরতে গেছি। কিন্তু এত সুন্দর মনোরম পরিবেশ কোথাও দেখিনি। আমি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ভবিষ্যতে যেন বিনোদন কেন্দ্রটির সুন্দর সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় থাকে। পার্কের কর্মচারি মিঠুন হোসেন জানান, ইতিপূর্বে প্রতিদিন পার্কে দুর দারান্ত থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থী বিনোদন করতে আসতো। এতে করে আমাদের যেমন ভালো লাগতো দর্শনার্থীরাও সুন্দর বিনোদন করতো। বর্তমানে করোনার মাঝে পার্কে দর্শনার্থী কমে যাওয়ায় সেগুলো যথাযতভাবে চালু না থাকায় সকল যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পার্কের ম্যানেজার আলাউদ্দিন খান জানান, আমরা যারা এখানে কর্মচারি আছি করোনার মধ্যে পার্কে কোন আয় না থাকলেও আমাদের মালিক প্রত্যেকের বেতন এখনও পর্যন্ত দিয়ে যাচ্ছে। পার্কটি যদি চালু থাকতো তাহলে মালিকও বাঁচতো আমরাও বাঁচতাম। ঝিনাইদহের নলডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এ এস আই) মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, দর্শনার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকি, পাশাপাশি বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি। নলডাঙ্গা রাজবাড়ি রির্সোট এন্ড পিকনিক স্পটের চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ইমদাদুল হক সোহাগ বলেন, আমাদের ঝিনাইদহ জেলার ইতিহাস মানেই নলডাঙ্গা রাজবাড়ির ইতিহাস। সেই ইতিহাসের ধারক ও বাহক ছিল রাজবাড়ি রিসোর্ট এন্ড পিকনিক স্পট। এই ইতিহাসকে সংরক্ষণ করার জন্যই আমার পিতা আব্দুল মতিন পাতা মিয়া মূলত এই পার্কটি স্থাপন করেন। তিনি আরও বলেন, মাদকের প্রবনতা কমাতে নির্মল বিনোদনের প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্য বিধি মেনে বিনোদন কেন্দ্র গুলো খোলা থাকলে সরকারের মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে অগ্রণী ভ’মিকা পালন করবে। এ বিষয়ে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়ার দাবিও জানান তিনি।
হলুদে চাউলের গুড়া ও রঙ মেশানোর অপরাধে ব্যবসায়ীকে জরিমানা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে হলুদের গুড়ার সাথে চাউলের গুড়া ও রাসায়নিক রঙ মিশিয়ে বাজারজাত করার অভিযোগে সাইফুল ইসলাম নামের ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর। সোমবার দুপুরে কালীগঞ্জ শহরের নলডাঙ্গা সড়কে এ অভিযান চালানো হয়। জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে কালীগঞ্জ শহরের নলডাঙ্গা সড়কে একটি দোকানে হলুদের সাথে চাউলের গুড়া ও রাসায়নিক রঙ মেশানো হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মেশানোর সময় হাতে নাতে আটক করা হয়। পরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এ ৪২ ধারা অনুযায়ী ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে পৌরসভার স্যানেটারী ইনস্পেক্টর আলমগীর হোসেনসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ঝিনাইদহে কুয়াশা আর কনকনে শীতে বিপর্যস্থ নিন্ম আয়ের মানুষ
ঝিনাইদহ :: ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে জবথব হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে নিন্ম আয়ের মানুষরা বেশি দূর্ভোগে পড়েছে। ঘন কুযাশা আর শীত উপেক্ষা করে কাজে যেতে দেখা গেছে। অন্যদিকে শীত কুযাশায় ঝিনাইদহের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কের যানবাহন চলাচলে চরম শিডিউল বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে ঢাকাগামী যানবাহনের সমস্যা বেশী হচ্ছে। ফলে ভোর থেকে ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে স্থানীয় বা দুরপাল্লার কোন বাস আসতে দেখা যায়নি। এদিকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা পায় যায়নি। তবে বেলা ১টার পর থেকে একটু একটু করে সূর্যের আলোর দেখা মেলে। অন্যদিকে প্রায় প্রতিদিনই ফেরী ঘাটে ফেরী চলাচল বন্ধ থাকায় দু-পাশে প্রচুর গাড়ী দাড়িয়ে থাকছে। ফলে গন্তব্যে পৌছাতে নির্ধারিত সময় থেকে ২ থেকে ৩ ঘন্টা বেশী সময় লাগছে, কখনও কখনও তারও বেশী। গেল কয়েকদিনে এ সমস্যা আরো বেড়েছে। ঝিনাইদহ থেকে ঢাকাগামী চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের সুপার ভাইজার মাহাবুব হক জানান, কুয়াশায় খুবই সমস্যা, হেড লাইট জ্বালিয়েও সামনের কিছু দেখা যায় না অনেক সময়। খুব ধীর গতিতে যেমন গাড়ী চালাতে হয় তেমনি আমরা সকলে মিলেই চেষ্টা করি সামনের দিকে নজর রাখতে তবুও দুর্ঘটনার শঙ্কা থেকেই যায়। পুর্বাশা পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার সাজ্জাদ জানান, গেল কয়েক দিন ধরে বেশী সমস্যা হচ্ছে। যেহেতু আমাদের প্রতিটা গাড়ী ঢাকা থেকে ফেরী পার হয়ে এসে আবার ফিরে যায়। এ জন্য ফেরী ঘাটের যানজটের কারনে দির্ঘ সময় পরে কাউন্টারে বাস আসছে। যার কারনে যাত্রীদের সময় মত গন্তব্যে পৌছাতে পারছি না।