রবিবার ● ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » প্রার্থীর সমর্থনে বোতলে মোড়ানো শরীর
প্রার্থীর সমর্থনে বোতলে মোড়ানো শরীর
মো. জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে অদ্ভুত কান্ড ঘটিয়েছেন এক যুবক। প্রার্থীর সমর্থনে সারা গায়ে বোতল লাগিয়ে কেন্দ্রের বাইরে ঘোরাঘুরি করছিলেন তিনি। এ সময় তাকে আটক করেন কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার হেলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। সেই যুবক শরিফুল ইসলাম হেলাই গ্রামের আনসার আলীর ছেলে। সারা গায়ে বোতল লাগিয়ে ঘোরাঘুরি করার সময় কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিয়া সুলতানা তাকে একটি গাড়িতে বসিয়ে রাখার নির্দেশ দেন। তাকে ২০০ বোতল দিয়ে বানানো প্রতীক ভাঙতে বলা হয়। এর পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনের সময় বোতল দিয়ে শরীর মোড়ানো দেখে ভোটাররা হতবাক হয়ে যান।
মহেশপুর বিজিবি অসৌজন্যমুলক আচরণে সাংবাদিকদের ক্ষোভ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের মহেশপুর পৌরসভা নির্বাচনে পেশাগত দ্বায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে মহেশপুরের ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক কামরুল আহসানের বিরুদ্ধে। আজ রবিবার ২৮ ফেব্রয়ারি সকালে মহেশপুরের বেগমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সাংবাদিকদের অভিযোগ, সকালে বেসরকারি টেলিভিশন নিউজ টোয়েন্টিফোর ও বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শেখ রুহুল আমিন লাইভ সংবাদ পরিবেশনের জন্য প্রস্তুুতি নিচ্ছিলেন। পাশে দাঁড়িয়ে ছিল চ্যানেল টোয়েন্টিফোর’র জেলা প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন ও সময় সংবাদের জেলা প্রতিনিধি লোটাস রহমান সোহাগ। এসময় ৫৮ বিজিরি সিও কামরুল আহসান সেখানে এসে সাংবাদিকদের মোবাইল কেড়ে নেন। তিনি সাংবাদিকদের কেন্দ্র থেকে বাইরে চলে যেতে বলেন এবং অসৌজন্যমূলক আচরণ শুরু করেন। সংবাদকর্মীরা বিষয়টি ভিডিও ধারণ করতে গেলে তাদের মোবাইল কেড়ে নেয় অপর এক বিজিবি সদস্য। পরে মোবাইল ফেরৎ দিয়ে তিনি সেখান থেকে চলে যান। বিষয়টির নিন্দা জানিয়েছেন জেলায় কর্মরত সংবাদকর্মীরা। চ্যানেল টোয়েন্টিফোর’র প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা ভোট কেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ করে ওই কর্মকর্তা এসে আমাদের কাজে বাঁধা দেন এবং মোবাইল কেড়ে নেন। তার আচরণ মারমুখি ছিল। আমরা এটা আশা করিনি। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হান বলেন, পেশাগত দ্বায়িত্ব পালনের সময় বিজিবির একজন ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তার এমন অসদাচারণ মোটেও কাম্য নয়। তিনি পেশাগত দ্বায়িত্ব পালনের বাধা দিয়েছেন যা নিন্দনীয়। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
শৈলকুপায় “ভোট ডাকাতি”র প্রতিবাদে বিএনপি প্রার্থীর ভোট বর্জন করলেন বিএনপি প্রার্থী
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচন বর্জন করেছেন বিএনপি প্রার্থী মোঃ হুমায়ুন বাবর ফিরোজ। তিনি রোববার বিকালে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নির্বাচন বর্জনের কথা জানান। ফেসবুকে তিনি দাবী করেন রবিবার সকালে ভোট শুরু হওয়ার পর থেকে আমার নেতাকর্মী ও সমর্থকদেরকে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা প্রদান ও শনিবার রাতে সরকার দলীয় লোকজন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ভোট কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করেন। সব কেন্দ্রে আমার নির্বাচনী এজেন্টদেরকে ঢুুকতে বাধা প্রদান ও যে সব কেন্দ্রে এজেন্টরা ঢুকেছিলো তাদেরকে বের করে দিয়ে নৌকায় সিল মারার মহোৎসব পালন করে। এর প্রমান স্বরুপ তিনি ফেসবুকে প্রকাশ্যে নৌকার সিল মারার ভিডিও সংযুক্ত করেন। ভোটের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগীতায় “ভোট ডাকাতির” প্রতিবাদে দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তিনি ভোট বর্জন করেন বলে উল্লেখ করেন। তিনি সুষ্ঠ পরিবেশে নির্বাচনের দাবীও জানান।
মহেশপুরে ভোট বুথের নিয়ন্ত্রনে নৌকার লোক, বিএনপি প্রার্থীর ভোট বর্জন
