শুক্রবার ● ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » মহালছড়িতে যত্রতত্র পাহাড় কেটে সবাড় করছে প্রভাবশালী মহল
মহালছড়িতে যত্রতত্র পাহাড় কেটে সবাড় করছে প্রভাবশালী মহল
আব্দুল্লাহ আল মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়িতে থামছেই না পাহাড় কর্তন। পরিবেশগত প্রভাব নিরূপন ছাড়াই পাহাড় কাটছে প্রভাবশালী। নানা অযুহাতে প্রকাশ্যেই চলছে পাহাড় কাটা।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ অনুযায়ী পাহাড় কাটা অবৈধ হলেও তা তোয়াক্কা করছে না পাহাড় খেকোরা।
মহালছড়ি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও মহালছড়ি উপজেলা যুবলীগের নেতা হিসেবে প্রভাব দেখিয়ে লেমুছড়ি এলাকার মো. রেজাউল হোসেন স্থাপনা নির্মাণে বুলডোজার দিয়ে পাহাড় কেটে সাবাড় করতে দেখা গেছে।
এছাড়াও মাইসছড়ি বাজার সংলগ্ন এলাকায় শওকত আকবর ও তাহেরা বেগম গং আদালতের আদেশ অমান্য করে বুলডোজার দিয়ে মাটি কেটে স্থাপনা নির্মাণ করছে।
অপরদিকে, মহালছড়ি ও মাইসছড়ি গুগড়াছড়ির বিভিন্ন এলাকায় চলছে হরদম অবৈধভাবে পাহাড় কর্তণ ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন।
অধিকাংশ পাহাড় খেকোরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রকাশ্যে পাহাড় কাটলেও কেউ বাঁধা দিচ্ছে না।
প্রতিদিনই মাটিবাহী ট্রাক্টর পাহাড় কেটে মাটি নিয়ে যাচ্ছে।
পাহাড় কাটা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাহাড়ের মালিক মো. রেজাউল হোসেন জানান, আমি বুলডোজার দিয়ে অল্প কিছু
মাটি কেটেছি আর বাকাী পাহাড়ের অংশ আমার নয় মো. লোকমানের।
অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কাটার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্ষায় পার্বত্য জেলায় বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসে। প্রশাসনিক ভাবে পাহাড় কাটা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় দেদারছে পাহাড় কাটা চলছে।অবিলম্বে তাদের অপতৎপরতা বন্ধ করা না গেলে ভয়াবহ পরিবেশ ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর ৬ (খ) অনুযায়ী পরিবেশ সুরক্ষায় পাহাড় কাটা সম্পর্কে বাধা-নিষেধ রয়েছে। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কতৃর্ক সরকারী বা আধা-সরকারী বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন বা মোচন করা যাবে না।
এই বিষয়ে মহালছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রতন শীলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডেভলোপমেন্ট কাজের জন্য অনেক ক্ষেত্রে বাধ্য হয়ে বালুউত্তোলন ও মাটাি কাটা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন এলাকায় জরিমানা করা হচ্ছে।
পাহাড় কাটা নিয়ে সংবাদ পরিবেশনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি একসময় প্রেসক্লাবের সভাপতি ছিলাম তাছাড়া আমি উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমি কাউকে পরোয়া করি না। কারো কিছু করার থাকলে করতে পারেন।
মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) প্রিয়াংকা দত্ত জানান, ডিসেম্বরে মুবাছড়িতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি।লেমুছড়িতে ৩/৪মাস আগে মাছ চাষের জন্য পাহাড় কাটা ছাড়া সম্প্রতি পাহাড় কাটার বিষয়ে আমার কাছে কোন তথ্য নেই। আমি এই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।