বুধবার ● ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » রেডব্রিজ কাউন্সিল উপ-নির্বাচন মোহাম্মদ অহিদ উদ্দিন লিবডেম প্রার্থী
রেডব্রিজ কাউন্সিল উপ-নির্বাচন মোহাম্মদ অহিদ উদ্দিন লিবডেম প্রার্থী
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: রেডব্রিজ কাউন্সিলের আসন্ন উপ-নির্বাচনে মোহাম্মদ অহিদ উদ্দিনকে লক্সফোর্ড ওয়ার্ডে কাউন্সিল প্রার্থী মনোনীত করেছে যুক্তরাজ্যের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পাটি (লিবডেম)-এর স্থানীয় শাখা। আগামী ৬ মে রেডব্রিজ কাউন্সিলের লক্সফোর্ড ওয়ার্ড এবং সেভেন কিংস ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার লিবডেমের স্থানীয় শাখার সাক্ষাৎকার প্যানেল মি. অহিদ উদ্দিনকে লক্সফোর্ড ওয়ার্ডের প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
মি. অহিদ উদ্দিন একজন ব্রিটিশ বাংলাদেশী। তাঁর বাড়ি সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার দেউল গ্রামে। তিনি গত ৪৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বসবাস করছেন। ইতিমধ্যে তিনি একজন কমিউনিটি লিডার এবং সফল সমাজকর্মী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন।
গত পাঁচ বছর ধরে তিনি লিবডেমের হয়ে নিরলসভাবে কাজ করে আসছেন। মি. অহিদ লিবডেম লোকাল পাটির নির্বাহী কমিটির সদস্য। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা বাংলাদেশ দলের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি এবং যুক্তরাজ্য শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে আসার আন্দোলনে (ব্রেক্সিট) তিনি দলের পক্ষ হয়ে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি দলের প্রয়োজনে যেকোনো আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন। জাতিগত এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ন্যায়সংগত দাবিদাওয়া আদায়ের আন্দেলনে সবসময় সামনের কাতারে ছিলেন।বিশেষ করে ৭০ দশকের শেষ ভাগে এবং ৮০’র দশকে তীব্র বর্ণবৈষম্যের যুগে তিনি এক কঠিন সময় অতিবাহিত করেন। মি. অহিদ বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার ভূমিকা রেখেছেন। তিনি কখনো আপস বা মাথানত করেননি।
এ ছাড়া্ সংগঠন পরিচালনায় মি. অহিদ উদ্দিনের রয়েছে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা। বর্তমানে তিনি রেডব্রিজ কমিউনিটি ট্রাস্ট্র (একটি স্বেচ্ছাসেবী বাংলাদেশী সংগঠন)-এর সভাপতি হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। মি অহিদ উদ্দিন বেশ কয়েকটি ভাষা জানেন। তিনি ২০১৫ সাল থেকে স্থায়ীভাবে রেডব্রিজে বসবাস করছেন।
মি. অহিদ উদ্দিন লক্সফোর্ড ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে তার অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে কমিউনিটি এবং এলাকার সার্বিক উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবেন বলে পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা।