শনিবার ● ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ফেঞ্চুগঞ্জে তেলবাহী ট্রেন দুর্ঘটনা : তেল সংগ্রহে ব্যস্ত এলাকার অনেকেই
ফেঞ্চুগঞ্জে তেলবাহী ট্রেন দুর্ঘটনা : তেল সংগ্রহে ব্যস্ত এলাকার অনেকেই
সিলেট প্রতিনিধি :: ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁও ও বিয়ালিবাজারের মাঝখানে গুতিগাঁও এলাকায় তেলবাহী একটি ট্রেনের ১০টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এসময় ৭টি বগি দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (৪ফেব্রুয়ারী) রাত ১২টার দিকে গুতিগাঁও এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ দুর্ঘটনার পর সারা দেশের সঙ্গে সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
ঘটনার পর রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত স্থানীয়রা জলাশয়, পুকুর ও জমি থেকে বালতিসহ বিভিন্ন ধরণের পাত্র ভরে তেল সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। ঘটনাস্থলের আশপাশের অনেক পুকুর-জলাশয়ে এ থেকে জ্বালানি তেল ছড়িয়ে পড়েছে। এতে অগ্নিকান্ডসহ বড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা। তবে এক্ষেত্রে সর্তকবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেই সাথে দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সিলেটগামী একটি তেলবাহী ট্রেনের ১০ টি বগি গুতিগাঁও নামক স্থানে লাইনচ্যুত হয়। বগিগুলো পড়ে গেলে তেল রেল লাইনের আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এ তেল সংগ্রহে ভিড় করছে মানুষ। কেউ বালতি করে কেউ গ্লাস নিয়ে তেল সংগ্রহ করেছে। দুর্ঘটনার পর পরই তেল সংগ্রহে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে এলাকার নারী-পুরুষসহ শিশুরা। তেল সংগ্রহের জন্য বালতি নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে দেখা গেছে অনেককে। অনেককে দেখা গেছে, ট্রেনের মধ্যে থেকেও তেল নিতে। কিছু লোককে তেল কিনতে দেখা যায়। তারা লোকজনের কাছ থেকে ২০-৩০ টাকা লিটার দরে তেল সংগ্রহ করে ড্রামে ভর্তি করে মজুদ করছে।
এ বিষয়ে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার খলিলুর রহমান বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জের মাইজগাঁওয়ে সিলেটগামী তেলবাহী ট্রেনের ১০টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় সিলেটের সাথে সারাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে দুটি টিম কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি রয়েছে বলে তিনি জানান। কত সময় লাগতে পারে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, কাজ চলছে তবে কতসময় লাগতে পারে তা বলা সম্ভব নয়। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে।
সিলেট রেলওয়ে পুলিশ সুপার শেখ শরীফুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাত ১টার দিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া রেলওয়ে জংশন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে উদ্ধারকারী দল কাজ করে যাচ্ছেন।
এদিকে, গুতিগাঁও এলাকার এক প্রবাসীর বাড়ির পুকুরে তেলে ভরে গেছে বলে জানান তার চাচাতো ভাই। তিনি জানান, আশপাশের জমি, খাল ও পুকুরে তেলে ভরে গেছে। মানুষ যে যার মত সংগ্রহ করে নিয়েছে। ৬-৭ তেলবাহি বগি থেকে তেল পড়ে যায়।
এদিকে তেল সংগ্রহে হুমড়ি খেয়ে পরেছেন সাধারন মানুষ। কাউকে কলসি, কাউকে বালতি দিয়ে তেল সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। তাদের সাথে কথা বলতে গেলে অনেকেই কথা বলতে অনিহা প্রকাশ করেন।