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের মহেশপুর পৌরসভার বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম চুন্নু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। রবিবার দুপুরে তিনি মহেশপুর উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভোট বর্জন করেন। এ সময় বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, কেন্দ্রে কেন্দ্রে তার এজেন্টদের রেব করে দেওয়া হয়েছে। তার ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দিয়েছে সরকার দলীয় প্রার্থীর লোকজন। তাছাড়া প্রতিটি কেন্দ্র ও তার আশে-পাশে দলীয় লোকজন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। বিএনপির সমর্থিত কাউকে আসতে দেখলেই তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কেন্দ্রে গিয়ে দেখতে পাই প্রতিটি বুথের ভিতরে নিয়োজিত ব্যক্তি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। এসব বিষয়ে নির্বাচনে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা পাইনি। যে কারণে অবাধ, নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না। যার ফলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। উল্লেখ্য, মহেশপুর পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আব্দুর রশিদ খাঁন, বিএনপির এ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম চুন্নু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তাফা কিরণ প্রতিদ্বন্দিতা করেন। এরমধ্যে বিএনপির প্রার্থী চুন্নু রোববার দুপরে নানা অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করেন।
কালীগঞ্জে ভোট কেন্দ্রে চলছে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া,পুলিশ ও বিজিবি’র লাঠিচার্জ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে কাশিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেদে সম্প্রদায়ের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় ইসলাম নামে এক যুবক আহত হয়েছে। দুই কাউন্সিলর প্রার্থী মেহেদী হাসান সজল ও আরিফুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে লাঠিচার্জ করে। এতে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ পৌরসভায় ভোট গ্রহন হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে। এদিকে কালীগঞ্জ পৌরসভার ধানের শীষ প্রতিকের ময়ের পার্থী আলহাজ¦ মাহবুবার রহমান অভিযোগ করেছেন তার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। বিএনপি সমর্থিত ভোটারদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সবখানেই নৌকার রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। কারো কাছে অভিযোগ করে কোন ফল পাওয়া যায়নি। এখানে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ২১০ জন পুলিশ, ১৯৮ জন আনসার ও ৩ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটার রয়েছে ৪০৫৭৭ জন। নয় ওয়ার্ডে ২১ কেন্দ্রে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেয়র পদে আওয়ালীগের দলীয় প্রার্থী নৌকার প্রতিকের আশরাফুল আলম আশরাফ, বিএনপি থেকে ধানের শীষের প্রার্থী মাহবুবার রহমান, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের হাতপাখার নুরুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নারিকেল গাছ প্রতিকের এনামুল হক ইমান প্রতিদ্বন্দিতা করেন। এছাড়া সাধারন কাউন্সিলর পদে ৫০ ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে নয়জন প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এরমধ্যে ৫নং ওয়ার্ডেও কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান রিংকু বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
স্ত্রীর উপর অভিমানে স্বামীর আত্মহত্যা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ শহরে স্ত্রীর উপর অভিমান করে রোববার দুপুরে আব্দুস সাত্তার নামে (৪৯) এক ড্রাইভার আত্মহত্যা করেছেন। তিনি শহরের হামদহ এলাকার মোশাররফ হোসেন কলেজপাড়ার আব্দুল আওয়ালের ছেলে। প্রতিবেশিরা জানান, দুপুরে সাংসারিক বিষয় নিয়ে স্ত্রী রোজির সঙ্গে আব্দুস সাত্তারের ঝগড়া হয়। এতে অভিমান করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন আব্দুস সাত্তার। ঝিনাইদহ লাশকাটা ঘরে আব্দুস সাত্তারের ছেলে অভি গনমাধ্যম কর্মীদের জানান, তার পিতা মায়ের উপর রাগ করে আত্মহত্যা করেছেন। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
ঝিনাইদহ মাগুরা সড়কে মটরসাইকেলের ধাক্কায় রেস্টুরেন্ট ব্যাবসায়ী নিহত
