রবিবার ● ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » বন্ধ হলের সামনে বিছানা নিয়ে চুয়েট শিক্ষার্থীদের অবস্থান
বন্ধ হলের সামনে বিছানা নিয়ে চুয়েট শিক্ষার্থীদের অবস্থান
আমির হামজা, ষ্টাফ রিপোর্টার :: চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) স্নাতক শেষ বর্ষের পরীক্ষা দিতে আসা বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী থাকার জায়গার ব্যবস্থা করতে না পেরে শনিবার তাঁরা বিকাল ৪ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তারেক হুদা হলের সামনে অবস্থান নিয়েছে৷ জানা গেছে, করোনায় আটকে থাকা স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চুয়েট কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানা যায়, স্নাতক শেষ বর্ষের প্রায় সাতশ শিক্ষার্থী নিয়ে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারী এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বন্ধ হলের সামনে অবস্থা নেয়া শিক্ষার্থীরা জানান, প্রথমে এই পরীক্ষা অনলাইনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো চুয়েট প্রশাসন। সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে তাঁরা হল বন্ধ রেখে গত ৩’রা জানুয়ারি স্বশরীরে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় চুয়েট প্রশাসন। কিন্তু তখন অধিকাংশ শিক্ষার্থী মেসের ব্যবস্থা করতে না পারায় সে সময় পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে চুয়েট প্রশাসন ফেব্রুয়ারি ও মার্চে মাসে এ পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় গ্রহণ করেন। সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকেই চুয়েটের পাশে পাহাড়তলি, ঊনসত্তর পাড়া ও চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায় মেস ভাড়া করতে শুরু করে। এবং কিছু শিক্ষার্থী মেসে ভাড়া নিয়ে তাঁরা পরীক্ষার জন্য অপেক্ষায় আছেন। কিন্তু যেসব শিক্ষার্থী মেস পাচ্ছিলেন না বা মেসে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হয়ে হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিতই হল খুলে দেওয়ার দাবিতে সরব হতে দেখা যায়। সেই ধারাবাহিকতায় রবিবার বিকেল ৪ টা হতে শিক্ষার্থীরা তারেক হুদা হলের সামনে বিছানা তোষক বিছিয়ে অবস্থান শুরু করে। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জাফর আহমেদ জানান-আমরা সকল সম্ভাব্য থাকার জায়গায় চেষ্টা করেও কোথাও জায়গা না পেয়ে হলের সামনে অবস্থান করেছি। অন্তত এখানে অবস্থান করার দাবি আমরা ছাড়বো না।
এ বিষয়ে শহীদ তারেক হুদা হলের প্রভোস্ট ডক্টর জিয়াউল হক হায়দার জানান, আমরাও চাচ্ছি, আমাদের শিক্ষার্থীরা ভালভাবে থেকে কোন রকম ভোগান্তি ছাড়া পরীক্ষা দিক । আমরা সবসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষেই আছি । এখন হলের মালিক হলেন কতৃপক্ষ । কতৃপক্ষ অনুমতি দিলেই আমরা হল খুলে দিতে পারি । এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ রফিকুল আলম বলেন, শহীদ তারেক হুদা হলের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান নেওয়ার বিষয়টি আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে কি করা যায় সেজন্য শিক্ষামন্ত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের সভাপতি ও সরকারের অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি বর্গের সাথে আলোচনা চলছে।