বুধবার ● ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » সিলেটে সিসিক ও পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষ, আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার-১
সিলেটে সিসিক ও পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষ, আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার-১
সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেট সিটি কর্পোরেশনের চলমান উন্নয়ন কাজের জন্য চৌহাট্টাস্থ এলাকার অবৈধ পরিবহন স্ট্যান্ড সরানোর জন্য বলা হলেও শ্রমিকরা যানবাহন না সরিয়ে বিভিন্ন দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করে এবং বাধা প্রদান করে বন্ধ করে দেয় সিসিকের উন্নয়ন কাজ। পরিস্থিতি শান্ত করতে আজ বুধবার ১৭ ফেব্রুয়ারী সিসিকের কয়েকজন কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে গেলে পরিবহন শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে কাউন্সিলর ও সিসিকের শ্রমিকদের উপর হামলার চেষ্টা করলে শুরু হয় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। এসময় পরিবহন শ্রমিকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায় ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে সিসিকের শ্রমিকরাও পরিবহন শ্রমিকদের ধাওয়া করলে সংঘর্ষটি আম্বরখানা এলাকা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এসময় বেশ কয়েকটি মাইক্রোবাস ভাংচুর করা হয়।
সিসিকের শ্রমিক ও পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষ চলাকালে আগ্নেয়াস্ত্রসহ এক পরিবহনণ শ্রমিককে দুপুর ১টার দিকে চৌহাট্টা থেকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে একনলার একটি বন্দুক উদ্ধার করে পুলিশ। আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গ্রেফতারকৃত পরিবহন শ্রমিক সিসিকের শ্রমিকদের গুলি করার চেষ্টা চালায়। আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতারকৃত শ্রমিকের নাম ফয়সল আহমদ ফাহাদ (৩৮)। সে চৌহাট্টা পরিবহন স্ট্যান্ডের শ্রমিক।
মহানগর ট্রাফিক পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার ফয়সল মাহমুদ বলেন, সরকারি রাস্তা দখল করে যানবাহন রাখা হচ্ছে দীর্ঘদিন থেকে। কিন্তু সম্প্রতি সিসিকের উন্নয়ন কাজ শুরু হওয়ায় চৌহাট্টাস্থ এলাকার অবৈধ পরিবহন স্ট্যান্ড সরানোর জন্য বলা হলেও শ্রমিকরা যানবাহন না সরিয়ে বিভিন্ন দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করে। এক পর্যায়ে সিসিকের শ্রমিক ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদের সময় সংঘর্ষ, পরিবহন শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
.
সিলেট :: সিলেটের চৌহাট্টায় অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে সিসিকের কর্মচারী ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ এক পরিবহন শ্রমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতারকৃত শ্রমিকের নাম ফয়সল আহমদ ফাহাদ (৩৮)।
আজ বুধবার ১৭ ফেব্রুয়ারী চৌহাট্টা এলাকায় মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারের অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন মেয়র ও সিলেট সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের উপরও হামলা করে পরিবহন শ্রমিকরা। একপর্যায়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে কাউন্সিলর-পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে চৌহাট্টা এলাকায়।
চৌহাট্টা পরিবহণ শ্রমিকদের একটি দল ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক এলাকায় এলোমেলো গাড়ি দাড় করিয়ে রেখে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেয়। তখন তারা চৌহাট্টায় ঘটে যাওয়া ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ও পূর্বের স্থান স্ট্যান্ডের জন্য বহাল রাখার দাবি জানান। তাদের দাবি মানা না হওয়া পর্যন্ত তারা রাস্তা বন্ধ করে রাখবেন বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। এতে করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চন্ডিপুল এলাকার প্রায় তিন কিলোমিটার যায়গা জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।