মঙ্গলবার ● ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » অপরাধ » গাজীপুরে নারী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক দেহব্যবসা করানোর অভিযোগ
গাজীপুরে নারী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক দেহব্যবসা করানোর অভিযোগ
মুহাম্মদ আতিকুর রহমান (আতিক), স্টাফ রিপোর্টার :: গাজীপুরে এক বিউটি পার্লার কর্মীকে (১৬) আটকে রেখে দিনের পর দিন জোরপূর্বক যৌনকর্ম করানোর অভিযোগ উঠেছে এক সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই বিউটি পার্লার কর্মী বাদী হয়ে নারী কাউন্সিলরসহ দুজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে বাসন থানায় মামলাটি করেন তিনি।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ১৬, ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রোকসানা আহমেদ রোজী (৪০) ও নগরীর গ্রেটওয়াল সিটির মোফাজ্জল হোসেনের বাড়ির কেয়ারটেকার মো. নূরুল হক (৬৫)। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও দু-তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চার মাস আগে নারী কাউন্সিলর রোকসানা আহমেদ রোজী চান্দনা চৌরাস্তায় রহমান শপিংমলে তার পরিচালিত ‘আনন্দ বিউটি পার্লার’-এ তাকে চাকরি নেয়। কিছু দিন পর ওই এলাকার গ্রেটওয়াল সিটিতে নারী কাউন্সিলরের ভাড়া বাসার ফ্ল্যাটে নিয়ে তাকে দিয়ে বিউটি পার্লারের কাজ করানো হয়। পাশাপাশি তাকে কাজের মেয়ের পরিচয় দিয়ে জোরপূর্বক ঘরে বিভিন্ন ধরনের কাজ করানো হতো। প্রতিবাদ করলে নানা ধরনের হুমকি দেয়া হতো।
এজাহারে আরও বলা হয়, গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আসামি নুরুল হকের সহযোগিতায় ওই ফ্ল্যাটে তাকে দিয়ে পতিতাবৃত্তির কাজে বাধ্য করানো হতো। একাধিকবার নারী কাউন্সিলরের বাসা থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে আটকে রেখে পতিতাবৃত্তির কাজ করতে বাধ্য করা হয়। পরে আজ মঙ্গলবার সকালে কৌশলে পালিয়ে এসে বাসন মেট্রো থানায় মামলা দায়ের করে ওই কিশোরী।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাসন মেট্রো থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ফারুক।
তিনি জানান, ওই কিশোরীর বাড়ি নেত্রকোনা জেলায়। গাজীপুরে কোনো স্বজন না থাকায় অভিযুক্ত নারী কাউন্সিলরের ভাড়া বাসায় থাকত। দুই বছর আগে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। নারী কাউন্সিলর তাকে জিম্মি করেই দেহ ব্যবসা করিয়ে আসছিলেন বলে অভিযোগ এনে থানায় মামলা দায়ের করেছে সে।
এ বিষয়ে জানতে নারী কাউন্সিলর রোকসানা আহমেদ রোজীর মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।
নদী দূষণ ও দখল উভয়ই সমান অপরাধ’-গাজীপুরে নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান
গাজীপুর :: জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান এএসএম আলী কবীর বলেছেন, ‘যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের কল-কারখানার দূষিত পানি নদীতে ফেলবে তাদের পানির পাইপে জিও ব্যাগ দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে। যাতে তাদের ফেলানো পানি নিজেদের কারখানাতেই ফিরে যায়। নদী দূষণ ও দখল উভয়ই সমান অপরাধ।’
১৬ ফেব্রুয়ারি মমঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুর টাউনের রথখোলাস্থ শহীদ বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে গাজীপুরে নদী সমীক্ষা বিষয়ক জেলা কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এএসএম আলী কবীর আরও বলেন, ‘নদীর পানিকে সুপেয় পানির আধার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। নদী দূষণ রোধ করতে ক্যাম্পেইন করতে হবে। চালাতে হবে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা। নদী তীরবর্তী বসবাসকারীসহ সবাইকে নদী দূষণ সম্পর্কে জানাতে হবে।’
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘নিজেদের নদী নিজেদের পানিকে নষ্ট করা এটি একটি আত্মহত্যার শামিল। গাজীপুরের বন-নদী নষ্ট হয়ে যাওয়া রাজধানী ঢাকার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ৪৮ নদী সমীক্ষা প্রকল্প, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ও জেলা নদী রক্ষা কমিটি গাজীপুর জেলা কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য কামরুন নাহার আহমেদ, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বরতক উল্লাহ খান।