শনিবার ● ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » কৃষি » মোড়েলগঞ্জে ‘কুল’ ফলে সাড়া জাগিয়েছে
মোড়েলগঞ্জে ‘কুল’ ফলে সাড়া জাগিয়েছে
স্টাফ রিপোর্টার: :বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জে বলসুন্দরী ‘কুল’ ফলে সাড়া জাগিয়েছে আবু বকর। বিদেশে চাকুরীতে না গিয়েও দেশের মাটিতে এখন সোনার ফসল ফলিয়ে বছরে উর্পাযন করছে লাখ লাখ টাকা। একজন সফল চাষী হিসেবে গর্ভিত মো. আবু বকর শেখ (৪৮)।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়নের বুরুজবাড়িয়া গ্রামের মৃত. মোশারেফ শেখের ছেলে মো. আবু বকর শেখ একজন সফল চাষী। ৬৬শতক জমিতে নতুন প্রজাতের বলসুন্দী কুল ফলে চাষ করে এখন গোটা দক্ষিণাঞ্চলে সাড়া জাগিয়েছে। প্রতিনিয়ত ছুটে আসছে বাগান দেখতে বিভিন্ন জেলার চাষিরা। কিনে নিচ্ছে তারা বলসুন্দরী কলম চারা।
বাম্পার ফলন পেয়ে এ চাষে উৎসাহিত হচ্ছে অন্যচাষীরাও। চাষী আবু বকর শেখ বলেন, ৬/৭ মাস পূর্বে এ বলসুন্দরী কুল ফলের কলম আনা হয় কুমিল্লা থেকে। এ থেকে বংশ বিস্তার হয়ে এক হাজার চারা রয়েছে এ বাগানে। প্রতিটি কুল গাছ থেকে এক মন করে কুল বরই ফল তুলছেন তিনি। ২ মাস বয়স থেকে ৫ মাসে মধ্যে ফলন আসে। ৩ মাস থাকে এ বরইর উৎপাদন। এ বারে তিনি ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা কুল বরই বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন। অনলাইনের মাধ্যমে ক্রেতারা চাহিদা অনুযায়ী ১৫০ টাকা কেজি দরে কুল বরই কিনে নিচ্ছেন। পাশাপাশি এ প্রজাতের পুরাতন প্রতি কলম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা এবং নতুন কলম ২০ টাকা। ইতোমধ্যে এ উপজেলার বাহিরে পিরোজপুর, বরিশাল জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চাষীরা কলম কিনে নিয়েছেন তার বাগান থেকে। বাগানটি পরিচর্যার জন্য প্রতিনিয়ত ৫শ’ টাকা মজুরিতে ৭ জন শ্রমিক কাজ করছে।
এছাড়াও এ বাগানে অন্য প্রজাতের বাউকুল, কাশমেরী কুল ফলিয়ে সফল হয়েছেন তিনি। চাষি আবু বকরের নেশা-পেশা শুধু ফলের বাগান করা। লিচু, আম, পেয়ারা বিভিন্ন প্রজাতের বরই বাগানসহ ১১টি ফলের বাগান রয়েছে তার। পরিবারে বৃদ্ধ মাতা, স্ত্রী, ২ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে তার। বর্তমানে তিনি এ বলসুন্দরী কুলের চাষ করে একজন সফল চাষী হিসেবে যুব সমাজকে এ নার্সারী চাষে এগিয়ে আশার আহবান জানান তিনি।
এ ব্যাপারে দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান বলেন, সফল চাষী মো. আবু বকর এখন এ উপজেলার গর্ভ। এ ইউনিয়নে ইতোমধ্যে নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শীতকালিন সবজি, মাল্টা, বরইফল সহ ব্যাপক উৎপাদন করে একটি মডেল কৃষি ইউনিয়ন হিসেবে সফল হয়েছে। ঘটিয়েছে তারা কৃষি বিপ্লব। ফলনে ভালো দামও পেয়েছে কৃষকরা। আগামিতে আরো চাষাবাদের দিকে উৎসাহিত হবে কৃষকরা বলে মনে করছেন এ কর্মকর্তা।