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গোয়ালপাড়া বাজারে মটরসাইকেলের ধাক্কায় শেখ আব্দুর রাজ্জাক টুলু (৪৮) নামে এক রেস্টুরেন্ট ব্যাবসয়ী নিহত হয়েছেন। গোয়ালপাড়া বাজারে তার রেস্টুরেন্টের দোকান আছে। রবিবার দুপুরে ঝিনাইদহ মাগুরা সড়কের গোয়ালপাড়া বাজারে এই দুর্ঘটনা ঘটে। টুলু সদর উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের আবু তালেব শেখের ছেলে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, টুলু রাস্তা দিয়ে হেটে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হচ্ছিলেন। এ সময় কালা লক্ষিপুরের হাবিবের ছেলে রাব্বির মটরসাইকেল তাকে চাপা দিলে গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
৫ বছরেও হস্তান্তর হয়নি ঝিনাইদহ আড়াই’শ বেড হাসপাতাল
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ জেলা সদরে ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের নির্মান কাজ ৩ বছরেও শেষ হয়নি। অথচ নির্মান কাজটি ১৮ মাসের মধ্যে শেষ করার জন্য চুক্তি করেছিল টিই এন্ড ইউসিসি জেবি নামের ঢাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এদিকে যথাসময়ে আট তলা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভবনের কাজ শেষ না হওয়ায় পুরানো ভবনের মেঝে ও বরান্দায় রোগীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তবে ঠিকাদার সাইফুল ইসলাম টিপু জানিয়েছেন, ঝিনাইদহ গনপূর্ত বিভাগে ঘন ঘন নির্বাহী প্রকৌশলী বদলী হওয়ার কারণে তারা ঠিকমতো সহায়তা পাননি। তারপরও ছিল ফান্ড সল্পতা। আগামী এক মাসের মধ্যেই ভবনটি হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ হারুন অর রশিদ শনিবার দুপুরে জানান, ২০১৬ সালের ১৯ জুন এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের ব্যায় ছিল ৩৭ কোটি সাড়ে ২৩ লাখ টাকা। ১৮ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করে ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসে ভবন হস্তান্তরের কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৩ বছরেও ভবন হস্তান্তর করতে পারেনি। তিনি জানান, সর্বশেষ বৈদ্যুতিক সংযোগ, পাম্প ও লিফটের কাজ শেষ হওয়ার পথে। আগামী ১৭ এপ্রিল শিশু দিবস উপলক্ষ্যে হাসপাতাল ভবন হস্তান্তরের চেষ্টা করা হচ্ছে। ডাঃ হারুন জানান, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে প্রতিদিন এক হাজারের বেশি রোগী বর্হিবিভাগে দেখা হয়। শনিবার পর্যন্ত এক’শ বেডের বিপরীতে ২৭৬ জন রোগী ভর্তি ছিল। ভবন হস্তান্তর না হওয়ায় প্রশাসনিক অনুমোদন, জনবল নিয়োগ, ২৫০ বেডের খাবার সুবিধা ও ওষুধের বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না। হাসপাতালের তত্বাবধায়ক বলেন ইতিমধ্যে হাসপাতালের ৯ তলা ভবনে করোনা ইউনিটের নির্মান কাজ শুরু হবে। বরাদ্দ পাওয়া গেছে বলে ঝিনাইদহ গনপূর্ত বিভাগ তাকে জানিয়েছে। এদিকে হাসপাতালের নির্মান কাজের মন্থর গতি নিয়ে বিল প্রদানে ঠিকাদার ও তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শাঈখের মধ্যে বিরোধের কারণ ছিল অন্যতম। নির্মান কাজের টেন্ডার এমাউন্ট ছিল ৩৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। কিন্তু নকশা ও ডিজাইন মোতাবেক কাজ করতে গিয়ে ভেরিয়েশন, রিভাইসড এবং ওপি সমন্বয়সহ মোট নির্মান মূল্য দাড়ায় ৪২ কোটি ৫৬ লাখ টাকায়। কিন্তু ডিপার্টমেন্ট অনুমোদন দেয় ৪০ কোটি। ঠিকাদার সাইফুল ইসলাম টিপু জানান, তিনি ৪০ কোটি টাকার মধ্যে ৩৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা পেয়েছেন। এখনো অনুমোদিত বিলের ৩৩ লাখ টাকা পাবেন। প্রকল্পের অতিরিক্ত ২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা তিনি খরচ করলেও এখনো ডিপার্টমেন্ট তা অনুমোদন করাতে পারেনি। অতিরিক্ত বিলের প্রায় আড়াই কোটি টাকা না পেলেও নিজ জেলার প্রতিষ্ঠান হিসেবে তিনি নতুন ভবন হস্তান্তর করে দিবেন বলে ঠিকাদার গনমাধ্যম কর্মীদের জানান। ঠিকাদারের ভাষ্যমতে এই প্রকল্প শুরুর পর থেকে ৫ জন নির্বাহী প্রকৌশলীর বদলী হয়। নুতন নতুন নির্বাহী প্রকৌশলী এসে কাজ বুঝে নিতে নিতেই বদলী হয়ে যান। এতে কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। ঝিনাইদহ গনপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মোত্তালেব জানান, পাম্পের কাজ শেষ হলে আমরা ঠিকাদারের কাছ থেকে ভবন বুঝে নেব। সেটা বড়জোর একমাস সময় লাগতে পারে।