শুক্রবার ● ২ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » জাতীয় » বনপা ও জাতীয় অনলাইন প্রেস ক্লাব নিয়ে সতর্ক থাকুন
বনপা ও জাতীয় অনলাইন প্রেস ক্লাব নিয়ে সতর্ক থাকুন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :: ২ অক্টেম্বর : বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন (বনপা)’ ও জাতীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের নিবেদিত প্রাণ সদস্যদের বিভ্রান্ত্র করার জন্য একটি অশুভচক্র নতুন করে অপতৎপরতা শুরু করেছে । চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে বনপা ও জাতীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের সকল সদস্যকে একযোগে রুখে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বনপা’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জাতীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব শামসুল আলম স্বপন ও বনপা’র সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) ও জাতীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক আকতার চৌধুরীসহ সকল কর্মকর্তা ও সদস্যগণ।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন গত ২১ আগষ্ট নির্বাচনের মাধ্যমে বনপা’র জাতীয় কমিটি গঠিত হয়। কিন্তু গত ২৫ আগষ্ট ক্ষমতালোভী সুভাষ সাহা বনপাকে কুক্ষিগত ও ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। লিখিত ভাবে অভিযোগ পাওয়ার পর ২৬ আগষ্ট বনপা’র গঠনতন্ত্র মোতাবেক বনপা’র নির্বাহী কমিটির সভায় সুভাষ সাহাকে তার পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। ১ সেপ্টেম্বর তদন্ত কমিটি সুভাষ সাহার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তদন্তের জন্য তাকে নোটীশ দেন । কিন্তু তিনি উপস্থিত না হয়ে বনপা’র গঠনতন্ত্র লংঘন করেন । একই দিন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বনপা’র নির্বাহী কমিটির জরুরী সভায় বনপা’র গঠনতন্ত্রের ১৩নং ধারার (গ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সর্বসম্মতিক্রমে বনপা’র সাধারণ সদস্য ও সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সুভাষ সাহাকে স্থায়ী ভাবে বহিষ্কার করা হয়। ওই দিন থেকে সুভাষ সাহার সাথে বনপা’র কোন সম্পর্ক নেই । এরপরও আমরা লক্ষ্য করছি সুভাষ সাহা নিলর্জ্জের মত বনপা’র পদ আঁকড়ে থাকার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যা অনভিপ্রেত। বনপা’র গঠনতন্ত্রের ২০ ধারায় উল্লেখ আছে বনপা’র কেন্দ্রীয় কমিটি’র মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে নির্বাহী কমিটির সভায় নতুন কমিটি গঠনের জন্য পুরাতন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে বনপা’র উপদেষ্টা কমিটিও বিলুপ্ত হয়ে যাবে। নতুন নির্বাচিত কমিটি নতুন করে বনপা’র উপদেষ্টা কমিটি গঠন করবে। সে ক্ষেত্রে গত ৩ জুলাই -২০১৫ বনপা’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্তি’র সাথে সাথে প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জাব্বারের প্রধান উপদেষ্টার পদটিও বিলুপ্তি হয়ে যায়। নব-নির্বাচিত কমিটি নতুন উপদেষ্টা কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এদিকে জাতীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের ফাউন্ডার মেম্বরদের পুঞ্জিঁভুত ক্ষোভের বর্হিপ্রকাশ ঘটে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটির সভায় । সদস্যরা জানান প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জাব্বার বিগত ১ বছর ২ মাস কাল জাতীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্বে থাকলেও তিনি অনলাইন প্রেসক্লাবের স্বার্থে কোন কিছুই করেননি। প্রতি ৩ মাস অন্তর সভা আহ্বানের সিদ্ধান্ত থাকলেও ১ বছরের মধ্যে তিনি একটি সভা আহ্বান করতে পারেননি। পাশাপাশি জাতীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের সদস্য সচিবসহ কমিটির সদস্যেদের কোন ধরনের সুপারিশ বা মতামত না নিয়ে ‘চট্টগ্রাম অনলাইন প্রেসক্লাব’ নামে একটি ভুঁইফোড় ভুঁয়া পকেট কমিটিকে অনুমোদন দিয়ে তিনি বির্তকিত হয়ে পড়েন। এ সব কারণে সকল সদস্য সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত দেন যে, প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জাব্বারের ‘জাতীয় অনলাইন প্রেসক্লাবে আহ্বায়ক থাকার আর কোন নৈতিক অধিকার নেই । ওই সভায় ২০১৪ সালের ৬ জুলাই গঠিত “জাতীয় অনলাইন প্রেসক্লাব” এর আহ্বায়ক কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে বিলুপ্ত ঘোষণা করে তরুণ প্রযুক্তিবিদ ড. জানে আলম রাবিদকে আহ্বায়ক, অধ্যাপক আকতার চৌধুরী, মুহিদ চৌধুরী, নির্মল বড়ুয়া মিলন, মোঃ বেলায়েত হোসেন বেলাল, আমিরুল ইসলাম আসাদ, তারেকউজ্জামান খান, মিজানুর রহমান হেলালকে যুগ্ম-আহ্বায়ক, শামসুল আলম স্বপনকে সদস্য সচিব, ইঞ্জি. রোকমুনুর জামান রনিকে যুগ্ম-সদস্য সচিব ও জোহরা পারভীন জয়া, সোহেল রেজা, রাজু আহমেদ দিপু, প্রকৌশলী রায়হানুল ইসলাম, এ্যাড. মুজাহিদুল ইসলাম, ওবায়েদ উল্লাহ ভুলন, প্রদীপ বড়ৃয়া জয়, খলিল উদ্দিন ফরিদ, সরকার রুহুল আমীন, মোঃ আনোয়ার হোসেন, মুসাইদ হোসেন, কামরুল ইসলাম হৃদয়, প্রদীপ ঘোষাল তপু, ওয়ালী উল্লাহ খান ও বিপ্লব চাকমাকে সদস্য মনোনীত করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয় । সভায় ‘চট্টগ্রাম অনলাইন প্রেসক্লাব’ নামে ভুঁয়া পকেট কমিটিকে বাতিল ঘোষণা করা হয় এবং সিদ্ধান্ত হয় যে,অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে চট্টগ্রামের সকল নিউজ পোর্টাল মালিক,সম্পাদক ও অনলাইন সাংবাদিকদের সমন্বয়ে “চট্টগ্রাম অনলাইন প্রেসক্লাব” গঠন করা হবে।
অপর দিকে বনপা থেকে স্থায়ী ভাবে বহিষ্কৃত সুভাষ সাহার সাথে বনপা ও জাতীয় অনলইন প্রেসক্লাব এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ায় এম,আলী হোসেনকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর বনপা থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। ওই নোটীশে বলা হয় ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হলে এম,আলী হোসেনের বনপা’র কেন্দ্রীয় পদসহ সাধারণ সদস্যপদ বাতিল বলে গণ্য হবে। তিনি ওই নোটীশের কোন জবাব দিননি। ফলে সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ১৩ ধারার (গ) অনুচ্ছেদ লংঘন করায় এম,আলী হোসেনের সকল পদ বাতিল হয়ে গেছে । তিনি (এম,আলী হোসেন) এখন আর বনপা’তে নাই । সুতরাং প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জাব্বার,সুভাষ সাহা ও এম,আলী হোসেনের সাথে জাতীয় অনলাইন প্রেসক্লাব কিন্বা বনপা’র এখন আর কোন সম্পর্ক নেই। আমরা বিশ্বাস করি এ দু’টি সংগঠনকে যারা মনপ্রাণ দিয়ে ভালো বাসেন তারা ক্ষমতালোভী সুযোগ-সন্ধানীদের খপ্পরে পড়বেন না বরং অশুভচক্রের বিরুদ্ধে রুঁখে দাঁড়াবেন । বিগত সাড়ে তিন বছর বনপা’র মাধ্যমে আন্দোলন করে নিউজ পোর্টাল মালিকদের জন্য যতটুকু অর্জন করা সম্বভ হয়েছে তা কুচক্রিমহলের ষড়যন্ত্রে ম্লান হতে দেয়া যায় না। আগামীতে অনলাইন নিউজ পোর্টাল মালিক,সম্পাদক ও সাংবাদিকদের শুভদিন আসছে অপেক্ষা করুন। আপলোড: ২ অক্টেম্বর ২০১৫ : বাংলাদেশ : সময় : বেলা ১২.৪৪ মিঃ