সোমবার ● ১ মার্চ ২০২১
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সুন্দরবনে ৯০টি কুমির ও ১০টি কচ্ছপ বনে অবমুক্ত
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সুন্দরবনে ৯০টি কুমির ও ১০টি কচ্ছপ বনে অবমুক্ত
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বিশ্ব ঐতিহ্য পুর্ব সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রানী কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রে আসবে নতুন অতিথি। এ প্রজনন কেন্দ্রে বিরল প্রজাতির (বাটাগুর বাসকা) একটি কচ্ছপে ২৭টি ডিম দিয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারী রোববার বিকালে পুকুর পাড়ে কচ্ছপ রাখার একটি প্যানে এ ডিমগুলো দেয় কচ্ছপটি। পুকুর পাড় থেকে ডিমগুলো উঠিয়ে তা সংরক্ষন করা হয়েছে বলে বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজাদ কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আজাদ কবির বলেন, পুর্ব সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে বিলুপ্ত প্রায় বিরল প্রজাতির কচ্ছপ সংরক্ষনের জন্য উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। বনের পরিবেশ বান্ধব এ কচ্ছপ গুলো (বাটাগুর বাসকা) প্রজাতির কচ্ছপ প্রজননের জন্য করমজলে আনা হয়। এখানে ৪টি পুকুরে রেখে তাদের প্রজনন করে তার ডিম দিয়ে বাচ্চা ফুটানো হয়। কচ্ছপের ডিমগুলো ইনকিউবিশনে (নিবিড় পরিবীক্ষনে) রাখা হয়েছে। যা ৬৭ দিনের মধ্যে এ ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানো সম্ভব হবে বলেও জানায় আজাদ কবির।
তিনি আরো বলেন, ২০১৪ সাল থেকে প্রথম করমজল বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্রে বাটাগুর বাসকা কচ্ছপের প্রজননের কাজ শুরু করা হয়। ২০১৭ সালে ২টি কচ্ছপের প্রথমে ৬৩টি ডিম থেকে বাচ্চা হয় ৫৭টি, ২০১৮ সালে ২টি কচ্ছপে যথাক্রমে ডিম পাড়ে ৪৬টি, তা থেকে বাচ্চা হয় ২১টি, ২০১৯ সালে ১টি কচ্ছপে ডিম পাড়ে ৩২টি, তা থেকে বাচ্চা হয় ৩২টি, ২০২০ সালে ২টি কচ্ছপে যথাক্রমে ডিম পাড়ে ৬৮টি, তা থেকে বাচ্চা হয় ৫২টি। আর ২০২১ সালে একটি কচ্ছপ কেবল মাত্র ২৭টি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে ২০১৭ সালে ২টি, ২০১৮ সালে ৫টি, ২০১৯ সালে ৫টি কচ্ছপ সুন্দরবনের বিভিন্ন খাল ও নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রে মোট ৩শ ৫৯টি কচ্ছপ রয়েছে। আর এ প্রজনন কেন্দ্র থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ৯০টি কুমির ও ১০টি বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হবে।