শনিবার ● ৬ মার্চ ২০২১
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » রামগড়ে চবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
রামগড়ে চবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
আব্দুল্লাহ আল মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ির রামগড়ে সুইসাইড নোট লিখে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থী।
শুক্রবার৬মার্চ রাত ৩টার দিকে রামগড় পৌরসভার ফেনীরকুল এলাকায় নির্মানাধীন স্কেল লোড স্টেশনের পাশের নিজ বাড়িতে সে আত্মহত্যা করে।
ওই শিক্ষার্থীর নাম নাইমুল হাসান(২১)। সে সেনাবাহিনীতে কর্মরত মো: কামাল উদ্দিন এর বড় ছেলে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ২০১৮-১৯ ২য় বর্ষের ছাত্র ছিলো।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আনুমানিক রাত ৩টার পরে নাইমুল নিজ রুমে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায গামছা পেছিয়ে আত্মহত্যা করে। এর আগে রাত দুইটার দিকে সে রুম থেকে বের হয়ে মা ও ভাইকে দেখে আসে। পরে পানি খেয়ে আধা ঘন্টা ঘরের বাহিরে অবস্থান করে। এরপর রুমে এসে দরজা লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
তার মা ফজরের নামাজ পড়তে উঠলে তার রুমে বাতি জ্বলতে দেখেন। সাধারণত সে বাতি নিভিয়ে ঘুমায়। এসময় তাকে অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খুললে সকাল ৭টার দিকে দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। এসময় রুমে একটি সুসাইড নোট পাওয়া যায়।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহাব উদ্দিন জানান, সে বেশকিছুদিন মানসিক দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ ছিলো। এজন্য তাকে ঢাকায় ডাক্তার দেখানো হয়েছিলো। ডাক্তারও এ সংক্রান্ত চিকিৎসা দিয়েছিলেন। সে এলাকার নম্র ভদ্র ছেলে ছিলো।
নাইমুল খুব মেধাবী ছাত্র ছিল। সে জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
সুইসাইড নোটে নাইমুল লিখেন, “আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমার বেঁচে থাকার জন্য কোন ইচ্ছা নেই। তাই আমি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। ডারউইন বলেছিলেন Survival of the fittest. But I not even fit. আমার জন্য কেহ যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে মাপ করে দিয়েন।
সুইসাইড নোটে তিনি আরও লিখেন, আম্মু আমাকে মাফ করে দিয়েন। লিমনের (ছোট ভাই) খেয়াল রাখিয়েন। আব্বু আমাকে সফল করার জন্য অনেক কিছু সহ্য করেছেন। আমি পারিনি তাই ক্ষমাপ্রার্থী।
রামগড় থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে এটাকে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।